ভিন্ন ধরনের কৃষ্ণগহ্বরের খোঁজ মিলেছে
Published: 22nd, April 2025 GMT
রহস্যময় বস্তু কৃষ্ণগহ্বর। বিজ্ঞানীরা যত ধরনের কৃষ্ণগহ্বর শনাক্ত করেছেন, সব কটিরই সঙ্গী তারা দেখা যায়। বিজ্ঞানীরা মিল্কিওয়ে ছায়াপথে প্রথম একটি ভিন্ন ধরনের কৃষ্ণগহ্বরের খোঁজ পেয়েছেন, যেটা আসলে একা। নতুন খোঁজ পাওয়া এই কৃষ্ণগহ্বরের সঙ্গী কোনো তারা নেই। তারাহীন একা কৃষ্ণগহ্বরটি প্রায় পাঁচ হাজার আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত।
বিজ্ঞানীরা মিল্কিওয়ে ছায়াপথে সঙ্গী তারাহীন এই একা কৃষ্ণগহ্বরের অস্তিত্ব নিশ্চিত করেছেন। অ্যাস্ট্রোফিজিক্যাল জার্নালে প্রকাশিত হাবল স্পেস টেলিস্কোপের পর্যবেক্ষণের ওপর ভিত্তি করে এই কৃষ্ণগহ্বরের তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
২০২২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের বাল্টিমোরের স্পেস টেলিস্কোপ সায়েন্স ইনস্টিটিউটের জ্যোতির্বিদ কৈলাশ সাহু ও তাঁর সহকর্মীরা ধনু তারামণ্ডলে একটি অন্ধকার বস্তু ঘুরে বেড়াতে দেখেন। সে সময় এমন বস্তুর আবিষ্কার বেশ বিতর্ক তৈরি করেছিল। তখন অনেকেই মনে করেছিলেন, এটি আসলে একটি নিউট্রন তারা। সেই তারাকে বিশ্লেষণ করার সময় কৃষ্ণগহ্বরের তথ্য পান বিজ্ঞানীরা। ২০১১ থেকে ২০১৭ সালের তথ্য বিশ্লেষণের পরে দেখা যাচ্ছে, এটি আসলে কৃষ্ণগহ্বর। গবেষকেরা ভালো প্রমাণের জন্য হাবল ও গাইয়া স্পেস প্রোবের ২০২১ থেকে ২০২২ সালের তথ্য পর্যবেক্ষণ করেন।
এর আগে যত কৃষ্ণগহ্বর শনাক্ত করা গেছে সব ক্ষেত্রে সঙ্গী তারা দেখা যায়। কৃষ্ণগহ্বর সব আলো শুষে নেয় বলে মহাকর্ষীয় লেন্সিং প্রভাবের কারণে সঙ্গী তারার উপস্থিতি ছাড়া তাদের শনাক্ত করা সাধারণভাবে কঠিন। অন্য একটি দূরবর্তী তারার সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় কৃষ্ণগহ্বরটি লক্ষ করেন বিজ্ঞানীরা। তখন দেখা যায়, দূরের তারাটি আসলে যে অন্ধকার বস্তুটিকে অনুসরণ করছিল তা সূর্যের ভরের প্রায় সাত গুণ বেশি। এই ভরের কারণে বস্তুটি নিউট্রন তারা হতে পারে না বলে মতামত দেন তাঁরা। গভীর বিশ্লেষণের মাধ্যমে কৃষ্ণগহ্বরের খোঁজ মিলল।
একলা কৃষ্ণগহ্বরটি পৃথিবী থেকে পাঁচ হাজার আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত। মিল্কিওয়ে ছায়াপথের কেন্দ্রে অবস্থিত ২৭ হাজার আলোকবর্ষ দূরের অতিবৃহৎ কৃষ্ণগহ্বর স্যাজিটেরিয়াস স্টারের চেয়ে অনেক কাছে অবস্থিত কৃষ্ণগহ্বরটি। বিজ্ঞানীরা একক এই কৃষ্ণগহ্বরের আরও তথ্য সংগ্রহ করতে ২০২৭ সালে ন্যান্সি গ্রেস রোমান স্পেস টেলিস্কোপ ব্যবহার করবেন বলে জানিয়েছেন।
সূত্র: এনডিটিভি
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: অবস থ ত
এছাড়াও পড়ুন:
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে আবেদন আজ বিকেলে, ক্লাস ১৩ নভেম্বর
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোতে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষ স্নাতক (পাস) প্রোগ্রামে ভর্তি কার্যক্রম আজ মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টা থেকে শুরু হচ্ছে। আবেদন করা যাবে আগামী ১৫ অক্টোবর রাত ১২টা পর্যন্ত। এ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের ক্লাস শুরু হবে ১৩ নভেম্বর থেকে। গত রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলা হয়েছে।
ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন যেসব শিক্ষার্থী
২০২০, ২০২১ ও ২০২২ সালের এসএসসি বা সমমান এবং ২০২২, ২০২৩ ও ২০২৪ সালের এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন ভর্তির জন্য। কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের এইচএসসি (ভোকেশনাল), এইচএসসি (বিজনেস ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড টেকনোলজি) ও ডিপ্লোমা-ইন-কমার্স উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরাও আবেদন করতে পারবেন। এ-লেভেল, ও-লেভেল ও বিদেশি সনদধারীদের ক্ষেত্রে নির্ধারিত নিয়মে সরাসরি ডিন অফিসে বা ই–মেইলে আবেদন করতে হবে শিক্ষার্থীদের।
যেসব শিক্ষার্থী গত দুই শিক্ষাবর্ষে (২০২২-২৩ ও ২০২৩-২৪) স্নাতক (সম্মান), স্নাতক (সম্মান) প্রফেশনাল বা স্নাতক (পাস) প্রোগ্রামে ভর্তি হয়ে রেজিস্ট্রেশন কার্ড পেয়েছেন, তাঁরা এই শিক্ষাবর্ষে নতুন করে ভর্তি হতে পারবেন না। তবে পূর্ববর্তী ভর্তি বাতিল করে নতুন শিক্ষাবর্ষে আবেদন করতে পারবেন। একই সঙ্গে কোনো শিক্ষার্থী দ্বৈত ভর্তি হলে তাঁর উভয় ভর্তি ও রেজিস্ট্রেশন বাতিল হবে।
আবেদন ফি ৪০০ টাকা
ভর্তি ফি হিসেবে প্রাথমিক আবেদন ফি ৪০০ টাকা, যার মধ্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অংশ ২৫০ টাকা এবং কলেজের অংশ ১৫০ টাকা। ভর্তি নিশ্চিত হওয়ার পর রেজিস্ট্রেশন ফি ৭২০ টাকা জমা দিতে হবে। কলেজ কর্তৃপক্ষ আবেদনকারীর তথ্য যাচাই করে অনলাইনে নিশ্চয়ন করবে। তবে নিশ্চয়ন ছাড়া কোনো আবেদনকারীকে মেধাতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে না। আবেদন ফি ১৯ অক্টোবরের মধ্য জমা দিতে হবে।
আরও পড়ুনবাংলাদেশ বিমানে ইন্টার্নশিপ, দৈনিক হাজিরায় সম্মানী ৬০০ টাকা৪ ঘণ্টা আগেআবেদনকারীদের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে প্রতিটি কলেজের জন্য আলাদাভাবে কোর্সভিত্তিক মেধাতালিকা প্রণয়ন করা হবে। একই মেধা নম্বরপ্রাপ্ত হলে এসএসসি ও এইচএসসির জিপিএ (৪০: ৬০ অনুপাতে) এবং প্রয়োজনে মোট নম্বরের ভিত্তিতে মেধাক্রম নির্ধারণ করা হবে। এরপরও সমতা থাকলে বয়স কম শিক্ষার্থীকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। ভর্তি কার্যক্রম ধাপে ধাপে প্রথম মেধাতালিকা, দ্বিতীয় মেধাতালিকা, কোটার মেধাতালিকা এবং প্রথম ও দ্বিতীয় রিলিজ স্লিপের মাধ্যমে সম্পন্ন হবে। তবে এবারও তৃতীয় রিলিজ স্লিপে আবেদন করার সুযোগ থাকবে না।
বিস্তারিত দেখুন এখানে
আরও পড়ুনবিনা মূল্যে ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ, সুযোগ পাবেন ৪৮ জেলার যুবরা১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫আরও পড়ুন১২ দিনের ছুটিতে যাচ্ছে সরকারি নিম্ন মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫