সকালে ঘুম থেকে উঠোর পর অনেকেরই চোখমুখ ফোলা লাগে। আবার অনেক সময়ে রোদে বেশিক্ষণ থাকলেও মুখ বেশ ফোলা ফোলা দেখায়। ধীরে ধীরে কিছুক্ষণ পর এই ফোলা ভাব কমেও যায়। তবে এই সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী হয় হলে সমস্যা । অনেক সময় কম ঘুম, অতিরিক্ত ওজন, পরিশ্রম কিংবা অ্যালার্জিজনিত কারণেও মুখ ফুলে যায়। তবে কারণ যাই হোক, প্রাথমিক ভাবে মুখে খানিকক্ষণ বরফ ঘষলে, এই সমস্যা চলে যায়। চোখের নীচের ফোলা ভাব বরফ ঘষলেই নিমেষে মিলিয়ে যায়। মেকআপ করার আগেও মুখে একটু বরফ ঘষলে ত্বকে সতেজভাব বজায় থাকে। 

তবে চোখমুখের ফোলা ভাব কমানো ছাড়াও, বরফ ত্বকের আরও অনেক সমস্যার সমাধান করে। এই কারণে ‘আইস ফেশিয়াল’ বেশ জনপ্রিয়। তবে ত্বকে বরফ লাগাতে কিছু নিয়ম মেনে চলা জরুরি।
ত্বকে বরফ লাগানোর উপকারিতা

১.

ত্বকের হারানো উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনতে বরফের জুড়ি নেই। এক টুকরো বরফ মিনিট পাঁচেক ত্বকে ঘষলেই ক্লান্তি দূর হবে।

২. গরমে ত্বকে র‍্যাশ, ফুসকুড়ি দেখা দেয়। এসব প্রতিরোধে ত্বকে বরফ ব্যবহার করতে পারে। 

তবে সব কিছুর মতোই বরফ ব্যবহারেরও কিছু ভালো এবং মন্দ দিক থাকে। কিছু নিয়ম মেনে বরফ ব্যবহার না করলে, সমস্যার কারণ হয়ে উঠতে পারে।

১. ত্বকের কোনও এক জায়গায় বেশিক্ষণ বরফ চেপে ধরে রাখা ঠিক নয়। তা না হলে ত্বকে দাগ পড়তে পারে। 

২. ত্বকে সরাসরি বরফ দেওয়া ঠিক হবে না। পাতলা সুতির কাপড়ে বরফ মুড়িয়ে ত্বকে লাগালে ভালো। 

৩. বরফ ঘষার পরে অনেকেরই মুখে লাল লাল ভাব দেখা যায়। অনেকের ক্ষেত্রে তা বেশিক্ষণ থেকে যায়। বার বার এমন হলে একটানা বরফ ব্যবহার এড়িয়ে চলুন। 
 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: সমস য

এছাড়াও পড়ুন:

নাফ নদীতে বড়শিতে ধরা পড়ল ২০ কেজির কোরাল

কক্সবাজারের টেকনাফের নাফ নদীর ট্রানজিট জেটিতে বড়শিতে ধরা পড়েছে ২০ কেজি ওজনের একটি কোরাল মাছ। মাছটি স্থানীয় বাজার থেকে ২৪ হাজার টাকায় কিনে নিয়েছেন এক ব্যবসায়ী।

গতকাল রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে মাছটি ধরা পড়ে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ বাসস্টেশন মাছ বাজারের সভাপতি মোহাম্মদ তাহের।

টেকনাফ পৌরসভার ট্রানজিট জেটিঘাটের ইজারাদার আবদুর রশিদ প্রথম আলোকে বলেন, জালিয়াপাড়ার বাসিন্দা মনু মিয়া নামের এক ব্যক্তি বড়শিতে মাছটি ধরেন। সন্ধ্যায় বড়শি ফেলেও তিনি কোনো মাছ পাননি। ঘরে ফেরার আগমুহূর্তে আবার বড়শি ফেললে কোরালটি ধরা পড়ে। বড়শি টেনে মাছটি জেটিতে তোলা হলে আশপাশের লোকজন একনজর দেখার জন্য ভিড় করেন।

বড়শির মালিক মনু মিয়া বলেন, মাছটির দাম চেয়েছিলেন ২৬ হাজার টাকা। টেকনাফ পৌরসভার জালিয়াপাড়ার বাসিন্দা ও মাছ ব্যবসায়ী আবু হানিফ ২৪ হাজার টাকায় মাছটি কিনে নেন।

আবু হানিফ বলেন, তাঁর কাছ থেকে অনেকে প্রতি কেজি ১ হাজার ৩০০ টাকা দামে কেনার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তবে তিনি প্রতি কেজি ১ হাজার ৪০০ টাকা দামে মাছটি বড় বাজারে কেটে বিক্রি করবেন।

উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন বলেন, ১১ জুন সাগরে ৫৮ দিনের মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে। তবে নাফ নদী এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় ছিল না। মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির তৎপরতার কারণে অনেক বাংলাদেশি জেলে নদীতে জাল নিয়ে যেতে পারছেন না। তাই তাঁরা বড়শিতে মাছ ধরছেন। নাফ নদীতে প্রায়ই বড় কোরাল ধরা পড়ছে। এখানকার কোরালের স্বাদও ভালো।

সম্পর্কিত নিবন্ধ