গবেষণার জন্য ৫৭ শিক্ষককে সম্মাননা দিল ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি
Published: 25th, April 2025 GMT
উচ্চমানের গবেষণার স্বীকৃতি হিসেবে ৫৭ শিক্ষককে দ্বিতীয়বারের মতো কোয়ালিটি জার্নাল পাবলিকেশন অ্যাওয়ার্ড দিয়েছে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি। বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের মেরুল বাড্ডা ক্যাম্পাসে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই ৫৭ শিক্ষকের হাতে সম্মাননা তুলে দেওয়া হয়।
পুরস্কারপ্রাপ্ত এসব শিক্ষক ১৪৫টি গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশ করেছেন। এগুলোর মধ্যে ৭৪টি প্রবন্ধ স্কোপাসের কিউ ওয়ান জার্নালের শীর্ষ ১০ শতাংশ এবং বাকি ৭১টি শীর্ষ ১৫ শতাংশের মধ্যে থাকা জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।
স্কোপাস একটি আন্তর্জাতিক মানের গবেষণা ডেটাবেইস, যেখানে স্বীকৃত ও রিভিউ করা জার্নাল, সম্মেলনের গবেষণাপত্র ও পেটেন্টের তথ্য সংরক্ষিত থাকে। গবেষণায় ফলপ্রসূ অবদান রাখার কারণে কিউ ওয়ান জার্নালগুলো বিশ্বব্যাপী সমাদৃত।
পুরস্কারপ্রাপ্ত গবেষণাগুলোর বিষয়বস্তু অত্যন্ত সময়োপযোগী ও বহুমাত্রিক; যেমন ব্যবসার সহজীকরণ, মানসিক স্বাস্থ্য ও নতুন রোগ, কৃষি ও খাদ্যনিরাপত্তা, জ্বালানি ও জলবায়ু পরিবর্তন, ভাষার বিবর্তন এবং তথ্যপ্রযুক্তিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও ব্লকচেইনের ব্যবহার।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড.
ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক সৈয়দ ফারহাত আনোয়ার বলেন, বাংলাদেশ সরকার ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির মতো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর অবদান অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করে।
আরও বক্তব্য দেন আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশের (আইসিডিডিআরবি) জ্যেষ্ঠ বিজ্ঞানী ড. ফেরদৌসী কাদরী এবং সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের সম্মাননীয় ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব র য ক ইউন ভ র স ট ব র য ক ইউন ভ র স ট
এছাড়াও পড়ুন:
যশোরে ৪ আইনজীবীকে বহিষ্কার
যশোরে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় চার আইনজীবীকে জেলা আইনজীবী সমিতি থেকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাহী কমিটির সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম.এ. গফুর।
অভিযুক্ত আইনজীবীরা হলেন- আব্দুর রাজ্জাক, সৈয়দ কবীর হোসেন জনি, রফিকুল ইসলাম এবং তরফদার আব্দুল মুকিত।
জেলা আইনজীবী সমিতি সূত্র জানায়, ওই চার আইনজীবীর মধ্যে আব্দুর রাজ্জাক এক এনজিওর ৪১ লাখ ১২ হাজার ৫০০ টাকা আত্মসাৎ করেন। ওই টাকা ফেরত দিতে তিনি অঙ্গীকার করে ১৫ লাখ টাকার একটি চেক দেন। কিন্তু পরবর্তীতে ওই চেক ডিজ অনার হয় এবং একই সাথে তিনি টাকা দিতে অস্বীকার করেন। এ ঘটনায় মক্কেল আইনজীবী সমিতিতে লিখিত অভিযোগ দেন।
অন্যদিকে, সৈয়দ কবীর হোসেন জনি একটি জমি ক্রয় করেন। কিন্তু ওই জমির মালিককে পূর্ণাঙ্গ টাকা না দিয়ে তালবাহানা করেন। শেষমেষ আট লাখ টাকা না দেওয়ায় জমির মালিক আইনজীবী সমিতিতে লিখিত অভিযোগ দেন।
এছাড়া, রফিকুল ইসলাম নিজে আইনজীবী হয়েও আরেক আইনজীবী নুরুল ইসলামকে নির্বাহী আদালতে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও লাঞ্ছিত করেন। এ ঘটনায় নুরুল ইসলাম অভিযোগ দেন। অন্যদিকে, তরফদার আব্দুল মুকিত এক মক্কেলের কাছ থেকে টাকা নিয়ে কাজ করেননি। এছাড়া তিনি ওই মক্কেলের কাগজপত্র আটকে রেখে জিম্মি করে রাখেন। বাধ্য হয়ে তিনি মুকিতের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন সমিতিতে।
এসব অভিযোগ জেলা আইনজীবী সমিতি পৃথকভাবে তদন্ত করে। একই সাথে চার আইনজীবীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম.এ. গফুর।
তিনি বলেন, “বৃহস্পতিবার লিখিতভাবে তাদেরকে নোটিশ দিয়ে অবগত করা হবে।”
ঢাকা/রিটন/এস