সিলেট টেস্টের প্রথম দিন জিম্বাবুয়ে নিজেদের করে নিয়েছিল। তবে দ্বিতীয় দিনে দাপট দেখিয়েছে বৃষ্টি। বৃষ্টির দাপটের মধ্যেও বাংলাদেশ মন্দ লড়াই করেনি। আবার জিম্বাবুয়েকেও পিছিয়ে রাখার উপায় নেই। সফরকারী দলের পেসার ব্লেসিং মুজারাবানি অবশ্য স্বীকার করেছেন, বাংলাদেশের বিপক্ষে তাদের দিনটা সহজ ছিল না। তবে তিনি এও মনে করছেন, এখনো তারা ম্যাচে ভালোভাবেই টিকে আছেন।

“আজ আমাদের জন্য দিনটা কঠিন ছিল। বাংলাদেশ খুব ভালো লড়াই করেছে। তবুও আমরা ব্যাপারটা ইতিবাচকভাবে নিচ্ছি।”

নিজের শক্তির জায়গা নিয়ে তিনি বলেন, “বডিতে হার্ড লেংথ বল করাটাই আমার মূল অস্ত্র। আমি মনে করি না বাংলাদেশ শর্ট বলের বিপক্ষে বিশেষ দুর্বল। এটা আমার ১ নম্বর স্কিল।”

আরো পড়ুন:

জয়কে নিয়ে নিজেকেও কাঠগড়ায় তুলেছেন মুমিনুল

মুশফিকের হয়ে ‘ব্যাট’ করলেন মুমিনুল

জিম্বাবুয়ের লক্ষ্য নিয়ে তিনি আরও বলেন, “আদর্শ পরিস্থিতিতে আমরা চাইবো ২০০ রানের নিচে থামাতে। তবে রানের কথা না ভেবে আমাদের উচিত উইকেট নেওয়ার দিকে মনোযোগ দেওয়া। বাংলাদেশের উইকেট পাওয়া সহজ হবে না। আমাদের আরও বেশি নিয়ম মেনে খেলতে হবে।”

বাংলাদেশের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর প্রশংসা করে তিনি বলেন, “সে এখন দারুণ খেলছে। তবে ক্রিকেটে এমন হতেই পারে। আমরা আগামী দিনের জন্য আশাবাদী। আশা করছি ভালো জায়গা থেকে শুরু করতে পারবো।”

জিম্বাবুয়ের আরও বেশি টেস্ট ম্যাচ খেলা দরকার উল্লেখ করে মুজারাবানি বলেন, “আমাদের আরও বেশি ম্যাচ খেলা দরকার। যদি ভালো পারফর্ম করি, তাহলে আইসিসি আমাদের আরও ম্যাচ দেবে। সামনে বেশ কিছু টেস্ট রয়েছে, সেগুলোতে আমরা ভালো খেলতে চাই।”

শেষে আত্মবিশ্বাস নিয়ে বলেন, “আমরা এখনো ম্যাচে আছি। টেস্ট ক্রিকেট ধৈর্যের খেলা, একেক দিন একেক রকম হয়। আমাদের বিশ্বাস আছে, আমরা এখনো এগিয়ে আছি।”

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আম দ র আরও ব র আরও

এছাড়াও পড়ুন:

বেড়েছে মাছ, মুরগি ও ডিমের দাম

উৎপাদন ও বাজারে সরবরাহ কম থাকায় বেড়েছে ডিমের দাম। বিক্রেতারা বলছেন, উৎপাদন কম হওয়ায় খামারিরা মুরগি বিক্রি করে দিচ্ছেন এবং টানা বৃষ্টিপাতের জন্য সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে।

শুক্রবার (১ আগস্ট) রাজধানীর নিউ মার্কেট, রায়েরবাজারসহ গুরুত্বপূর্ণ বাজারগুলো ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত সপ্তাহে ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হয়েছে প্রতি ডজন ১২০ টাকায়, এ সপ্তাহে তা বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকায়। সেই হিসেবে ডিমের দাম বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা।

সবজির দাম স্বাভাবিক
এ সপ্তাহে বাজারে টমেটো ছাড়া অন্যান্য সবজির দাম স্বাভাবিক আছে। গত সপ্তাহে টমেটো বিক্রি হয়েছিল ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়, এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়। কাঁচামরিচ ২০০ টাকা, শশা ৭০ টাকা, বেগুন ৭০ থেকে ৮০ টাকা, করলা ৭০ টাকা, গাজর (দেশি) ১২০ থেকে ১৩০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ টাকা, বরবটি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, কাকরোল ৬০ টাকা, কচুরমুখী ৬০ টাকা, প্রতিটি পিস জালি কুমড়া ৫০ টাকা এবং লাউ ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মুদিবাজারে চালসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম স্থিতিশীল আছে। তবে, পেঁয়াজের দাম সামান্য বেড়েছে। এ সপ্তাহে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি দরে। গত সপ্তাহে ৫৫ টাকায় কেজিতে বিক্রি হয়েছে। প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায়। রসুন ১৮০ থেকে ২০০ টাকা এবং দেশি আদা ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বেড়েছে মাছ ও মুরগির দাম
বিক্রেতারা বলছেন, নদীতে পানি বৃদ্ধির জন্য জেলেদের জালে মাছ কম ধরা পড়ছে এবং উজানের পানিতে খামারিদের পুকুর ও ঘের তলিয়ে যাওয়ায় মাছের দাম বেড়েছে। বাজারে এখন মাঝারি সাইজের চাষের রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে থেকে ৩৫০ টাকায়। চাষের পাঙাসের কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০ থেকে ২২০ টাকা, মাঝারি সাইজ কৈ মাছ ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা, দেশি শিং ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা, বড় সাইজের পাবদা ৬০০ টাকা, চিংড়ি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, দেশি পাঁচমিশালি ছোট মাছ ৬০০ টাকা এবং এক কেজির বেশি ওজনের ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার ৬০০ টাকায়।

এ সপ্তাহে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে  ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা, যা গত সপ্তাহ ছিল ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা। সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায়। গরুর মাংস ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা এবং খাসির মাংস ১ হাজার ১৫০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ঢাকা/রায়হান/রফিক 

সম্পর্কিত নিবন্ধ