ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে দুর্দান্ত এক মৌসুম পার করছেন মোহাম্মদ সালাহ। লিভারপুলকে আবার প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন বানানোর পেছনে বড় ভূমিকা তাঁর, মৌসুমের শুরু থেকে একের পর এক গোল করে যাচ্ছেন এই মিসরীয় ফরোয়ার্ড।

শুধু গোল করাতেই নয়, করানোতেও বাকিদের চেয়ে বেশ এগিয়ে সালাহ। এ মৌসুমে এখন পর্যন্ত ২৮ গোল ও ১৮টি গোলে সহযোগিতাসহ ৪৬ গোলে অবদান রেখেছেন তিনি, যা প্রিমিয়ার লিগে ৩৮ ম্যাচের মৌসুমে কোনো ফুটবলারের সর্বোচ্চ অবদানও বটে।  

তবে গতকাল টটেনহামের বিপক্ষে লিভারপুলের শিরোপা নিশ্চিত করার পথে করা দলের চতুর্থ গোলটি নিশ্চিতভাবেই সালাহর জন্য বিশেষ। এই গোলের মধ্য দিয়ে ইংল্যান্ডে বিদেশি খেলোয়াড় হিসেবে সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি সের্হিও আগুয়েরোকে টপকে গেলেন সালাহ।

আরও পড়ুন২০২৭ সাল পর্যন্ত লিভারপুলে সালাহ১১ এপ্রিল ২০২৫

২৭৫ ম্যাচে ১৮৪ গোল নিয়ে এত দিন পর্যন্ত সবার ওপরে ছিলেন ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে ইতিহাস গড়া আগুয়েরো। কিন্তু লিভারপুলের হয়ে দুবার লিগ জেতা সালাহর গোল এখন ২৯৭ ম্যাচে ১৮৫টি। চেলসি এবং লিভারপুলের হয়ে এই গোলগুলো করেছেন সালাহ। যেখানে লিভারপুলের হয়ে ১৮৩ গোল এবং চেলসির হয়ে ২টি গোল।

সালাহর গোল উদ্‌যা্পন.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

নায়িকা হতে আসিনি, তবে...

গুটি, সুড়ঙ্গ, মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন থেকে ওমর—সব সিনেমা-সিরিজেই প্রশংসিত হয়েছে আইমন শিমলার অভিনয়। অল্প সময়ের উপস্থিতিতেও নিজের ছাপ রাখতে পেরেছেন এই তরুণ অভিনেত্রী। ধূসর চরিত্রেও তিনি সাবলীল, অন্য তরুণ অভিনেত্রীদের থেকে এখানেই আলাদা শিমলা। তবে একটা কিন্তু আছে। এখন পর্যন্ত তাঁর অভিনীত আলোচিত চরিত্রগুলোর সবই চাটগাঁইয়া। শিমলা নিজে চট্টগ্রামের মেয়ে, একটা সময় পর্যন্ত বন্দরনগরীর বাইরে চেনাজানা ছিল সীমিত। এক সিরিজে তাঁর চাটগাঁইয়া ভাষা আলোচিত হওয়ায় পরপর আরও কাজে তাঁকে চাটগাঁইয়া চরিত্রের জন্য ভেবেছেন নির্মাতা।

এ প্রসঙ্গ দিয়েই অভিনেত্রীর সঙ্গে আলাপের শুরু করা গেল। শিমলা জানালেন, এ নিয়ে তাঁর নিজেরও অস্বস্তি আছে। চেষ্টা করছেন ‘চাটগাঁইয়া দুনিয়া’র বাইরে যেতে। সঙ্গে এ–ও জানিয়ে রাখলেন, ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে তাঁর নিজের চরিত্র পছন্দ করে নেওয়ার সুযোগ কমই ছিল।

‘বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই শুটিংয়ের ঠিক আগে জেনেছি চরিত্রটি সম্পর্কে। তখন তো কিছু করার থাকে না। তবে যেসব কাজ করেছি, সবই আলোচিত পরিচালক আর অভিনয়শিল্পীদের সঙ্গে; এ অভিজ্ঞতার মূল্যও কম নয়। শিহাব (শিহাব শাহীন) ভাইয়ের সঙ্গে মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন, কাছের মানুষ দূরে থুইয়া, রবিউল আলম রবি ভাইয়ের সঙ্গে ফরগেট মি নট আমাকে সমৃদ্ধ করেছে। এ ছাড়া (শহীদুজ্জামান) সেলিম ভাইয়ের কথা বিশেষভাবে বলব। সুড়ঙ্গ ও ওমর—দুই সিনেমায় তিনি আমাকে অনেক সাহায্য করেছেন,’ বলছিলেন তিনি।

ঈদে মুক্তি পাওয়া এম রাহিমের সিনেমা জংলিতেও আছেন শিমলা। এ ছবিতে অবশ্য তাঁর চরিত্রটি চাটগাঁইয়া ভাষায় কথা বলে না। সে জন্য সিনেমাটি নিয়ে তিনি বেশি উচ্ছ্বসিত। ‘মুক্তির পর থেকে সিনেমা তো বটেই, আমার অভিনীত চরিত্রটি নিয়ে প্রশংসা পাচ্ছি কিন্তু দুঃখের কথা, আমি নিজেই এখনো দেখতে পারিনি। ব্যক্তিগত ঝামেলা, শুটিংয়ে ব্যস্ততার কারণে সম্ভব হয়নি। শিগগিরই আমার টিমের সঙ্গে দেখতে চাই,’ বলছিলেন তিনি।

আইমন শিমলা

সম্পর্কিত নিবন্ধ