কুয়েট উপাচার্যের অপসারণ দাবিতে রাত ১০টায় ‘শাহবাগ ব্লকেড’
Published: 22nd, April 2025 GMT
খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্যকে অপসারণের জন্য দেড় ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) একদল শিক্ষার্থী। দাবি না মানলে মঙ্গলবার রাত ১০টায় শাহবাগ ব্লকেড কর্মসূচি পালন করার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান তারা।
সংবাদ সম্মেলনে ঢাবি শিক্ষার্থী মুসাদ্দিক আলী ইবনে মোহাম্মদ বলেন, “কুয়েটের অনশনরত শিক্ষার্থীদের অবস্থা গুরুতর। মৃত্যুর আশঙ্কাও রয়েছে অনেকের। কুয়েটকে বাঁচাতে আজ যাত ১০টায় শাহবাগ ব্লকেড কর্মসূচি ঘোষণা করছি। ইন্টেরিম গভর্নমেন্ট যদি রাত ১০টার মধ্যে দলান্ধ উপাচার্য মাসুদ যদি পদত্যাগ না করে অথবা তাকে বহিষ্কার করা না হয়, তাহলে এই ব্লকেড কর্মসূচি পালন করা হবে।”
আরো পড়ুন:
ঢাবিতে ১ বছরে চীনা শিক্ষার্থী বেড়ে দ্বিগুণ
ঢাবি উপাচার্যের সঙ্গে ইইউ রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
কর্মসূচিতে ঢাবি, জবি, জাবি, প্রাইভেট, ঢাকা কলেজ, বুয়েটসহ রাজধানীর সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশ নেবেন বলে জানান তিনি।
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের হামলায় বেশকিছু কুয়েট শিক্ষার্থীরা আহত ও পঙ্গু হন। কিন্তু কুয়েটের উপাচার্য নির্দোষ শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার করেছে। এরই প্রতিবাদের উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি অনশন করছেন কুয়েট শিক্ষার্থীরা।
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপ চ র য ব লক ড ত ১০ট
এছাড়াও পড়ুন:
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যচুক্তি সুস্পষ্ট কূটনৈতিক সাফল্য
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তিতে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর শুল্কের হার কমায় একে ঐতিহাসিক চুক্তি আখ্যা দিয়ে বাংলাদেশের শুল্ক আলোচকদের আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, “এটি সুস্পষ্ট এক কূটনৈতিক সাফল্য।”
শুক্রবার (১ আগস্ট) এক অভিনন্দন বার্তায় প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, শুল্ক হার ২০ শতাংশ করা হয়েছে, যা আগে আরোপিত শুল্ক হারের চেয়ে ১৭ শতাংশ কম। এর মাধ্যমে আমাদের আলোচকরা অসাধারণ কৌশলগত দক্ষতা এবং বাংলাদেশের অর্থনৈতিক স্বার্থরক্ষা ও সেটাকে আরো এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে অবিচল প্রতিশ্রুতি প্রদর্শন করেছেন।
তিনি বলেন, আলোচকরা এ বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে নিরলসভাবে কাজ করে জটিল আলোচনাকে সফলভাবে এগিয়ে নিয়েছেন। যেখানে শুল্ক, অশুল্ক ও জাতীয় নিরাপত্তার ইস্যুগুলো অন্তর্ভুক্ত ছিল। আলোচনার মাধ্যমে অর্জিত এই চুক্তি আমাদের তুলনামূলক সুবিধা সংরক্ষণ করেছে। পাশাপাশি, বিশ্বের বৃহত্তম ভোক্তাবাজারে প্রবেশাধিকার বৃদ্ধি ও আমাদের মূল জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করেছে।
আরো পড়ুন:
বাংলাদেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক ২০ শতাংশ
কোন দেশে কত শুল্ক বসালেন ট্রাম্প
অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আরো বলেন, এ অর্জন কেবল বাংলাদেশের বৈশ্বিক অঙ্গনে ক্রমবর্ধমান শক্তিকে তুলে ধরে না; বরং এটি বৃহত্তর সম্ভাবনা, ত্বরান্বিত প্রবৃদ্ধি ও দীর্ঘমেয়াদি সমৃদ্ধির পথ উন্মুক্ত করে।
বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নিঃসন্দেহে উজ্জ্বল, উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, আজকের সাফল্য আমাদের জাতীয় দৃঢ়তা ও আগামী দিনের আরো শক্তিশালী অর্থনীতির সাহসী দৃষ্টিভঙ্গির একটি শক্তিশালী প্রমাণ।
তথ্যসূত্র: বাসস
ঢাকা/রফিক