খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) চলমান আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ করেছেন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা। 

বুধবার (২৩ এপ্রিল) সকাল পৌনে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয় বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে যশোর চৌগাছা মহাসড়ক অবরোধ করে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়।

বিক্ষোভ মিছিলে শিক্ষার্থীরা ‘ভিসি মাসুদের বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘দালাল ভিসির বিরুদ্ধে ডাইরেক্ট একশন’, ‘কুয়েট তোমার ভয় নাই রাজপথ ছাড়ি নাই’, ‘এক দুই তিন চার, ভিসি মাসুদ তুই গদি ছাড়’, ‘দিয়েছি তো রক্ত আরো দেবো রক্ত’, ‘স্বৈরাচারের কালো হাত ভেঙ্গে দাও গুড়িয়ে দাও’, ‘এই মুহূর্তে খবর এলো কুয়েট ভিসি পালিয়ে গেল’, ‘স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে ডাইরেক একশন’, ‘দিল্লি না খুলনা? খুলনা খুলনা’, ‘আপস না সংগ্রাম? সংগ্রাম সংগ্রাম’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।

সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, জুলাই আন্দোলনের পরে আমরা কুয়েটের উপাচার্য মাসুদের মতো একজন স্বৈরাচার চাই না। কুয়েট প্রশাসন আন্দোলনকারী ৩৭ জন শিক্ষার্থীকে অন্যায়ভাবে বহিষ্কার করেছে। যারা এক সময় জুলাই আন্দোলনের সৈনিক ছিল, আজ তারাই অধিকার আদায়ে অনশন করতে বাধ্য হয়েছে। সেখানে তাদের স্বাস্থ্যের অবনতি হচ্ছে, তারা না খেয়ে দিন পার করছে। কিন্তু তাদের পক্ষে উপাচার্য কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না।

তারা বলেন, এ রকম উপাচার্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় চলতে পারে না। অবিলম্বে তাকে পদত্যাগ করতে হবে। যদি আপনি আমাদের ভাইদের দাবি মেনে নিয়ে পদত্যাগ না করেন, দেশের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলন আরও তীব্র আকার ধারণ করবে। আমরা মার্চ ফর কুয়েট কর্মসূচি গ্রহণ করব।

ঢাকা/ইমদাদুল/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ইসরায়েলে নতুন করে শুরু ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, ইরান থেকে নতুন করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু হয়েছে। একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত করেছে ইসরায়েল। বর্তমানে হামলা প্রতিহত করার কাজ চলছে বলে জানিয়েছে আইডিএফ।

আজ সোমবার সিএনএনের এক খবরে বলা হয়েছে, তেল আবিব ও জেরুজালেমসহ ইসরায়েলের বিভিন্ন শহরে জরুরি সতর্ক সংকেত (সাইরেন) বাজতে শুরু করেছে। আইডিএফ সতর্ক করে বলেছে, তাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পুরোপুরি অভেদ্য নয়।

সিএনএনের একজন প্রযোজক জেরুজালেমে সাইরেন এবং একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন। তার তোলা ভিডিওতে আকাশে বহু ক্ষেপণাস্ত্র ছুটে যেতে দেখা গেছে।

ইসরায়েলের জরুরি পরিষেবা সংস্থা ম্যাগেন ডেভিড আদোম জানিয়েছে, তাদের দলগুলো আক্রান্ত এলাকার দিকে রওনা দিয়েছে।

সারা দেশের নাগরিকদের আশ্রয়কেন্দ্রে ঢুকতে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সেখানে থাকার আহ্বান জানিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এক্সে দেওয়া এক পোস্টে বলেছে, বর্তমানে বিমানবাহিনী হামলা প্রতিহত করার পাশাপাশি পাল্টা হামলা চালানোর কাজ করছে।

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম ওয়াইনেট নিউজ জানিয়েছে, মধ্য ইসরায়েলের পেতাহ টিকভা শহরের একটি ভবনে একটি ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র সরাসরি আঘাত হেনেছে। হামলার ফলে ওই স্থানে আগুন ধরে যায়। তবে এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

এদিকে মধ্য ইরানে একাধিক বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। দেশটির সেনাবাহিনী এ তথ্য জানিয়েছে। আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সেনাবাহিনীর দাবি, বিভিন্ন ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপনা লক্ষ্য করে এসব হামলা চালানো হয়েছে।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ইসরায়েলি বিমানবাহিনী সফলভাবে মধ্য ইরানে অবস্থিত একাধিক স্থাপনায় আঘাত হেনেছে। আমাদের গোয়েন্দা তথ্য বলছে, এসব স্থাপনা থেকে ইসরায়েলের দিকে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হচ্ছিল।’

তবে ইসরায়েলের এই হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইরান এখনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি।

এদিকে ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি বিমান হামলায় রোববার পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২২৪ জনে পৌঁছেছে।

বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিহতদের মধ্যে ৯০ শতাংশেরও বেশি বেসামরিক নাগরিক। হামলায় ১ হাজার ২৭০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।

এপির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, গত ১৩ জুন ইরানে বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল। ওই হামলায় ইরানের নাতাঞ্জ ও ইসফাহান অঞ্চলের পারমাণবিক স্থাপনা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তা ও পারমাণবিক বিজ্ঞানী নিহত হন। ইরানে বর্তমানে মসজিদ ও মেট্রো স্টেশনগুলোকে অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ