‘সোনাক্ষী-শ্রদ্ধারা সহজেই নির্মাতাদের কাছে পৌঁছাতে পারে, সেটা আমি পারি না’
Published: 22nd, April 2025 GMT
বলিউড তাদের জন্যই চলার পথটা মসৃণ করে রেখেছে, যাদের শরীরে বইছে তারকাদের রক্ত– এ দাবি অনেকের। স্বজনপোষণের কারণেই হিন্দি সিনেমা দিন দিন দর্শক হারাচ্ছে বলেও অনেকের মত। সিনেমা সমালোচক আর নেট দুনিয়ার বাসিন্দাদের সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন অভিনেত্রী নুসরাত ভারুচা নিজেও। একই সঙ্গে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে তারকা সন্তান না হওয়ার আক্ষেপ তুলে ধরছেন এই বলিউড তারকা।
তিনি বলেছেন, ‘সোনাক্ষী বা শ্রদ্ধার মতো অভিনেত্রীরা এমন পরিচালক বা প্রযোজকের দরজায় পৌঁছাতে পারে, যেখানে আমি পারি না। তারা এমন পরিচালকদের সঙ্গে দেখা করতে পারে, যাদের আমি চিনিও না।’
তাঁর এ কথা থেকে স্পষ্ট যে, তারকা সন্তানরা বলিউড সিনেমায় সবসময় বাড়তি সুবিধা পায়। কাজ খুঁজে নেওয়াটাও তাদের জন্য অনেক সহজ। তবে নুসরাত তাঁর বক্তব্যে সোনাক্ষী সিনহা ও শ্রদ্ধা কাপুরের নাম উদাহরণ হিসেবে তুলে আনলেও এই দুই অভিনেত্রীকে কোনো খাটো করার চেষ্টা করেননি।
তিনি এও বলেছেন, ‘‘আমি ওদের ‘তারকা সন্তান’ বলে কটাক্ষ করতে চাই না। কারণ তাদেরও নিজস্ব লড়াই রয়েছে। তবে তারা এমন সুযোগ পায়, যা আমরা পাই না। এ কারণেই তারকা সন্তান হওয়ায় কিছুটা আক্ষেপ রয়ে গেছে।’
নুসরাতের মতে, ইন্ডাস্ট্রির বাইরে থেকে আসা অভিনেত্রীদের জন্য পরিচালকের নম্বর পাওয়া বা তাদের সঙ্গে দেখা করা খুব কঠিন। যার উদাহরণ হিসেবে তিনি ২০১১ সালে মুক্তি পাওয়া ‘পেয়ার কা পঞ্চনামা’ সিনেমার কথা উল্লেখ করেছেন।
নুসরাতের কথায়, ‘এই সিনেমা তাঁকে বলিউডে পরিচিতি এনে দিলেও প্রথম সিনেমা ছিল ‘কাল কিসনে দেখা’ সেভাবে আলোচনায় আসেনি। অথচ সোনাক্ষী সিনহা শুরু থেকেই আলোচনায় ছিলেন ‘দাবাং’ সিনেমার জন্য। কারণ, তাঁর বিপরীতে ছিলেন সুপারস্টার সালমান খান। আবার শ্রদ্ধা কাপুরের অভিষেক ‘তিন পাত্তি’ সিনেমার মাধ্যমে হয়েছিল, যেটি বক্স অফিসে সাফল্যের দেখা পায়নি। তারপরও শ্রদ্ধার কাজের অভাব হয়নি। যার সুবাদে পরবর্তী সময়ে দর্শকের মনে জায়গা করে নিতে পেরেছে। কিন্তু আমার এমন সৌভাগ্য হয়নি।’ সূত্র: আনন্দবাজার।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস স্থাপনে কারো দ্বিমত নেই: উপদেষ
দ্রুতই কবিগুরু রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের আশা প্রকাশ করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি বলেন, ‘‘বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণে কারো দ্বিমত নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস স্থাপন যৌক্তিক দাবি। স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের বিষয়টি ইতোমধ্যে একনেকে প্রস্তাব করা হয়েছে। এ বিষয়ে সরকার অত্যন্ত আন্তরিক।’’
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার রেশমবাড়িতে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তাবিত স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের স্থান পরিদর্শন করেছেন উপদেষ্টা। সোমবার (১৬ জুন) সকালে ক্যাম্পাস পরিদর্শন শেষে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫১৯ কোটি টাকার প্রকল্প সম্পর্কে উপদেষ্টা বলেন, ‘‘বরাদ্দ ৫০০ কোটি টাকা বেশি নাকি কম, এতে হতাশার কিছু নেই। আমি এখানে এসেছি, শুধু এটা দেখতে জায়গাটা আসলে কেমন, কতটুকু উপযোগী।’’ এ সময় তিনি চলনবিল অধ্যুষিত বড়াল নদী এবং গোচারণ ভূমির ক্ষতি না করে পরিবেশ ঠিক রেখে ক্যাম্পাস নির্মাণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
আরো পড়ুন:
সব জেলায় ‘সেবামূলক মেলা’ জুলাইয়ে
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে প্রণোদনা চান উপদেষ্টা
এ সময় বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশনের আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো বিভাগের সদস্য (সচিব) ড. কাইয়ুম আরা বেগম, সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, পুলিশ সুপার ফারুক হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহজাদপুর সার্কেল, শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ কামরুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. এস এম হাসান তালুকদার, উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. সুমন কান্তি বড়ুয়া, ট্রেজারার প্রফেসর ড. ফিরোজ আহমদসহ শিক্ষকমণ্ডলী ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী অ্যাকাডেমিক ভবন-৩ এ এসে পৌঁছান উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান। এ সময় রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা তাকে স্বাগত জানান। পরে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী অ্যাকাডেমিক ভবন-৩ এর অডিটোরিয়ামে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস সম্পর্কিত তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য বরাদ্দ জমি এবং এর পার্শ্ববর্তী অঞ্চল ঘুরে দেখেন তিনি। আলোচনা শেষে সেখানে বৃক্ষরোপণ করেন।
ঢাকা/অদিত্য/বকুল