হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুরে পূর্ব বিরোধের জেরে দুপক্ষের সংঘর্ষে হোসেন মিয়া (৩৮) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। রবিবার (২৭ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার চৌমুহনী ইউনিয়নের বিষ্ণুপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত হোসেন মিয়া উপজেলার চৌমুহনী ইউনিয়নের তিনগাঁও গ্রামের মৃত আলী হোসেনের ছেলে। কাশিমনগর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ গোলাম মোস্তফা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ জানায়, বিষ্ণুপুর গ্রামের রজব আলী ও জাহির আলী একাধিক ডাকাতি মামলার আসামি। তাদের মধ্যে বিরোধ রয়েছে। রবিবার বিকেলে পূর্বে বিরোধের জেরে দুপক্ষের লোকজনে সংঘর্ষে জরায়। এসময় জাহির আলীর পক্ষের হোসেন মিয়াকে ছুরিকাঘাত করা হয়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
আরো পড়ুন:
বিচার নিশ্চিত হলে লামিয়ার জীবন দিতে হতো না: রিজভী
জুলাই গণহত্যা: শেখ হাসিনাসহ ৪০৮ জনের বিরুদ্ধে আরেক মামলা
ইনচার্জ গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘‘দুপক্ষের সংঘর্ষে এক জন নিহত হয়েছেন। হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’’
ঢাকা/মামুন/রাজীব
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হত য স ঘর ষ
এছাড়াও পড়ুন:
জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে শাশুড়ি খুন
ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় পারিবারিক কলহের জেরে জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে শাশুড়ি নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন একজন। বুধবার দিবাগত রাতে উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ফজিলা খাতুন (৪৫) উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামের বাসিন্দা মৃত জালাল উদ্দিনের স্ত্রী।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মনির মিয়া (৩০) উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামের সেলিম মিয়ার ছেলে। ঘটনার রাতে স্ত্রী রুমা আক্তারের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান মনির। পরে রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে তিনি বাড়ি ফিরে আসেন এবং চার বছরের ছেলে রোহানকে নিয়ে চলে যেতে চান। এতে স্ত্রীর সঙ্গে তার আবারও বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে মনির হাতে থাকা ছুরি দিয়ে স্ত্রীকে আঘাত করতে গেলে শাশুড়ি ফজিলা খাতুন বাধা দেন। তখন মনির শাশুড়িকে ছুরিকাঘাত করেন। পাশাপাশি স্ত্রীকেও আঘাত করেন তিনি। পরে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে ফজিলা খাতুনের মৃত্যু হয়।
মুক্তাগাছা থানার ওসি মো. কামাল হোসেন বলেন, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো। তবে অভিযুক্ত পালিয়েছে। তাকে ধরার চেষ্টা চলছে।