দুবাইয়ে ৫৪তম স্বাধীনতা দিবসে কূটনৈতিকদের সংবর্ধনা
Published: 23rd, April 2025 GMT
বাংলাদেশের ৫৪তম স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে দুবাইয়ে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল এক জমকালো সংবর্ধনার আয়োজন করেছে। মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) রাতে পাঁচ তারকা হোটেল অনন্তরার বলরুমে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে কূটনৈতিক অঙ্গনে ছিল উৎসবের আমেজ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আমিরাতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দুবাই অফিসের হেড অব প্রোটোকল অ্যান্ড অপারেশন মুহাম্মদ আল বাহারি।
রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ ও কনসাল জেনারেল মুহাম্মদ রাশেদুজ্জামান তাদের বক্তব্যে বলেন, ড.
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন দূতালয় প্রধান আশফাক হোসেন। এতে যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, মালয়েশিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, জাপান, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইনসহ প্রায় ৩০টি দেশের কনসাল জেনারেল ও কূটনৈতিক মিশনের সদস্য, আমিরাত সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, প্রবাসী গণ্যমান্য ব্যক্তি এবং বাংলাদেশ কমিউনিটির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
দুই দেশের জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া এ অনুষ্ঠানকে আলোকিত করে মুহাম্মদ আল বাহারির শুভেচ্ছা বক্তব্য, যেখানে তিনি বাংলাদেশের সরকার ও জনগণের অগ্রগতির প্রশংসা করেন।
ঢাকা/হাসান/এনএইচ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম হ ম মদ অন ষ ঠ ন ক টন ত ক
এছাড়াও পড়ুন:
বৈষম্য কেন? আদিবাসী নারী শ্রমিকরা পাই না সমান মজুরি
‘‘সাম্যের গান গাই-
আমার চক্ষে পুরুষ-রমণী কোনো ভেদাভেদ নাই।
বিশ্বের যা-কিছু মহান সৃষ্টি চির-কল্যাণকর
অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর।’’
কাজী নজরুল ইসলাম ‘নারী’ কবিতায় নারী-পুরুষের সমান অধিকারের কথা বলেছেন। কিন্তু, এ বৈষম্য সমাজের সর্বস্তরে এখনো রয়ে গেছে। দিনাজপুরের হাকিমপুরে বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী নারী শ্রমিকেরা। পুরুষের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করেও সমান মজুরি পাচ্ছেন না তারা।
হাকিমপুর উপজেলার বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী পাড়া ঘুরে জানা যায়, বছরে আমন এবং ইরি মৌসুমে ধানের চারা রোপণ, ক্ষেত নিড়ানিসহ ধান কাটা-মাড়াইয়ের কাজ করেন নারী শ্রমিকেরা। পুরুষের পাশাপাশি সমান তালে এসব কাজ করেন তারা। এ কাজে পুরুষ শ্রমিকেরা ৫০০ টাকা দৈনিক মজুরি পেলেও নারী শ্রমিকেরা পান ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা। শুধু ধানের মৌসুমেই নয়, অন্যান্য ফসলের ক্ষেতে কাজ করলেও তারা পুরুষের সমান মজুরি পান না। এই বৈষম্য দূর হলে আরেকটু স্বচ্ছল জীবনযাপন করা যেত বলে তারা মনে করেন।
হাকিমপুর পৌর এলাকা চন্ডিপুর ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী পাড়ার নারী শ্রমিক লক্ষ্মী হাসদা ও শান্তি সরেন বলেন, ‘‘আমরা বছরে দুই সিজন ধানের চারা রোপণসহ কাটা-মাড়াই করি। সকাল ৮ থেকে বিকেল ৫ পর্যন্ত কাজ করি। কিন্তু মজুরি কম পাই। পুরুষরা ৫০০ টাকা পেলে আমরা পাই সাড়ে ৩০০ টাকা। এটা কেমন নিয়ম?’’
অপর নারী শ্রমিক সুরুজ মনি হেম্ব্রন বলেন, ‘‘এখন তো হামরা তেমন কাম পাই না। আলু ও সরিষার মাঠে এখন মুসলমান বেটি ছোলরা কাম করে। আগে আমরাই করতাম, এখন অনেক কাম কমে গেছে। এরপর আবার পুরুষ মানুষের চেয়ে হামাক হাজিরাও কম দেয়। হারা (আমি) চলবো কি করে?’’
একই প্রশ্ন করেন হিলির তালতলার রানী হেম্ব্রন ও বিউটি হেম্ব্রন। শ্যামলী হাড্ডি বলেন, ‘‘এই বৈষম্যের কারণে আমরা স্বাবলম্বী হতে পারছি না। বৈষম্য দূর হলে আরেকটু ভালো করে চলতে পারতাম।’’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাকিমপুর উপজেলার ১ নাম্বার খট্রা-মাধবপাড়া ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান ছদরুল শামীম স্বপন বলেন, ‘‘আমরা জানি, নারী-পুরুষ সমান অধিকারী। কিন্তু, সমাজে নারী শ্রমিকেরা বৈষম্যের শিকার হচ্ছে। তারা সঠিক মজুরি পায় না। আমি শ্রমিক ফেডারেশনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বলব- আপনারা এই বৈষম্য দূর করুন। নারীর ন্যায্য মজুরির ব্যবস্থা করুন।’’
খট্রা-মাধবপাড়া ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সভাপতি শাহানুর আলম শাহিন বলেন, ‘‘আমাদের এই অঞ্চলে অনেক আদিবাসী নারী শ্রমিক আছেন, যারা বৈষম্যের শিকার। আমি গৃহস্থ এবং কৃষকদের বলতে চাই, আপনারা বৈষম্য না করে নারী-পুরুষ শ্রমিকদের সমান মজুরি দেবেন।’’
ঢাকা/তারা