বন্দরে অটো গাড়ি ও মিশুকের মুখোমুখি সংঘর্ষে শিশুসহ আহত ৪
Published: 27th, April 2025 GMT
বন্দরে বেপরোয়া অটো গাড়ি ও মিশুকের মুখোমুখি সংঘর্ষে ফটোসাংবাদিক মেহেদী হাসান রিপনের জামাতা ও শিশু নাতনিসহ ৪ জন রক্তাক্ত জখম হয়েছে। আহত ৪ জনের মধ্য মিশুক যাত্রী ২ জনের নাম পরিচয় পাওয়া গেলেও আহত মিশুক চালক ও অটো চালকের নাম পরিচয় তাৎক্ষণিক ভাবে জানা যায়নি।
আহতরা হলো, বন্দর উপজেলার আলীনগর এলাকার এবাদুল্লাহ মিয়ার ছেলে শাওন (২৫) ও তার মেয়ে আফরিন (৫)। স্থানীয় এলাকাবাসী আহতদের উদ্ধার করে বন্দর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করেছে। গত শনিবার (২৬ এপ্রিল) দুপুর ২টায় বন্দর থানার ৩য় শীতলক্ষ্যা সেতু নিচে মদনগঞ্জ গাউস দরবার শরীফের সামনে এ র্দূঘটনাটি ঘটে।
আহত মিশুক যাত্রী শাওন গণমাধ্যমকে জানান, আমার মেয়েকে সাথে নিয়ে নিজ বাড়ি থেকে মিশুক যোগে শ্বশুরবাড়ী মাহামুদনগর এলাকায় যাওযার সময় বেপরোয়া গতিতে আসা একটি অটো গাড়ি নিয়ন্ত্রন হারিয়ে আচমকা মিশুককে সামনের দিকে ধাক্কা দেয়।
এ ঘটনায় আমি ও আমার মেয়েসহ উভয় গাড়ী চালক মারাত্মক ভাবে জখম হয়। পথচারিরা আমাকে ও আমার মেয়েকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার বন্দর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করে। বাকী আহতদের অন্যান্য হাসপাতালে প্রেরণ করেছে স্থানীয়রা।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: সড়ক দ র ঘটন ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
ট্রেনের ছাদে ভ্রমণকালে বৈদ্যুতিক লাইনের নেটের আঘাতে নিহত ১, আহত ৫
টাঙ্গাইলে ট্রেনের ছাদে অবৈধভাবে ভ্রমণের সময় বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইনের নেটের সঙ্গে ধাক্কা লেগে একজন নিহত ও পাঁচজন আহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তির নাম রিপন আলী (৩৭)। তিনি রাজশাহীর পবা উপজেলার কালিয়ানপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। আহতদের মধ্যে অজ্ঞাতপরিচয়ের এক ব্যক্তি টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
রেলওয়ে পুলিশের টাঙ্গাইল ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হারুন অর রশীদ জানান, ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী আন্তনগর সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনটি বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে টাঙ্গাইল স্টেশনে পৌঁছানোর পর ছাদে রক্তাক্ত অবস্থায় ছয়জনকে পাওয়া যায়। আহত যাত্রীরা পুলিশকে জানান, তাঁরা ঢাকা থেকে ট্রেনের ছাদে উঠেছিলেন। টাঙ্গাইল স্টেশনে পৌঁছানোর ১৫–২০ মিনিট আগে রেলপথের ওপর দিয়ে অতিক্রম করা একটি বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইনের নিচের নেটের সঙ্গে ধাক্কা লেগে তাঁরা আহত হন।
আহত ছয়জনকে পুলিশ উদ্ধার করে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১০টার দিকে রিপন আলীর মৃত্যু হয়। আহতদের মধ্যে আশরাফুলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। আহত আমিরুল ইসলাম (২৫), আলিম (২৫) ও ফয়সাল (২৭) চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। অজ্ঞাতপরিচয়ের এক কিশোর (১৫–১৬) এখনো টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। দুপুরে গিয়ে দেখা যায়, তার হাতে ব্যান্ডেজ বাঁধা অবস্থায় শুয়ে আছে। কর্তব্যরত নার্স জানান, ছেলেটি কথা বলতে পারছে না।
এদিকে নিহত রিপন আলীর রাজশাহীর বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। আজ শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে কালিয়ানপাড়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির ভেতরে স্বজন ও প্রতিবেশীরা আহাজারি করছেন। বাইরে রিপনের দাফনের জন্য কবর খোঁড়া হচ্ছে, কেউ বাঁশ কাটছেন।
রিপনের বাবা ইসরাফিল হোসেন জানান, রিপন ঢাকার একটি ইলেকট্রনিকস কোম্পানিতে চাকরি করত। কয়েক মাস আগে চাকরি ছেড়ে দিয়ে নতুন কাজ খুঁজছিল। গত বুধবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে কাউকে কিছু না বলে বাড়ি থেকে বের হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় টাঙ্গাইল হাসপাতাল থেকে রিপনের মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে তার ছোট ছেলের ফোনে যোগাযোগ করা হয়। তখনই তাঁরা জানতে পারেন, রিপন ট্রেন দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন।