Samakal:
2025-06-15@23:40:06 GMT

স্কুলগামী শিশুর খাবার

Published: 22nd, April 2025 GMT

স্কুলগামী শিশুর খাবার

গরমে শিশুর পুষ্টি ঠিক রাখার জন্য বিশেষ যত্নের প্রয়োজন। বিশেষ করে যারা স্কুলগামী শিশু রয়েছে তাদের প্রতি বিশেষ যত্ন নিতে হবে। তাপ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শিশুর পরিপাকতন্ত্র বা ইমিউন সিস্টেম সাধারণত দুর্বল হয়ে পড়ে। প্রচণ্ড গরমে ছোটাছুটি করে তারা ক্লান্ত হয়ে পড়ে এবং নানা ধরনের রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ে। এ সময় সাধারণত বাচ্চাদের মধ্যে ডিহাইড্রেশন বা পানি শূন্যতা, ডায়রিয়া, জন্ডিস বা টাইফয়েড হতে দেখা যায় এবং বিভিন্ন ধরনের ইনফেকশন বা জ্বরের প্রবণতা দেখা যায়। 
যেহেতু তাদের সারাদিনের ক্যালরি এবং প্রোটিনের চাহিদা অনেক বেশি থাকে, তাই তাদের জন্য সঠিক ও নিরাপদ খাবার সঠিক পরিমাণে নির্বাচনের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে। এ ক্ষেত্রে অবশ্যই তাদের ঘরের খাবারে অভ্যস্ত করানোর ব্যাপারে জোর দিতে হবে এবং বাইরের কেনা খাবার যতটুকু সম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে। খুব বেশি লবণাক্ত, প্রসেসড খাবার, ঝাল জাতীয় বা মিষ্টি জাতীয় খাবারগুলো তাদের দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। খুব বেশি ঠান্ডা বা ফ্রিজের খাবারগুলো সরাসরি খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। খাবারগুলো স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে যেন তৈরি হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। বাচ্চাদের টিফিনে এমন খাবার দিতে হবে যেন খাবারগুলোয় ব্যাকটেরিয়া সহজে না জন্মায়। শুকনো জাতীয় খাবারগুলো তাদের দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে– যেমন খেজুর, বাদাম, বিস্কিট, কলা, আপেল, কমলা, ডিম চপ, মুরগির কাবাব, মোমো, কাটলেট নুডলস, স্যান্ডউইচ ইত্যাদি। তবে খুব বেশি ভাজা জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলাই ভালো।
খাবার এবং পানীয় অবশ্যই ফুড গ্রেড উপকরণের পাত্রে দিতে হবে। যে কোনো প্লাস্টিকের পাত্র ছয় মাসের বেশি ব্যবহার করা যাবে না। পানি বা পানীয় জাতীয় খাবারের ক্ষেত্রে স্টিল বা কাচের বোতল ব্যবহার করতে পারলে ভালো। স্কুলগামী বাচ্চারা যেন স্কুলে যাওয়ার আগে কোনোভাবেই নাশতা বাদ না দেয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে এবং সহজপাচ্য নাশতা তাদের জন্য নির্বাচন করা বেশ জরুরি। সে ক্ষেত্রে নরম সবজির খিচুড়ি, হাতে বানানো রুটি, চিকেন স্যুপ বা ওটস তাদের জন্য হতে পারে উপযুক্ত খাবার। তাদের খাবারের তালিকা থেকে যেন ডিম বাদ না পড়ে যায়, সেদিকেও বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে। 
তাদের খাবারের তালিকায় অবশ্যই ফল, শাক এবং সবজি জাতীয় খাবারগুলো উল্লেখযোগ্য পরিমাণে থাকতে হবে; যা থেকে তারা প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন মিনারেলস ও ফাইবার পাবে এবং পাশাপাশি তরল জাতীয় খাবারগুলোর দিকেও বেশি জোর দিতে হবে। যেমন ফলের (বাঙ্গি, তরমুজ, কমলা, মাল্টা, আম, বেল) শরবত, ডাবের পানি, লেবুর শরবত, দই দিয়ে লাচ্ছি বা মাঠা। দুধ জাতীয় খাবারে যদি তাদের হজমে সমস্যা হয় তাহলে সরাসরি দুধ না দিয়ে দুধের তৈরি খাবার যেমন– পায়েস, সেমাই, পুডিং, কাস্টার্ড বা ফালুদা তাদের একবেলা দেওয়া যেতে পারে। তাদের প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় মাছ বা মুরগি রাখতে হবে, যা প্রোটিনের খুব ভালো উৎস। অল্প অল্প খাবার বারবার তাদের দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে। তাদের জন্য নিরাপদ পানির ব্যবস্থা করতে হবে এবং তারা সারাদিন কতটুকু পানি গ্রহণ করছে সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। সাধারণত বয়সভেদে শিশুদের জন্য দেড় থেকে আড়াই লিটার পানি পান করতে হয়। সহজপাচ্য, স্বাস্থ্যসম্মত ও সুষম খাদ্যাভ্যাস মেনে চলার মাধ্যমে এ গরমেও শিশু থাকবে রোগমুক্ত, সুস্থ ও সুন্দর। 
পুষ্টিবিদ, এভারকেয়ার হাসপাতাল, ঢাকা

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ত দ র জন য খ ব রগ ল

এছাড়াও পড়ুন:

চলন্ত বাসে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ, চালক আটক

ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরার পথে এক কলেজছাত্রীকে চলন্ত বাসে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। নবীগঞ্জ-শেরপুর সড়কে রোববার রাতে যাত্রীবাহী বাসে এ ঘটনা ঘটে। পরে ওই ছাত্রীর চিৎকার শুনে স্থানীয় জনতা সড়কের তিনতালাব পুকুর পাড় নামক স্থানে বাসটি আটক করে এবং বাসের ড্রাইভারকে আটক করে সেনাবাহিনীর নিকট হস্তান্তর করে। এসময় বাসের হেলপার পালিয়ে যায়।
 
পরে সেনাবাহিনীর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হারুনুর রশিদের নেতৃত্বে একদল সেনা সদস্য ওই কলেজ ছাত্রী ও ড্রাইভারকে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করে। এ বিষয়ে নবীগঞ্জ থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

জানা যায়, ঢাকায় একটি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে পড়ে ওই ছাত্রী। রোববার সকালে ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে একটি বাসে উঠেন তিনি। তার গ্রামের বাড়ি যেতে বানিয়াচং যাওয়ার পথে শায়েস্থাগঞ্জ বাস স্ট্যান্ডে নামার কথা থাকলেও তিনি বাসের মধ্যে ঘুমিয়ে যান। ফলে বাস তাকে শায়েস্থাগঞ্জে না নামিয়ে শেরপুর বাসস্ট্যান্ডে নামিয়ে দেয়। সেখান থেকে রাত সাড়ে ১০টায় ওই কলেজছাত্রী একটি লোকাল বাসে উঠে। সেই বাসে কয়েকজন যাত্রী ছিল, বাসটি নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি নামক স্থানে পৌঁছালে অন্যান্য যাত্রীদের নামিয়ে দেয়। এরপর ওই ছাত্রীকে একা পেয়ে বাসের চালক ও হেলপার তাকে বাসে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।

এ বিষয়ে ওই ছাত্রী জানায়, তিনি ঢাকায় একটি কলেজে লেখাপড়া করেন। তার পরিবারের সবাই ঢাকায় থাকে তিনি ঢাকায় ঈদ করেছে। ঈদের ছুটিতে তিনি বাড়ি আসেননি এই জন্য আজকে গ্রামের বাড়িতে আসছিলেন।

বানিয়াচং থানার সেনাক্যাম্পের সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হারুনুর রশিদ বলেন, আমরা কলেজছাত্রী ও বাস চালককে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করেছি।

এ বিষয়ে নবীগঞ্জ থানার ওসি দুলাল মিয়া জানান, ঘটনার পর বাস চালককে আটক করা হয়েছে এবং হেলপার পালিয়ে গেছে। এ ব্যাপারে মামলা লেখার কাজ চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ