সাভারে নিজের স্ত্রীকে হত্যা করে পুলিশকে ৯৯৯-এ কল করার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বুধবার দুপুরে উপজেলার তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নের নতুনপাড়া এলাকার ইকবাল হোসেনের বাড়ির চতুর্থ তলার ভাড়াটে সাজ্জাদ হোসেন মানিকের ঘরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।

নৃশংস এ ঘটনাটি ঘটায় সাজ্জাদের ছোট ভাই। সে স্ত্রীকে নিয়ে বেড়াতে এসেছিল। তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে। পরিবারটির সবাই আত্মগোপনে থাকায় নিহতের পরিচয় মেলেনি। সাজ্জাদ নওগাঁ সদর উপজেলার ভীমপুর পানিশাইল গ্রামের আক্কাস আলীর ছেলে। তিনি গার্মেন্টে চাকরি করেন।

পুলিশ জানায়, কয়েক দিন আগে সাজ্জাদের ভাড়া বাসায় স্ত্রীসহ বেড়াতে আসে তাঁর ছোট ভাই। গতকাল সকালে সাজ্জাদ কারখানায় কাজে গেলে বেড়াতে আসা ভাই তার স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা করে। পরে ৯৯৯-এ কল দিয়ে পুলিশকে লাশ নিয়ে যেতে বললে পুলিশ সেটি উদ্ধার করে। লাশটি রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।

গত চার-পাঁচ দিন আগে সাজ্জাদের বাসায় তাঁর নিজের ছোট ভাই ও স্ত্রী বেড়াতে আসার বিষয়টি নিশ্চিত করেন প্রতিবেশী ভাড়াটে শম্পা আক্তার। তিনিও গার্মেন্টে চাকরি করেন।

সাভার মডেল থানার ট্যানারি পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) আমিরুল ইসলাম জানান, সকালে ৯৯৯-এ নম্বরে কল দিয়ে কেউ একজন জানায়, সে তার স্ত্রীকে খুন করেছে। লাশটি পড়ে থাকার ঠিকানাও ফোনে জানায় খুনি। অনেক খোঁজাখুঁজির পর বাসাটির সন্ধান পেয়ে লাশটি উদ্ধার করা হয়। ঘাতককে ধরার চেষ্টা করছে পুলিশ।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাবি উপাচার্য-প্রক্টরসহ ৩ জনকে আইনি নোটিশ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) হাজী মুহম্মদ মুহসিন হলে নিজের সিট ফিরে পাওয়াসহ তিন দফা দাবিতে উপাচার্য, প্রক্টর ও হলটির প্রাধ্যক্ষ বরাবর আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন এক শিক্ষার্থী।

ওই শিক্ষার্থী হলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের আলোচিত ভিপি পদপ্রার্থী জালাল আহমদ ওরফে জ্বালাময়ী জালাল। 

আরো পড়ুন:

রাবিতে পোষ্য কোটা পুনর্বহাল, উত্তাল রাতের ক্যাম্পাস

চাকসু: ৩ পদ শূন্য রেখে বামপন্থিদের ‘বৈচিত্র্যের ঐক্য’ প্যানেল ঘোষণা

বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সুপ্রীম কোর্টের অ্যাডভোকেট বেল্লাল হোসাইন (মুন্সী বেল্লাল) স্বাক্ষরিত এক আইনি নোটিশে তিনি ঢাবি প্রশাসনের কাছে তিন দফা দাবি জানান।

জালাল আহমদ অভিযোগ করে জানান, হলে বহিরাগত ও মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় তাকে পরিকল্পিতভাবে ফাঁসানো হয়েছে। এ সময় নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ নেতাদের মদদে তার ওপর মব হামলাও চালানো হয়। কিন্তু তদন্ত ছাড়াই হল প্রাধ্যক্ষ তাকে বহিষ্কার করেন এবং প্রশাসন তার নামে হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করে।

এর আগে, হলের রুমমেটকে মারধর এবং ভাঙা টিউবলাইট দিয়ে আঘাত করার ঘটনায় জালাল আহমদ ওরফে জ্বালাময়ী জালালের বিরুদ্ধে ‘হত্যাচেষ্টা’ মামলা করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। হাজী মুহাম্মদ মুহসীন হলের প্রাধ্যক্ষ মো. সিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে রাজধানীর শাহবাগ থানায় এ মামলা করেন এবং ২৭ আগস্ট তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয় আদালত। এরপর গত ১১ সেপ্টেম্বর আদালত জামিন মঞ্জুর করলে কারাগার থেকে মুক্ত হন জালাল।

ওই শিক্ষার্থীর দাবিগুলো হলো— হামলার সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি ও প্রশাসনের ক্ষমা প্রার্থনা; অবৈধভাবে বাতিল হওয়া তার বৈধ সিট ফেরত দেওয়া; বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে বহিরাগত ও মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের উচ্ছেদ করা।

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ