এক দিনে নতুন দুটি শাখার উদ্বোধন করেছে বেকারি ব্র্যান্ড ‘লা ডেলিশিয়া’। শাখা দুটির একটি বনশ্রী (প্লট-এম, রোড-৮, ব্লক-এল, দক্ষিণ বনশ্রী), অন্যটি মিরপুর ২-এ (অ্যাভিনিউ ৩, হাজী রোড, ব্লক-এ, ঢাকা কমার্স কলেজের বিপরীতে)। আধুনিক ডাইন-ইন পরিবেশ ও দ্রুত টেকঅ্যাওয়ে সুবিধাসমৃদ্ধ এসব আউটলেট প্রতিদিন সকাল ৭টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ডেলিশিয়ার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মন্নুজান নার্গিস বলেন, ‘প্রতিটি নতুন আউটলেট আমাদের জন্য একটি নতুন এলাকার সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলার সুযোগ। বনশ্রীতে আমাদের নতুন যাত্রা সেই সম্পর্ককে আরও গভীর ও আন্তরিক করার একটি পদক্ষেপ। আমরা সবসময় চেষ্টা করি প্রতিটি পণ্যে বিশ্বমানের স্বাদ, সতেজতা এবং স্বাস্থ্যবিধির প্রতি দায়িত্ববোধ বজায় রাখতে। গ্রাহকের আস্থা আমাদের সবচেয়ে বড় অর্জন।’
নতুন আউটলেটগুলোয় থাকছে লা ডেলিশিয়ার স্বাক্ষর, সব আইটেম ক্ল্যাসিক ও কাস্টমাইজড কেক, ফ্রেশ পেস্ট্রি, হ্যান্ডক্রাফটেড ডোনাট, আর্টিসান কুকিজ, প্রিমিয়াম ডেজার্ট এবং ভিন্নধর্মী স্যাভরি। লা ডেলিশিয়া দেশের শীর্ষস্থানীয় ফ্যাশন ব্র্যান্ড ‘লা রিভ’-এর একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান। বর্তমানে ঢাকায় বিভিন্ন স্থানে প্রতিষ্ঠানটির আটটি আউটলেট সফলভাবে পরিচালিত হচ্ছে। গ্রাহকরা লা ডেলিশিয়ার ওয়েবসাইট ও ফেসবুক পেজের মাধ্যমে ঘরে বসে অর্ডার করতে পারবেন তাদের পছন্দের কেক ও বেকড আইটেম।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আউটল ট
এছাড়াও পড়ুন:
স্টিভ জবসের মডেল কন্যাকে কতটা জানেন?
মার্কিন ফ্যাশন মডেল ইভ জবস। অ্যাপল কম্পিউটারের সহপ্রতিষ্ঠাতা স্টিভ জবসের কন্যা তিনি। স্টিভ জবস ও লরেন পাওয়েল জবস দম্পতির কন্যা ইভ।
কয়েক দিন আগে বয়সে ছোট প্রেমিকের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন ২৭ বছরের ইভ। তার বরের নাম হ্যারি চার্লস। যুক্তরাজ্যের নাগরিক হ্যারি অলিম্পিকে স্বর্ণপদকজয়ী অশ্বারোহী। বয়সে ইভের চেয়ে এক বছরের ছোট হ্যারি। গ্রেট ব্রিটেনে এ জুটির বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়।
ডেইলি মেইল এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ইভের জাঁকজমকপূর্ণ বিয়েতে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ধনাঢ্য পরিবারের লোকজন। এ তালিকায় রয়েছেন—তারকা শেফ ব্যারনেস রুথ রজার্স, বিল গেটসের মেয়ে জেসিকা, রোমান আব্রামোভিচের মেয়ে সোফিয়া প্রমুখ। অ্যাপলের প্রতিষ্ঠাতা উত্তরাধিকারীর পরিবার এবং বন্ধুবান্ধবদের বিলাসবহুল মিনিবাসের স্রোত বইছিল বিয়ের ভেন্যুতে।
জাকজমকপূর্ণ বিয়েতে কত টাকা খরচ হয়েছে তা নিয়ে চলছে জল্পনা-কল্পনা। সংবাদমাধ্যমটিকে প্রয়াত স্টিভ জবসের স্ত্রী লরেন পাওয়েল জবস বলেন, “ইভ-হ্যারির বিয়েতে ৫ মিলিয়ন পাউন্ড খরচ হয়েছে (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৯০ কোটি ২৮ লাখ টাকার বেশি)।
১৯৯১ সালে লরেন পাওয়েলকে বিয়ে করেন স্টিভ জবস। এ সংসারে তাদের তিন সন্তান। ইভ এ দম্পতির কনিষ্ঠ কন্যা। ১৯৯৮ সালের ৯ জুলাই ক্যালিফর্নিয়ায় জন্ম। তার বড় বোন এরিন, ভাইয়ের নাম রিড। লিসা নামে তার একটি সৎবোনও রয়েছে।
ইভা পড়াশোনা করেছেন স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে। ২০২১ সালে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি এবং সমাজ (সায়েন্স, টেকনোলজি অ্যান্ড সোসাইটি) বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি। একই বছর প্যারিসে ‘কোপের্নি’ সংস্থার হাত ধরে মডেলিং দুনিয়ায় পা রাখেন। মডেলিং জগতে পা রেখেই চমকে দেন স্টিভ-তনয়া।
অনেকে নামিদামি ব্র্যান্ডের সঙ্গে কাজ করেছেন ইভ। বিখ্যাত ব্যাগ প্রস্তুতকারী সংস্থা লুই ভিতোঁরের মডেল হিসেবেও কাজ করেছেন তিনি। মডেলিংয়ের পাশাপাশি অশ্বারোহী হিসাবেও খ্যাতি রয়েছে ইভের। এক সময় বিশ্বের ২৫ বছরের কম বয়সি ১ হাজার সেরা অশ্বারোহীর মধ্যে পঞ্চম স্থানে ছিলেন তিনি।
মাত্র ছয় বছর বয়সে ঘোড়ার পিঠে চড়ে দৌড় শুরু করেছিলেন স্টিভ জবস তনয়া। ঘোড়ায় চড়ার প্রশিক্ষণের পাশাপাশি মেয়ে যাতে পড়াশোনায় মন দেয়, সে দিকে বরাবরই সজাগ দৃষ্টি ছিল ইভের বাবা-মায়ের। তবে গ্রীষ্মাবকাশ ও বসন্তের ছুটির সময়ে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার জন্য বাবা-মায়ের অনুমতি পেতেন ইভ।
ইভ যেখানে অশ্বারোহণের প্রশিক্ষণ নেন, সেই জায়গার মূল্য দেড় কোটি ডলার। ইভ প্রশিক্ষণ শুরু করার পর তার মা ওই জায়গা কিনে নিয়েছিলেন। তবে মডেল হওয়ার কোনো পরিকল্পনা কখনো ছিল না ইভের। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, “আগে কখনো মডেলিং করিনি। তবে প্রস্তাব পেয়ে ঘাবড়ে যাইনি। আমার মনে হয়েছিল, কেন নয়? এই প্রস্তাব আমাকে আকৃষ্ট করেছিল।”
ঢাকা/শান্ত