ইসলামাবাদের সঙ্গে ভারতের গুরুত্বপূর্ণ সিন্ধু পানিচুক্তি স্থগিতের প্রতিবাদে এবং ফিলিস্তিন ও কাশ্মিরের প্রতি সংহতি প্রকাশের জন্য শনিবার (২৬ এপ্রিল) পাকিস্তান জুড়ে হরতাল পালিত হয়েছে। খবর আনাদোলুর।

বেশ কয়েকটি ব্যবসায়িক সংগঠনের সমর্থনে, মূলধারার ধর্মীয়-রাজনৈতিক দল জামাত-ই-ইসলামি (জেআইপি), যারা গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যার বিরুদ্ধে সোচ্চার, এই হরতালের ডাক দেয়।

দেশটির বাণিজ্যিক রাজধানী করাচিতে এই আহ্বান কার্যকর সাড়া পেয়েছে, যেখানে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং শপিং সেন্টারসহ প্রধান বাজারগুলো বন্ধ ছিল।

আরো পড়ুন:

কাশ্মিরে সন্ত্রাসবাদবিরোধী অভিযান, আটক ১৭৫

গুজরাট থেকে আটক পাঁচ শতাধিক বাংলাদেশি

স্থানীয় একাধিক টেলিভিশনের সম্প্রচারিত ফুটেজে দেখা গেছে, রাজধানী ইসলামাবাদের পাশাপাশি রাওয়ালপিন্ডি, লাহোর, ফয়সালাবাদ, পেশোয়ার এবং অন্যান্য অনেক এলাকায় বাজার এবং শপিং সেন্টার বন্ধ ছিল। তবে বেশ কয়েকটি এলাকায় ছোট বাজার এবং দোকানপাট খোলা ছিল।

গত মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মিরের পেহেলগাম এলাকায় ভয়াবহ সশস্ত্র হামলায় ২৬ জন নিহত হন। এই ঘটনায় পাকিস্তানকে পরোক্ষভাবে দায়ী করে ভারত।

গত সপ্তাহে ভারত-শাসিত কাশ্মিরে অজ্ঞাত বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন নিহত হন। এ ঘটনায় ভারত, হামলার সঙ্গে পাকিস্তানের পরোক্ষ সংযোগের অভিযোগ এনে ব্যাপক প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে। যার মধ্যে ১৯৬০ সালের সিন্ধু পানিচুক্তি স্থগিত করেছে। 

ভারত গুরুত্বপূর্ণ সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি স্থগিত করার পাশাপাশি পাকিস্তানি কূটনীতিকদের বহিষ্কার করেছে, পাকিস্তানি নাগরিকদের ভিসা বাতিল করেছে এবং প্রধান সীমান্ত ক্রসিং বন্ধ ঘোষণা করেছে।

ভারতের এসব পদক্ষেপের নিন্দা জানাতে করাচি, ইসলামাবাদ, লাহোর এবং অন্যান্য শহরে পাকিস্তানের ব্যবসায়ীরা সমাবেশ করেছে।

ইসলামাবাদ নয়াদিল্লির অভিযোগ দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে। এছাড়া পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে ভারতীয় কূটনীতিকদের বহিষ্কার করেছে, ভারতীয়দের জন্য ভিসা স্থগিত করেছে, আকাশসীমা বন্ধ করেছে এবং তৃতীয় দেশগুলোর মধ্য দিয়ে লেনদেনসহ বাণিজ্য বন্ধ করে দিয়েছে। পাকিস্তান ১৯৭২ সালের সিমলা চুক্তিও স্থগিত করেছে, যা দ্বিপাক্ষিক বিরোধ পরিচালনার জন্য তৈরি একটি মূল কাঠামো চুক্তি।

ঢাকা/ফিরোজ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইসল ম ব দ ব যবস

এছাড়াও পড়ুন:

কেইনের জোড়া গোলে চেলসিকে হারাল বায়ার্ন, চ্যাম্পিয়ন পিএসজির গোল উৎসব

বায়ার্ন মিউনিখ ৩–১ চেলসি

২০১২ সালে আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় ইতিহাস গড়েছিল চেলসি। ফাইনালে বায়ার্ন মিউনিখকে টাইব্রেকারে হারিয়ে প্রথমবারের মতো পরেছিল ইউরোপসেরার মুকুট।

 তবে এরপর থেকে বায়ার্নের সঙ্গে মুখোমুখি সব ম্যাচেই হেরেছে চেলসি। লন্ডনের ক্লাবটি পারল না আজও। হ্যারি কেইনের জোড়া গোলে চেলসিকে ৩–১ ব্যবধানে হারিয়েছে বায়ার্ন।

আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় ম্যাচের ২০ মিনিটে বায়ার্ন প্রথম গোলটা পেয়েছে উপহারসূচক। চেলসির সেন্টার–ব্যাক ট্রেভোহ চালোবাহ নিজেদের জালে বল জড়ালে এগিয়ে যায় বাভারিয়ানরা।

কিছুক্ষণ পরেই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন কেইন। এবার ভুল করে বসেন চেলসির মইসেস কাইসেদো। নিজেদের বক্সে কেইনকে কাইসেদো অযথা ট্যাকল করলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি।

নতুন মৌসুমে গোলের পর গোল করেই চলেছেন হ্যারি কেইন

সম্পর্কিত নিবন্ধ