বাংলাদেশের স্বার্থেই মিয়ানমারের আরাকান আর্মির সঙ্গে যোগাযোগবিচ্ছিন্ন থাকা যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। তিনি বলেন, মিয়ানমারের আরাকান আর্মির মতো একটি নন স্টেট অ্যাক্টরের (রাষ্ট্রবহির্ভূত পক্ষ) সঙ্গে বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিক যোগাযোগ রাখতে পারে না। কিন্তু দেশের স্বার্থেই গোষ্ঠীটির সঙ্গে যোগাযোগবিচ্ছিন্ন থাকতে পারে না।

আজ রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এ কথা বলেন।

বিশ্লেষকদের আশঙ্কা মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘাতে বাংলাদেশ জড়িয়ে পড়ছে। আরাকান আর্মির সঙ্গে বাংলাদেশের যোগাযোগের কথা বলা হচ্ছে। এ বিষয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘাতে জড়িয়ে পড়ার ব্যাপারটা পরে। মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘাত তো আমাদের স্বার্থের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। মিয়ানমারের একটি বিরাট জনগোষ্ঠী তো আমাদের এখানে আশ্রয় নিয়ে আছে। এবং আমরা তাদের ফেরত পাঠাতে চাই। তাদের ফেরত পাঠানোর ক্ষেত্রে আমাদের যা কিছু করা প্রয়োজন সেটা তো আমাদের করতে হবে। কারণ, আমাদের স্বার্থ তো সেখানে সংশ্লিষ্ট আছে।’

সম্প্রতি আরাকান আর্মির বাংলাদেশ–মিয়ানমার সীমান্তের পুরোটা নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার কথা উল্লেখ করে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘বিশেষ করে বাংলাদেশের সীমান্তের পরিস্থিতি তো পরিবর্তিত হয়ে গেছে। এটা আমরা অস্বীকার করতে পারব না। এখানে একটি নন স্টেট অ্যাক্টরের (রাষ্ট্রবহির্ভূত পক্ষ) আমাদের সম্পূর্ণ সীমান্তের (অন্য পাশ) নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সীমান্তে (বাংলাদেশ–মিয়ানমার) কেন্দ্রীয় সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। কাজেই আমাদের নিজেদের স্বার্থেই কোনো না কোনো যোগাযোগ.

..আমরা অবশ্যই একটি নন স্টেট অ্যাক্টরের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক যোগাযোগ করতে পারি না। কিন্তু একেবারে বিচ্ছিন্ন থাকতে চাইলে, বিচ্ছিন্ন থাকতে পারব না। কাজেই যতটুকু যোগাযোগের আমাদের প্রয়োজন ততটুকু করব।’

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের বেসামরিক লোকজনের জন্য বাংলাদেশ মানবিক করিডর চালুর অনুমতি দিচ্ছে কি না জানতে চাইলে তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘নীতিগতভাবে আমরা এ বিষয়ে সম্মত। এটা মানবিক সহায়তার চ্যানেল হবে। কিন্তু এটার ব্যাপারে আমাদের কিছু শর্তাবলি আছে। সেই শর্তাবলি পালিত হলে আমরা অবশ্যই সহযোগিতা করব।’

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আর ক ন আর ম র পরর ষ ট র আম দ র

এছাড়াও পড়ুন:

বিশ্ব ইজতেমা মার্চে 

প্রতিবছর জানুয়ারিতে বিশ্ব ইজতেমার আয়োজন করা হলেও এবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে তা পিছিয়ে মার্চ মাসে করা হবে।

সোমবার (৩ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ এ তথ্য জানিয়েছেন তাবলিগ জামাত বাংলাদেশ বা শুরায়ী নেজামের শীর্ষ নেতা মুফতি কেফায়েতুল্লাহ আজহারি।

আরো পড়ুন:

শেষ হলো দাওয়াতে ইসলামীর ইজতেমা

দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমা শুরু 

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বিগত বছরগুলোতে দুই পর্বে বিশ্ব ইজতেমা হলেও আগামী বছর এক পর্বে হবে। মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারী বা সাদপন্থিদের ইজতেমা আয়োজনের সুযোগ থাকবে না। 

মুফতি কেফায়েতুল্লাহ বলেছেন, “তাবলিগ জামাত বাংলাদেশ তাবলিগি এ মেহনতকে দ্বীনি মেহনত হিসেবে বিশ্বাস করে। দ্বীনি কাজের অংশ হিসেবে বর্তমান সরকারের অনুরোধ শ্রদ্ধার সঙ্গে গ্রহণ করে আমরা আগামী বিশ্ব ইজতেমা মার্চে আয়োজনের বিষয়ে একমত হয়েছি। আমরা বিশ্বাস করি, এ সিদ্ধান্ত রাষ্ট্রীয় কার্যক্রমে সরকারের প্রতি সহযোগিতার শামিল।”

বিশ্ব ইজতেমা সাদপন্থিরা আয়োজন করতে পারবেন কি না, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, “সরকারের কাছে তারা লিখিত দিয়ে গতবার শেষবারের মতো ইজতেমার আয়োজন করেছিল। সেক্ষেত্রে তাদের আর ইজতেমা করার সুযোগ নেই।”

বিশ্ব ইজতেমা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সংবাদ সম্মেলনে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে তিনটি অনুরোধ তুলে ধরা হয়।
১. আগামী ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহের আগেই ইজতেমার দিন-তারিখ ঘোষণা এবং সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম শুরু করার জন্য সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থাগুলোকে অবহিত করা।

২. ইজতেমা যথাযথভাবে সম্পন্ন করতে টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমা ময়দানকে অস্থায়ীভাবে কেপিআই (কি পয়েন্ট ইন্সটলেশন) ঘোষণা।

৩. ইজতেমায় আসা বিদেশি অতিথিদের সময়মতো উপস্থিতি নিশ্চিত করতে নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে ভিসা সহজীকরণ-সংক্রান্ত পরিপত্র জারি করা।

ঢাকা/রায়হান/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ