স্ট্রোক করে অ্যাম্বুলেন্সে হাসপাতাল যাওয়ার পথে দুর্ঘটনা, প্রাণ গেল রোগীর
Published: 22nd, April 2025 GMT
নাটোরের লালপুরে রোগী বহনকারী একটি অ্যাম্বুলেন্স নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে। সোমবার রাত ৮টার দিকে ঈশ্বরদী-বানেশ্বর আঞ্চলিক মহাসড়কের লালপুর ত্রিমোহনী চত্বরে এ দুর্ঘটনায় অ্যাম্বুলেন্সে থাকা রোগী শিমুল আলী (৫৫) নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরও ২ জন। আহতদের মধ্যে ২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
নিহত শিমুল চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার মৃত ফয়জুরের ছেলে। আহতরা হলেন- লালপুর উপজেলার নুরুল্লাপুর গ্রামের মুসার ছেলে ফজলু (৪৫), তার মেয়ে ফাতেমা (১৭) ও সাইফুল ইসলামের ছেলে শিপন (২৪)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হৃদরোগে আক্রান্ত রোগী শিমুল আলীকে নিয়ে চুয়াডাঙ্গা থেকে অ্যাম্বুলেন্সেটি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাচ্ছিল। পথে লালপুর ত্রিমোহনী চত্বরে এলাকায় অ্যাম্বুলেন্সটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি ব্যাটারিচালিত ভ্যানকে ধাক্কা দেয়। এতে ওই ভ্যানের যাত্রী ফজলু, তার মেয়ে ফাতেমা ও শিপন গুরুতর আহত হয়। এসময় অ্যাম্বুলেন্সের চালক অ্যাম্বুলেন্সসহ রোগীকে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। এসময় রোগী শিমুল আলী চরমভাবে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন, যা তার শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি ঘটায়। পরে স্থানীয়রা রোগীসহ আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিমুল আলীকে মৃত ঘোষণা করেন। চিকিৎসক আহত ফজলু ও ফাতেমার অবস্থাআশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন এবং শিপনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
লালপুর থানার ওসি (তদন্ত) মোমিনুজ্জামান জানান নিহতের তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় সড়ক আইনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: সড়ক দ র ঘটন দ র ঘটন শ ম ল আল
এছাড়াও পড়ুন:
কুলিয়ারচরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস খাদে, ৩০ যাত্রী আহত
কিশোরগঞ্জ-ভৈরব মহাসড়কে যাত্রীবাহী একটি বাস খাদে পড়ে ৩০ জন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে মহাসড়কের আগরপুর বাসস্ট্যান্ডের কাছে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রাইম পরিবহন নামের একটি বাস ৩০-৩৫ জন যাত্রী নিয়ে শেরপুর থেকে সিলেট যাচ্ছিল। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাত ১টার দিকে বাসটি মহাসড়কের আগরপুর বাসস্ট্যান্ডের কাছে পূর্ব জগৎচর নামক স্থানে একটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে খাদে পড়ে যায়।
দুর্ঘটনায় আহতদের মধ্যে রাতে ৯ জনকে ভাগলপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আহতদের বরাত দিয়ে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের একজন নার্স জানান, যাত্রীদের মধ্যে কয়েকজন শেরপুর থেকে আসেন। তারা প্রয়োজনীয় উপকরণসহ ছাগল নিয়ে সিলেট মাজারে যাচ্ছিলেন।
হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে হারিছ মিয়া (৫৫) নামে এক যাত্রী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার স্বজন ফজর আলী (৫০) বলেন, তিনি কিশোরগঞ্জের যশোদল গ্রামে আত্মীয়ের বাসায় বেড়াতে এসেছিলেন। রাতে তিনি কিশোরগঞ্জ থেকে বাসে উঠেন। সুনামগঞ্জের বাড়িতে ফিরছিলেন তিনি। বাকিরা আজ সকালে চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন।
এ ব্যাপারে ভৈরব হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাহাবুর রহমান বলেন, রাতে দুর্ঘটনার পর আমরা ঘটনাস্থলে এসে যাত্রী ও তাদের মালামাল উদ্ধার করি এবং বুঝিয়ে দেই। কম বেশি সব যাত্রীই আহত হয়েছেন বলে তিনি জানান।