বাংলাদেশ জাতীয় পল্লী উন্নয়ন সমবায় ফেডারেশনের উপদেষ্টা মো. বিল্লাল হোসেনের সঙ্গে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর দিলকুশার ফেডারেশন ভবনে এই সভা হয়।

বিল্লাল হোসেন একজন অভিজ্ঞ সমবায়ী নেতা, আকুবপুর উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। তিনি স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এবং বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার পিতা।

সভায় সভাপতিত্ব করেন ফেডারেশনের সভাপতি ও পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য এইচ এম হাসান আল মামুন (লিমন)।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ফেডারেশনের সহ-সভাপতি নাফিজ উদ্দিন চৌধুরী, পরিচালক মো.

নুরুল ইসলাম, মো. নুরুল হক, এ এম শাহিন, মো. সাইফুল্লাহ আজাদ, মো. শফিউল আজম খান, মো. ইউসুফ নিজামী, মো. শরীফুল ইসলাম, মো. ফখরুল ইসলাম, মো. শাহাবুদ্দিন মিয়া, মো. মোস্তাফা কামাল, মুরাদনগর উপজেলা কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতির সভাপতি মো. জসিম মিয়া ও প্রাক্তন সভাপতি হাজী মো. শফিকুল ইসলাম প্রমুখ।

ঢাকা/মাকসুদ/এনএইচ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ল ইসল ম সমব য়

এছাড়াও পড়ুন:

বাংলায় কথা বললেই বাংলাদেশে পাঠিয়ে দিচ্ছে বিএসএফ

বাংলায় কথা বললেই পশ্চিমবঙ্গের বাঙালিদের বাংলাদেশে জোর করে পাঠিয়ে দিচ্ছে বিএসএফ ও দিল্লির কেন্দ্রীয় সরকার। আজ সোমবার পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিধানসভার অধিবেশনে সীমান্ত সুরক্ষা ও পুশ ব্যাক বিষয়ে বিধায়কদের আনা প্রশ্নের উত্তরে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 

সম্প্রতি মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলার বাসিন্দা মেহবুব শেখকে (৩৬) ঠেলে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দিয়েছে বিএসএফের উত্তরবঙ্গের শাখা। ওই ব্যক্তি মহারাষ্ট্রের ঠাণেতে রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। গত ১১ জুন তাকে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী হিসেবে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। 

মেহবুবের ভাই মুজিবুর রহমান জানান, তার বড় ভাইকে গত শুক্রবার ভোর রাতে শিলিগুড়ির বিএসএফ বাংলাদেশে ‘পুশ ব্যাক’ করেছে। তিনি আরও জানান, পশ্চিমবঙ্গ পরিযায়ী শ্রমিক কল্যাণ পর্যদের সভাপতি সামিরুল ইসলাম ওই শ্রমিকের দুর্দশার বিষয়টি জানার পর মহারাষ্ট্র পুলিশের যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় নথিপত্র পাঠান। তার মধ্যে মেহবুবের আধার কার্ড, ভোটার কার্ড, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের বিস্তারিত বিবরণ ও পঞ্চায়েতের সার্টিফিকেট রয়েছে। তবে মহারাষ্ট্র পুলিশ ওই সব নথিপত্রকে গুরুত্ব দেয়নি। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের পক্ষেও মহারাষ্ট্র পুলিশকে মেহবুবের ভারতীয় নাগরিকত্ব নিশ্চিত করে রিপোর্ট পাঠানো হয়েছিল ঠাণেতে। তাতেও কাজ হয়নি।

মেহবুবের ভাই গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তারা মুম্বাইয়ের ঠাণেতে গেলে মহারাষ্ট্র পুলিশ বলেছে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী সন্দেহে আটক মেহবুবসহ আরও কয়েকজনকে তারা শিলগুড়িতে বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করে। শিলিগুড়ির বিএসএফের ইউনিটে তাদের প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। পরে তারা জানতে পারেন, গত শুক্রবার ভোরে মেহবুবসহ আটক সবাইকে ‘পুশ ব্যাক’ করা হয়েছে। যদিও সরকারিভাবে বিএসএফ এবং মহারাষ্ট্র পুলিশ এই বিষয়ে কিছু জানায়নি। গত এক দেড় মাস ধরে বিএসএফের পুশ ব্যাক চললেও এই বাহিনী সরকারিভাবে কিছু জানাচ্ছে না। অন্যদিকে, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবি একাধিকবার সংবাদ সম্মেলন করে অভিযোগ করেছে, বিএসএফ এমন অনেককে ঠেলে পাঠাচ্ছে যাদের কাছে ভারতীয় হিসেবে নথিপত্র আছে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ