ভারতের কাশ্মীরে জঙ্গি হামলায় অন্তত ২৫ পর্যটক নিহত হয়েছেন। একে সাম্প্রতিক সময়ে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা বলে অভিহিত করেছে কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলার পহেলগাঁওয়ের বাইসারানে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ এ হামলার বিচার চেয়েছেন শাহরুখ, সালমান খানসহ বলিউডের তারকারা।

ভারতীয় গণমাধ্যমকে শাহরুখ খান বলেন, ‘পহেলগাঁওতে ঘটা এমন অমানবিক ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করার ভাষা হারিয়ে ফেলেছি আমি। এরকম সময়ে, আমরা শুধু ঈশ্বরের শরণাপন্ন হতে পারি। আর নিহতদের পরিবারের জন্য প্রার্থনা করতে পারি। আমরা এক দেশ, এক জাতি হিসেবে এই ঘৃণ্য কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে ন্যায়বিচার চাইছি।’

সালমান খানের মন্তব্য, ‘যে কাশ্মীরকে পৃথিবীর ভূস্বর্গ বলা হত, সেটা এখন নরকে পরিণত হয়েছে। নিরীহ মানুষদের টার্গেট করা হচ্ছে। নিহতদের পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা রইল। একটা নিরীহ মানুষকে হত্যা করা পুরো বিশ্বজগততে মেরে ফেলার সমান।”

পাশাপাশি নিহতদের পরিবারের উদ্দেশে সমবেদনা জানিয়েছেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। তার প্রতিক্রিয়া, “পহেলগাঁওতে যা ঘটেছে তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। মানুষ সেখানে কেউ ছুটি কাটাতে, কেউ মধুচন্দ্রিমা করতে আবার কেউ বা পরিবারের সঙ্গে উদযাপন করতে গিয়েছিল। শুধুমাত্র কাশ্মীরের সৌন্দর্য উপভোগ করতে গিয়েছিল। এই নিরীহ মানুষগুলো এমন এক ঝড়ের কবলে পড়ল, যেটা তারা কোনওদিন কল্পনাও করতে পারেনি। এই জঘন্য ঘটনা মানবতার বিবেককে অন্তত নাড়া দিক।’

অভিনেত্রী-সাংসদ কঙ্গনা রনৌতে ভাষ্য, ‘ওঁরা নিরীহ নাগরিকদের উপর নির্বিচারে গুলি চালিয়ে দিল। যাঁদের কাছে নিজেদের রক্ষা করার জন্য কোনও অস্ত্রও ছিল না। ইতিহাসের প্রতিটি যুদ্ধ কেবল যুদ্ধক্ষেত্রেই হয়েছে, আর যখন থেকে এই নপুংসকদের হাতে অস্ত্র উঠেছে, এরা কেবল নিরীহ মানুষদেরই হত্যা করে চলেছে। এদের বিচার হবে।’

অনুপম খের বলেন, ‘আমি হাত জোড় করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ এবং সমগ্র সরকারের কাছে অনুরোধ জানাই- এবার এই সন্ত্রাসীদের এমন উচিত শিক্ষা দেওয়া হোক, যাতে তারা পরবর্তী সাত জন্মেও এই ধরনের কাজ না করতে পারে। সন্ত্রাসবাদীদের প্রতি কোনও দয়ামায়া নয়। নিজের শব্দচয়নের ক্ষেত্রে সংযত হলে চাইলেও পারছি না।’ সূত্র: আনন্দবাজার ও সংবাদ প্রতিদিন

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: পর ব র র

এছাড়াও পড়ুন:

তেহরানের পূর্ব ও পশ্চিমাঞ্চলে ব্যাপক বিস্ফোরণের শব্দ

ইরানের রাজধানী তেহরানের পূর্ব ও পশ্চিমাঞ্চলে ব্যাপক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। ইরানের সংবাদ সংস্থা ফার্সের বরাতে আল-জাজিরা জানিয়েছে, তেহরানের পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত একটি সামরিক ঘাঁটিতে ইসরায়েল হামলা চালিয়েছে। এ ছাড়া তেহরানের পূর্বাঞ্চলেও বিস্ফোরণের খবর প্রকাশ করেছে ইরানি গণমাধ্যম।

এর আগে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী তেহরানের কিছু অংশে হামলার হুমকি দিয়েছিল। এরপরই এসব বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) তেহরানের একটি বিস্তৃত এলাকার মানুষকে ‘অবিলম্বে এলাকা ছেড়ে যেতে’ সতর্ক করে।

বিবিসি জানায়, আইডিএফের মুখপাত্র আভিচাই আদরায়ি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স–এ দেওয়া পোস্টে বলেন, ‘আগামী ঘণ্টাগুলোতে আমরা তেহরানের এই এলাকায় অভিযান চালাব—যেমন আগের দিনগুলোতেও রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় হামলা চালানো হয়েছে।’

তিনি জানান, ইরানের সামরিক অবকাঠামো লক্ষ্য করে এই অভিযান চালানো হবে।

পোস্টের সঙ্গে একটি মানচিত্র যুক্ত করে ইসরায়েল জানায়, তেহরানের তৃতীয় জেলায় বসবাসকারীদের এলাকা ছাড়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সতর্কবার্তায় আরও বলা হয়, ‘আপনার এই এলাকায় অবস্থান আপনার জীবনের জন্য হুমকি।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ