গরমে ত্বকে বরফ লাগাতে মেনে চলুন কিছু টিপস
Published: 22nd, April 2025 GMT
সকালে ঘুম থেকে উঠোর পর অনেকেরই চোখমুখ ফোলা লাগে। আবার অনেক সময়ে রোদে বেশিক্ষণ থাকলেও মুখ বেশ ফোলা ফোলা দেখায়। ধীরে ধীরে কিছুক্ষণ পর এই ফোলা ভাব কমেও যায়। তবে এই সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী হয় হলে সমস্যা । অনেক সময় কম ঘুম, অতিরিক্ত ওজন, পরিশ্রম কিংবা অ্যালার্জিজনিত কারণেও মুখ ফুলে যায়। তবে কারণ যাই হোক, প্রাথমিক ভাবে মুখে খানিকক্ষণ বরফ ঘষলে, এই সমস্যা চলে যায়। চোখের নীচের ফোলা ভাব বরফ ঘষলেই নিমেষে মিলিয়ে যায়। মেকআপ করার আগেও মুখে একটু বরফ ঘষলে ত্বকে সতেজভাব বজায় থাকে।
তবে চোখমুখের ফোলা ভাব কমানো ছাড়াও, বরফ ত্বকের আরও অনেক সমস্যার সমাধান করে। এই কারণে ‘আইস ফেশিয়াল’ বেশ জনপ্রিয়। তবে ত্বকে বরফ লাগাতে কিছু নিয়ম মেনে চলা জরুরি।
ত্বকে বরফ লাগানোর উপকারিতা
১.
২. গরমে ত্বকে র্যাশ, ফুসকুড়ি দেখা দেয়। এসব প্রতিরোধে ত্বকে বরফ ব্যবহার করতে পারে।
তবে সব কিছুর মতোই বরফ ব্যবহারেরও কিছু ভালো এবং মন্দ দিক থাকে। কিছু নিয়ম মেনে বরফ ব্যবহার না করলে, সমস্যার কারণ হয়ে উঠতে পারে।
১. ত্বকের কোনও এক জায়গায় বেশিক্ষণ বরফ চেপে ধরে রাখা ঠিক নয়। তা না হলে ত্বকে দাগ পড়তে পারে।
২. ত্বকে সরাসরি বরফ দেওয়া ঠিক হবে না। পাতলা সুতির কাপড়ে বরফ মুড়িয়ে ত্বকে লাগালে ভালো।
৩. বরফ ঘষার পরে অনেকেরই মুখে লাল লাল ভাব দেখা যায়। অনেকের ক্ষেত্রে তা বেশিক্ষণ থেকে যায়। বার বার এমন হলে একটানা বরফ ব্যবহার এড়িয়ে চলুন।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: সমস য
এছাড়াও পড়ুন:
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যচুক্তি সুস্পষ্ট কূটনৈতিক সাফল্য
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তিতে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর শুল্কের হার কমায় একে ঐতিহাসিক চুক্তি আখ্যা দিয়ে বাংলাদেশের শুল্ক আলোচকদের আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, “এটি সুস্পষ্ট এক কূটনৈতিক সাফল্য।”
শুক্রবার (১ আগস্ট) এক অভিনন্দন বার্তায় প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, শুল্ক হার ২০ শতাংশ করা হয়েছে, যা আগে আরোপিত শুল্ক হারের চেয়ে ১৭ শতাংশ কম। এর মাধ্যমে আমাদের আলোচকরা অসাধারণ কৌশলগত দক্ষতা এবং বাংলাদেশের অর্থনৈতিক স্বার্থরক্ষা ও সেটাকে আরো এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে অবিচল প্রতিশ্রুতি প্রদর্শন করেছেন।
তিনি বলেন, আলোচকরা এ বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে নিরলসভাবে কাজ করে জটিল আলোচনাকে সফলভাবে এগিয়ে নিয়েছেন। যেখানে শুল্ক, অশুল্ক ও জাতীয় নিরাপত্তার ইস্যুগুলো অন্তর্ভুক্ত ছিল। আলোচনার মাধ্যমে অর্জিত এই চুক্তি আমাদের তুলনামূলক সুবিধা সংরক্ষণ করেছে। পাশাপাশি, বিশ্বের বৃহত্তম ভোক্তাবাজারে প্রবেশাধিকার বৃদ্ধি ও আমাদের মূল জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করেছে।
আরো পড়ুন:
বাংলাদেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক ২০ শতাংশ
কোন দেশে কত শুল্ক বসালেন ট্রাম্প
অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আরো বলেন, এ অর্জন কেবল বাংলাদেশের বৈশ্বিক অঙ্গনে ক্রমবর্ধমান শক্তিকে তুলে ধরে না; বরং এটি বৃহত্তর সম্ভাবনা, ত্বরান্বিত প্রবৃদ্ধি ও দীর্ঘমেয়াদি সমৃদ্ধির পথ উন্মুক্ত করে।
বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নিঃসন্দেহে উজ্জ্বল, উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, আজকের সাফল্য আমাদের জাতীয় দৃঢ়তা ও আগামী দিনের আরো শক্তিশালী অর্থনীতির সাহসী দৃষ্টিভঙ্গির একটি শক্তিশালী প্রমাণ।
তথ্যসূত্র: বাসস
ঢাকা/রফিক