রাজধানীর নানা সমস্যা নিরসনে নাগ‌রিক‌দের পক্ষে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়কে ২৮টি প্রস্তাবনা নিয়ে একটি স্মারকলিপি দি‌য়ে‌ছে আমার বাংলা‌দেশ পা‌র্টি (এবি পার্টি)।

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) ‘আমার পার্টির শ্যাডো অ্যাফেয়ার্স’ কমিটির উদ্যোগে রাজধানীর নানা সমস্যা বিশেষ করে রাজধানীর এলাকাভিত্তিক বাস্তবতা ও বিদ্যমান উন্নয়ন বিবেচনায় ড্যাপ (DAP) ও ফার (FAR) সূচকের  সামঞ্জস্যতা, ড্যাপের সীমানা নির্ধারণ করা, রাস্তার প্রশস্ততার বিষয়টি আমলে রাখা, ভূমির ভার বহনক্ষমতা নির্ণয়, সবুজ নগরায়ন গড়ে তোলা, ঢাকা শহরের জনসংখ্যা বিকেন্দ্রীকরণ, রাজউককে দুর্নীতিমুক্ত করতে এই ২৮টি প্রস্তাবনা তু‌লে ধরা হয় স্মারক‌লি‌পি‌তে।

গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান ও সচিব নজরুল ইসলামের কা‌ছে স্মারক‌লি‌পি জমা দেন এবি পার্টির ‘শ্যাডো অ্যাফেয়ার্স’ বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার আব্বাস ইসলাম।

এ সময় বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও প্রযুক্তি বিষয়ক সহ-সম্পাদক এবং শ্যাডো কমিটির সদস্য স্থপতি মো.

আবুল কালাম মাহমুদ সরকার (তানভীর), আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য হাজরা মেহজাবিন, সহকারী প্রচার সম্পাদক রিপন মাহমুদ উপস্থিত ছিলেন।

প‌রে উপ‌দেষ্টা ও স‌চি‌বের স‌ঙ্গে প্রস্তবনা নি‌য়ে এবি পার্টির প্রতিনিধিদল বিস্তারিত আলোচনা করে। এ সময় উপদেষ্টা ও সচিব নগরবাসীর পক্ষে  যৌক্তিক  প্রস্তাবনাসমূহ আমলে নিয়ে সেই আলোকে বাস্তবায়নের আশ্বাস দেন।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

অমর একুশে বইমেলা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক

অমর একুশে বইমেলা বাংলাদেশের মানুষের প্রাণের মেলা। মূলত প্রকাশকদের উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধ উত্তর বাংলাদেশে এই বইমেলার সূত্রপাত। সম্প্রতি এই বইমেলা নানা কারণে-অকারণে ডিসেম্বরে করার কথা শোনা যাচ্ছে। এ প্রেক্ষিতে সুস্পষ্টভাবে বলতেই হচ্ছে -ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলা করা যাবে না। কারণ সেসময় সারাদেশে শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা চলবে।

বইমেলার প্রধান পাঠক আমাদের শিক্ষার্থী। তারা ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলায় আসতে পারবে না। প্রধান পাঠকই যদি মেলায় আসতে না পারে তাহলে মেলা প্রাণহীন হয়ে পড়বে। বইমেলায় অংশগ্রহণকারি প্রকাশকরাও ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়বে। তাছাড়া একুশের চেতনাকে ধারণ করে যে অমর একুশে বইমেলা, সেটা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক। ভাষা শহীদদরর প্রতি বইমেলার মাধ্যমে আমাদের যে শ্রদ্ধাঞ্জলি, তা অক্ষুন্ন থাকুক। 

আরো পড়ুন:

রাজশাহীতে বইপড়ায় কৃতিত্বের পুরস্কার পেল ২৩০৩ শিক্ষার্থী

‘গল্পকারের পছন্দের ৫০ গল্প’ গ্রন্থ প্রকাশিত

সর্বোপরি ৫ জানুয়ারি থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, এই সময়ে বইমেলা হতে কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয়। অথবা তারিখ দুই একদিন এদিক-সেদিক করে নেয়া যেতে পারে। এ সময়ে রোজা নেই, নির্বাচনও নেই। নির্বাচনী ক্যাম্পেইন চলবে। এই মাঠে বইমেলা চলাকালীন সর্বদলীয় সিদ্ধান্তে কেউ সভা-সমাবেশ না করার সিদ্ধান্ত নিলে অনায়াসে এই সময়টাতে বইমেলা করা যেতে পারে। আমার বিশ্বাস- সব দলই অমর একুশে বইমেলার জন্য এই ছাড়টুকু দেবেন।

প্রায় পঞ্চাশ বছরের অধিক সময়ের  প্রচেষ্টায় অমর একুশে বইমেলা মহিরুহ হয়ে আমাদের কাছে আবির্ভূত, হঠকারি কোন সিদ্ধান্তে তা যেনো ধ্বংস হওয়ার উপক্রম না হয়। জেনে শুনে বাঙালির এতো বড় একটি সাংস্কৃতিক উৎসবকে ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্থ না করে বরং তা যে কোন মূল্যে আমাদের রক্ষা করা উচিত।

জানুয়ারিতে বাণিজ্যমেলায়ও হয়ে থাকে। এতে অমর একুশে বইমেলার ওপর কোনো বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে আমি তা মনে করি না। বইমেলার প্রধান পাঠক শিক্ষার্থী। তারা বইমেলায় আসার জন্য মুখিয়ে থাকে। বাণিজ্য মেলায় যাওয়ার লোকজন বেশির ভাগই আলাদা। তবে অনেকেই বইমেলা এবং বাণিজ্যমেলা দুটোতেই যান। এটা তারা ম্যানেজ করে নিতে পারবেন বলে আমার বিশ্বাস।

আমি বলেছি শুধুমাত্র মেলার মাঠ প্রাঙ্গনে সভা-সমাবেশ না করার মাধ্যমে যদি সর্বদলীয় একটা সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় তাহলে জানুয়ারি- ফেব্রুয়ারি মিলিয়ে  বইমেলা করা সম্ভব।আমার মনে হয়, বইমেলা চলাকালীন এই মাঠ কোন দলকে সভা-সমাবেশের জন্য সরকার বরাদ্দ না দিলে, অথবা বইমেলা চলাকালীন দলগুলো নিজের থেকেই এই মাঠের বরাদ্দ না চাইলে সমস্যা আর থাকে না।

লেখক: প্রকাশক পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স লিমিটেড

ঢাকা/লিপি

সম্পর্কিত নিবন্ধ