খবরের জন্য আর অপেক্ষা করতে চান না পাঠক, পাঠকের এ চাওয়াকে হৃদয়ঙ্গম করেই অনলাইন গণমাধ্যমের সৃষ্টি ও প্রসার। অনলাইন এখন নানা উপায়ে পাঠকের হাতের নাগালে দ্রুততম সময়ে পৌঁছে দিচ্ছে খবর।  শেষ হয়েছে খবরের জন্য মানুষের দীর্ঘ অপেক্ষার দিন। অনলাইন গণমাধ্যমের কল্যাণে মুহূর্তেই বিভিন্ন খবর এখন পৌঁছে যাচ্ছে পাঠকের কাছে।

ফলে অনলাইন গণমাধ্যম ক্রমেই হয়ে উঠছে মানুষের ভরসাস্থল। অনলাইন গণমাধ্যম সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দিন রাত ২৪ ঘণ্টাই সংবাদ পরিবেশনে সক্ষম। যার কারণে পাঠক যেকোনো সময়ের সংবাদ মুহূর্তেই পেয়ে যান।

এ সময়ের পাঠকপ্রিয় নিউজপোর্টাল রাইজিংবিডির ১৩ বছরে পদার্পণে সূত্র ধরেই এত কথা বলা।

‘পজিটিভ বাংলাদেশ’ স্লোগানে ইতিবাচক সংবাদ পরিবেশনের মধ্য দিয়ে যাত্রা শুরু হয়েছিল নিউজপোর্টাল রাইজিংবিডি’র। আজ ১২টি বছর পূর্ণ করে পা রাখলো গৌরবের ১৩তম বছরে। অর্থাৎ যুগ পূর্ণ করলো রাইজিংবিডি। নিঃসন্দেহে এ পথচলা এ সাফল্য মহা গৌরবের।

বিশ্বাসের সঙ্গে বড় গলায়ই বলা যায়- জনপ্রিয় এ নিউজ পোর্টালটি বিশ্বস্ততার সঙ্গে পরিচ্ছন্ন সংবাদ পরিবেশনার মধ্য দিয়ে সুনামের সঙ্গেই পূর্ণ করেছে এই মূল্যবান ১২টি বছর। রাইজিংবিডিকে স্পর্শ করতে পারেনি কোনো রকমের বিতর্ক বা অভিযোগ ।

২০১৩ সালের ২৬ এপ্রিল পথচলা শুরু করে রাইজিংবিডি। দীর্ঘ পথচলায় নিউজ পোর্টালটি এখন কোটি কোটি মানুষের প্রিয় সংবাদ মাধ্যম। আজ যুগপূর্তির এ মাহেন্দ্রক্ষণে দেশ-বিদেশে রাইজিংবিডি’র অগনিত পাঠক, বিজ্ঞাপনদাতা, শুভান্যুধায়ীদের প্রতি আমাদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। কারণ সকলের ভালবাসা ও অংশগ্রহণের জন্যই রাইজিংবিডি আজ অনন্য উচ্চতায়।

এমন গৌরবের দিনে আমরা বলতে পারি, চালু হওয়ার অল্প দিনের মধ্যেই জনপ্রিয় হয়ে ওঠে রাইজিংবিডি ডটকম। পাঠকের চাহিদা অনুযায়ী নিউজ পোর্টালটিতে বিন্যাসিত রয়েয়েছে অনেকগুলো জনপ্রিয় বিভাগ। সেগুলো হচ্ছে : সাহিত্য, বিনোদন, খেলাধুলা, আন্তর্জাতিক, নারী ও শিশু, ব্যবসা-বাণিজ্য, অর্থনীতি, ব্যাংক-বিমা, শেয়ারবাজার, শিল্পকারখানা, করপোরেট কর্নার, কৃষি, রাজনীতি, কূটনীতি, বিজ্ঞান-প্রযুক্তি, স্বাস্থ্য, পরিবেশ, লাইফস্টাইল, শিক্ষা, ভ্রমণ, মতামত, সাক্ষাৎকার, মিডিয়া, আইন ও অপরাধ, প্রবাস, ছবিঘর, ‘সাতসতেরো’, ‘অন্যদুনিয়া’, ‘দেহঘড়ি’ রাইজিংবিডি স্পেশাল ও পজিটিভ বাংলাদেশ। প্রকাশ হচ্ছে বিশেষ দিনে বিশেষ বিশেষ সংখ্যা।

পাঠকের চাহিদা পূরণে লাইভ সংবাদ এখন এ পোর্টালটির নিয়মিত অনুষঙ্গ। সময়ের সঙ্গে তালমিলিয়ে নিত্যনতুন পরিকল্পনায় প্রতিদিনই সমৃদ্ধ হচ্ছে রাইজিংবিডি।

রাইজিংবিডি নিউজ পোর্টালটির আরেকটি বৈশিষ্ট হচ্ছে- যে সংবাদ মাধ্যমটি শুধু সংবাদ পরিবেশন করেই থেমে থাকে না, বরং সমাজ ও মানুষের সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসারও অনেক নজির রয়েছে। এরই মধ্যে বাংলাদেশের শীর্ষ অনলাইন দৈনিকগুলোর মধ্যে রাইজিংবিডি নিজের যোগ্যতম অবস্থান তৈরি করতে পেরেছে। রাইজিংবিডি বর্তমানে অগ্রসর ও আধুনিক পাঠকের পোর্টাল। রাইজিংবিডির স্লোগান হলো দেখুন, পড়ুন, লিখুন। সংবাদ মাধ্যমটিতে সবাই লিখতে পারেন। আমাদের আরও গর্ব যে রাইজিংবিডি ডটকম এখন সরকারি নিবন্ধনভূক্ত অনলাইন নিউজপোর্টালগুলোর অন্যতম একটি।

প্রতিষ্ঠার যুগ পার হয়ে এসেও রাইজিংবিডি সব খবর সবার আগে পাঠকের কাছে পৌঁছে দিতে সবসময়ই বদ্ধপরিকর। আগামীর দিনগুলোতে পাঠকের ভালোবাসা নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় রাইজিংবিডির।

ঢাকা/টিপু

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প র ণ কর সময় র

এছাড়াও পড়ুন:

বৃষ্টিস্নাত রমনায় সবুজের উল্লাস

রমনা উদ্যানের গাছগুলো বৃষ্টিতে ভিজছে, ভিজছে মাটি ও মাটির ওপরের ঘাসগুলো। বর্ষায় রমনার রূপ হয় দেখার মতো। চারদিকে কেবল সবুজ আর সবুজ। বসন্তের মতো ফুল নেই তো কী হয়েছে? আছে শ্যামল রূপ, আছে অপার স্নিগ্ধতা। বুকভরে ধুলাহীন নিশ্বাস নেওয়ার অবকাশ, প্রকৃতির উদার আমন্ত্রণ।

‘পাগলা হাওয়ার বাদল-দিনে’ ঢাকার রমনা পার্কের গাছের পাতাগুলো এখন আরও সবুজ। টলটলে জলের নয়নাভিরাম ঝিলটা টইটম্বুর। ধুলাময়লাহীন পায়ে চলার পথ। আর গাছের পাতার ফাঁকে রয়েছে অজস্র ফুল। কোনোটা লাল, কোনোটা বেগুনি আবার কোনোটা সাদা। বৃষ্টির মধুর আশকারা পেয়ে রমনা পার্কে এখন সবুজের উল্লাস।

এই পার্কটিকে ঢাকার ফুসফুস বলা হয়। এর যথেষ্ট কারণ আছে অবশ্য। এ রকম প্রগাঢ় নিরেট সবুজ এ শহরে কমই আছে। রমনা তাই ঢাকার জনজীবনের স্পন্দন। এটি কেবল একটি পার্ক নয়, বরং নাগরিক জীবনের পরম আনন্দ-আশ্রয়।

সম্প্রতি ‘বৃষ্টি নেশাভরা’ এক বিকেলে অরুণোদয় ফটক দিয়ে রমনা পার্কে প্রবেশ করলাম। অনেকে শরীরচর্চায় ব্যস্ত। কেউ দল বেঁধে করছেন, কেউ একাকী। কোনো দল ব্যায়াম করে ভোরে, কেউ আবার বিকেলে বা সন্ধ্যায়। আবার অনেকে আছেন দুই বেলাই হাঁটাহাঁটি করেন। হাঁটা সেরে কেউ কেউ লেকের পাশে এসে দুদণ্ড জিরিয়ে নেন। লেকে চলছিল বোট।

বর্ষার ফুলের উৎসব

বর্ষা এলেই রমনা পার্ক যেন রঙের নতুন ভাষা শেখে। আমাদের ঋতুচক্র অনুযায়ী, বসন্ত ও গ্রীষ্মকালেই এ দেশে ফোটে অধিকাংশ ফুল। তবে বর্ষারও নিজস্ব কিছু ফুল আছে, আর গ্রীষ্মের কিছু ফুল টিকে থাকে বর্ষা পর্যন্ত। সেদিন রমনায় গিয়ে এমনই কিছু ফুল চোখে পড়ল—বৃষ্টিভেজা পাতার ফাঁকে তাদের রং যেন আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠেছিল। মনে হলো, প্রকৃতির এই নিঃশব্দ উৎসবেও কত কথা লুকিয়ে থাকে!

রমনার গোলাপবিথি সেদিন দর্শনার্থীদের সবচেয়ে বেশি মনোযোগ কাড়ছিল। সারি সারি ঝোপে ফুটে আছে হরেক রঙের গোলাপ—লাল, সাদা, হলুদ, কমলা, গাঢ় গোলাপি। বর্ষার ভেজায় যেন আরও সতেজ, আরও তাজা হয়ে উঠেছে প্রতিটি পাপড়ি। নরম আলো আর বৃষ্টিজলে ভেজা ফুলগুলোর সৌন্দর্য মোহিত করেছে পথচলার মানুষকে। কেউ থেমে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছেন, কেউ ভিডিও করছেন—মুঠোফোনে বন্দী হচ্ছে বর্ষার রঙিন রমনা।

এটি কেবল একটি পার্ক নয়, বরং নাগরিক জীবনের পরম আনন্দ-আশ্রয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ