উচ্চমানের গবেষণার স্বীকৃতি হিসেবে ৫৭ শিক্ষককে দ্বিতীয়বারের মতো কোয়ালিটি জার্নাল পাবলিকেশন অ্যাওয়ার্ড দিয়েছে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি। বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের মেরুল বাড্ডা ক্যাম্পাসে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই ৫৭ শিক্ষকের হাতে সম্মাননা তুলে দেওয়া হয়।

পুরস্কারপ্রাপ্ত এসব শিক্ষক ১৪৫টি গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশ করেছেন। এগুলোর মধ্যে ৭৪টি প্রবন্ধ স্কোপাসের কিউ ওয়ান জার্নালের শীর্ষ ১০ শতাংশ এবং বাকি ৭১টি শীর্ষ ১৫ শতাংশের মধ্যে থাকা জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।

স্কোপাস একটি আন্তর্জাতিক মানের গবেষণা ডেটাবেইস, যেখানে স্বীকৃত ও রিভিউ করা জার্নাল, সম্মেলনের গবেষণাপত্র ও পেটেন্টের তথ্য সংরক্ষিত থাকে। গবেষণায় ফলপ্রসূ অবদান রাখার কারণে কিউ ওয়ান জার্নালগুলো বিশ্বব্যাপী সমাদৃত।

পুরস্কারপ্রাপ্ত গবেষণাগুলোর বিষয়বস্তু অত্যন্ত সময়োপযোগী ও বহুমাত্রিক; যেমন ব্যবসার সহজীকরণ, মানসিক স্বাস্থ্য ও নতুন রোগ, কৃষি ও খাদ্যনিরাপত্তা, জ্বালানি ও জলবায়ু পরিবর্তন, ভাষার বিবর্তন এবং তথ্যপ্রযুক্তিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও ব্লকচেইনের ব্যবহার।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড.

মো. সাইদুর রহমান বলেন, গবেষণামুখী উদ্ভাবনের মাধ্যমে জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠনে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি অক্লান্ত কাজ করে যাচ্ছে।

ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক সৈয়দ ফারহাত আনোয়ার বলেন, বাংলাদেশ সরকার ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির মতো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর অবদান অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করে।

আরও বক্তব্য দেন আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশের (আইসিডিডিআরবি) জ্যেষ্ঠ বিজ্ঞানী ড. ফেরদৌসী কাদরী এবং সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের সম্মাননীয় ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব র য ক ইউন ভ র স ট ব র য ক ইউন ভ র স ট

এছাড়াও পড়ুন:

নেপাল থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু

ত্রিপক্ষীয় চুক্তির আওতায় বাংলাদেশে বিদ্যুৎ রপ্তানি শুরু করেছে নেপাল। ভারতীয় ট্রান্সমিশন লাইন ব্যবহার করে নেপাল এই প্রথম ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বাংলাদেশে সরবরাহ করছে, যা দুই দেশের মধ্যে আঞ্চলিক জ্বালানি সহযোগিতার এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করল।

রবিবার (১৫ জুন) পাওয়ার গ্রিড বাংলাদেশ (পিজিবি) সূত্র এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।

পিজিবি দৈনিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, শনিবার রাত ১২টা থেকে এই বিদ্যুৎ আমদানি শুরু হয়েছে। আজ রবিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত প্রতি ঘণ্টায় ৩৮ মেগাওয়াট করে বিদ্যুৎ বাংলাদেশে আসছে।

আরো পড়ুন:

গ্রাহকদের জরুরি বার্তা দিল ডেসকো

বিদ্যুৎ বিভ্রাটে ‘নাকাল’ কুবির শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা

২০২৩ সালের মাঝামাঝি সময়ে নেপালের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দাহালের ভারত সফরের সময় এই বিদ্যুৎ রপ্তানির বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সে সময় তিন দেশ আঞ্চলিক জ্বালানি সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং অর্থনৈতিক সংযোগ জোরদার করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল।

সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, নেপাল থেকে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ভারতীয় গ্রিড ব্যবহার করে বাংলাদেশে সরবরাহ করা হবে। নেপাল ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পাদিত চুক্তি অনুসারে, এই বিদ্যুতের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি ইউনিট ০ দশমিক ০৬৪ ডলার বা ৬ দশমিক ৪ সেন্ট।

এরই ধারাবাহিকতায়, ২০২৪ সালের ৩ অক্টোবর নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে ত্রিপক্ষীয় বিদ্যুৎ বিক্রয় চুক্তি সই হয়। এতে অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো ছিল–নেপাল ইলেকট্রিসিটি অথোরিটি (এনইএ), বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড (বিপিডিবি) এবং ভারতের এনটিপিসি বিদ্যুৎ ব্যবসা নিগম (এনটিপিসি)।

ত্রিপক্ষীয় চুক্তি অনুযায়ী, নেপাল ২০২৫ সাল থেকে ২০২৯ সাল পর্যন্ত প্রতি বছরের ১৫ জুন থেকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে। এর অর্থ হলো, বছরের একটি নির্দিষ্ট শুষ্ক মৌসুমে নেপালের এই বিদ্যুৎ বাংলাদেশের বিদ্যুৎ চাহিদা পূরণে সহায়তা করবে।

ঢাকা/হাসান/সাইফ

সম্পর্কিত নিবন্ধ