অবিলম্বে কার্যকর হবে হৃদয়ের শাস্তি
Published: 27th, April 2025 GMT
তাওহীদ হৃদয়কে নিয়ে কতকিছু ঘটে গেলো বাংলাদেশ ক্রিকেটে। নিষিদ্ধ হওয়া, শাস্তি কমানো, আবার শাস্তি বহাল এরপর ক্রিকেটারদের আন্দোলনে আবার শাস্তি পরের বছর নেওয়া।
এবার এক দুটি নয় ঢাকা লিগে চার ম্যাচ নিষিদ্ধ হচ্ছেন তাওহীদ হৃদয়। রোববার (২৭ এপ্রিল) বিকেলে এক বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। সঙ্গে এও জানায় যে, অবিলম্বে কার্যকর হবে হৃদয়ের এই শাস্তি।
গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের বিপক্ষে গতকাল মিরপুরে আউট হওয়ার পর আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত না মেনে প্রতিক্রিয়া দেখানোয় তার নামের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ১ ডিমেরিট পয়েন্ট। সব মিলিয়ে ৮ ডিমেরিট পয়েন্ট হওয়ায় চার ম্যাচ নিষিদ্ধ হচ্ছেন হৃদয়।
আরো পড়ুন:
ইমরানউজ্জামাানের সেঞ্চুরিতে অগ্রণীর বড় জয়
শ্বাসরুদ্ধকর লড়াইয়ে শিরোপার লড়াইয়ে টিকে থাকল মোহামেডান
গাজীর বিপক্ষে ব্যাট হাতে এতটা সুবিধা করতে পারেননি। ৫৪ বলে ৩৭ রান করেন। শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি জেতে মোহামেডান। আগের সিদ্ধান্ত বহাল থাকলে হৃদয়কে আজ মাঠের বাইরে থাকতে হতো। কিন্তু গতকাল তামিম ইকবালের নেতৃত্বে ক্রিকেটাররা বিসিবিতে গিয়ে চাপ দিলে সেই শাস্তি পরের বছরে কার্যকরের সিদ্ধান্ত নেয় বিসিবি।
হৃদয়ের চার ম্যাচ নিষেধাজ্ঞার প্রথমটি হবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ২৯ এপ্রিল আবাহনীর বিপক্ষে শিরোপা নির্ধারনী ম্যাচে তাকে পাবে সাদাকালো শিবিরটি। এর আগে আম্পায়ারের সঙ্গে মাঠে অসাদাচরণ তারপর মাঠের বাইরে গিয়ে মুখ খোলার হুমকি দিয়ে দুই ম্যাচ নিষিদ্ধ হয়েছিলেন। সেটিও চাপ দিয়ে কমায় মোহামেডান। এরপরই দেশের ক্রিকেটে দেখা যায় নয়া সংকট।
ঢাকা/রিয়াদ/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বগুড়ায় ফুটপাত দখল করে দোকানের পসরা, কোটি টাকার চাঁদাবাজির অভিযোগ
বগুড়া শহরের সার্কিট হাউস-কালীবাড়ি মোড় সড়কে সারি সারি ভ্যানে হরেক খাবারের পসরা। পিৎজা, বার্গার, স্যান্ডউইচ, চিকেন শর্মা, মিটবক্স—সবই মিলছে রাস্তার পাশের এসব দোকানে। ক্রেতারা মূলত কিশোর ও তরুণ-তরুণী।
দোকানগুলোতে নেই কোনো আলাদা শেফ। বিক্রেতারাই নিজের হাতে খাবার তৈরি করছেন, পরিবেশনও করছেন। কারও হাতে গ্লাভস নেই, শরীরে নেই অ্যাপ্রোন। বিকেল গড়াতেই এসব ভ্রাম্যমাণ খাবারের দোকানে ভিড় জমছে। কোর্ট হাউস স্ট্রিটের পাশেই আছে ‘পিজ অ্যান্ড বার্গ’, ‘পদ্মা ফুডস’ ও ‘হিলিয়াম রেস্টুরেন্ট’-এর মতো নামীদামি খাবারের দোকান। একসময় সন্ধ্যায় এসব প্রতিষ্ঠানে ক্রেতার ঢল নামত। এখন সে ভিড় চলে গেছে রাস্তার পাশে বসা দোকানগুলোর দিকে।
পদ্মা ফুডসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও জলেশ্বরীতলা ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এমদাদ আহমেদ বলেন, ‘অভিজাত এ এলাকায় একটি খাবারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ৮ থেকে ১০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করতে হয়। অন্তত ১৪টি প্রতিষ্ঠান থেকে সনদ নিতে হয়। এসব নবায়নে প্রতিবছর মোটা অঙ্কের টাকা গুনতে হয়। ভবন ভাড়া, দামি শেফ ও কর্মচারীর বেতন—সব মিলিয়ে খরচ বিপুল। অথচ রাস্তার পাশে ভ্যানে বসা দোকানে বিনিয়োগ মাত্র ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা। কোনো সনদ নেই, দোকানভাড়া নেই, কর্মচারীও নেই। শুধু দামে সস্তা বলে ক্রেতারা ঝুঁকছেন ওদিকে। সড়ক দখল করে দোকান বসায় যানজটও বাড়ছে। অভিযোগ করেও প্রশাসনের কাছ থেকে কোনো প্রতিকার মিলছে না।
বগুড়া হোটেল মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এসএম দেলোয়ার হোসেন বলেন, জলেশ্বরীতলা অভিজাত এলাকা। এখানে দোকান দিতে বিপুল বিনিয়োগ লাগে। নামীদামি দোকানে একটি পিৎজার দাম ৫০০ টাকা হলে ভ্রাম্যমাণ দোকানে বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকায়। স্বাস্থ্যঝুঁকি থাকলেও ক্রেতারা সস্তা পেয়ে সেখান থেকেই কিনছেন। এতে অভিজাত রেস্টুরেন্টগুলো লোকসানে পড়ছে। এর সঙ্গে তিনি যুক্ত করেন, ‘আমরা স্ট্রিট ফুড ব্যবসার বিরোধী নই। তবে সেটা অভিজাত এলাকা থেকে সরিয়ে পৌর পার্ক, অ্যাডওয়ার্ড পার্কসংলগ্ন সড়ক কিংবা সরকারি আজিজুল হক কলেজের পাশের এলাকায় নিতে প্রশাসনকে অনুরোধ করেছি।’
সড়কজুড়ে দোকান, ভোগান্তিতে শহরবাসীসম্প্রতি দেখা যায়, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সামনে সড়কের এক পাশে ২০-২৫টি ভ্রাম্যমাণ খাবারের দোকান বসেছে। অন্য পাশে ফলের দোকান। বিকেল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত আদালত প্রাঙ্গণের সামনে যানজট লেগেই থাকে।
এ ছাড়া পৌরসভা লেন, জেলা খানা মোড়, বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল বাকী সড়ক, মহিলা ক্লাব মোড়, শহীদ আবদুল জব্বার সড়ক, সাতমাথা-সার্কিট হাউস সড়কসহ শহরের নানা সড়কেই বসছে ফুচকা, চটপটি, জুস, ফাস্ট ফুড ও ফলের দোকান।
সাতমাথায় প্রতিদিন বসছে অর্ধশতাধিক দোকান। জিলা স্কুলের সামনে চটপটি ও কাবাবের দোকানগুলোর চেয়ার বসানো হয়েছে ফুটপাত দখল করে। কবি নজরুল ইসলাম সড়ক, থানা মোড়, বড়গোলা, দত্তবাড়ি, কালিতলা—সবখানেই দুই পাশে দোকান।
রাস্তা দখল করে দোকান বসানোয় বেশির ভাগ সময় যানজটে থাকে শহরে। সম্প্রতি তোলা