স্বাস্থ্য ব্যয়ের চাপ দারিদ্র্য নিরসনে অন্যতম বাধা
Published: 28th, April 2025 GMT
স্বাস্থ্য সংক্রান্ত ব্যয় নির্বাহের চাপ মানুষের দারিদ্র্য নিরসনের অন্যতম প্রধান অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। দারিদ্র্য পরিস্থিতির উন্নয়নে প্রতিরোধমূলক স্বাস্থ্যসেবার প্রসার ঘটাতে হবে। প্রতিরোধমূলক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজন কার্যকর ও টেকসই ব্যবস্থাপনা। রোববার রাজধানীর পিকেএসএফ ভবনে আয়োজিত ‘টেকসই স্বাস্থ্য ও পুষ্টি উন্নয়নে করণীয়’ শীর্ষক এক আলোচনায় বক্তারা এমন মত দেন। সংস্থাটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে যা জানানো হয়।
পিকেএসএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো.
স্বাস্থ্যখাত সংস্কার কমিশনের সদস্য ড. আহমেদ এহসানূর রহমান বলেন, ‘স্বাস্থ্যসেবাকে রাজনৈতিক অঙ্গীকারের অংশ করতে হবে। প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা মানুষের মৌলিক অধিকার। সরকারকে আইন প্রণয়ন করে এ অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। আইনে স্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকতে হবে রাষ্ট্র নাগরিকদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে কী ভূমিকা নেবে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. সৈয়দ আব্দুল হামিদ বলেন, ‘বর্তমানে তিন বছরের শিশুও স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছে। ৩০ থেকে ৩৫ বছর বয়সী মানুষ ডায়াবেটিসে ভুগছেন। এগুলো জনস্বাস্থ্যের জন্য অশনিসংকেত। এর জন্য দায়ী অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস, জীবনাচরণ এবং মাদকের অপব্যবহার। এ সমস্যা সমাধানে স্কুলভিত্তিক সচেতনতামূলক প্রচার কার্যক্রম জরুরি, যা দীর্ঘমেয়াদে স্বাস্থ্যবান্ধব সমাজ গঠনে সহায়ক হবে।’
ওয়াটারএইডের আঞ্চলিক পরিচালক ড. খায়রুল ইসলাম বলেন, ‘বিপর্যয় সৃষ্টিকারী অসুস্থতা দরিদ্র মানুষকে দারিদ্র্যের চক্রে ফেলে দেয়। বর্তমানে বাংলাদেশে ব্যক্তিগত খরচে স্বাস্থ্যব্যয়ের হার ৭৩ শতাংশ, যা তাদের দারিদ্র্য নিরসনে বড় বাধা।’
আদ-দ্বীন ওয়েলফেয়ার সেন্টারের সভাপতি ডা. মোহাম্মদ আব্দুস সবুর বলেন, সঠিক জীবনাচরণ, স্বাস্থ্যসম্মত কর্মপরিবেশ এবং পরিবেশবান্ধব আবাসন নিশ্চিতের মাধ্যমে প্রতিরোধমূলক স্বাস্থ্যব্যবস্থা গড়ে তোলা সম্ভব।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ব্রেস্টফিডিং ফাউন্ডেশনের সভাপতি ড. এস. কে. রয়, সাজেদা ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জাহেদা ফিজ্জা কবির এবং সেন্টার ফর ডেভেলপমেন্ট ইনোভেশন এন্ড প্র্যাকটিসেসের নির্বাহী পরিচালক মিফতা নাইম হুদা।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: দ র দ র য ন রসন
এছাড়াও পড়ুন:
জঙ্গি সন্দেহে কলকাতায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশি যুবক
জঙ্গি সন্দেহে কলকাতা পুলিশের বিশেষ টাস্ক ফোর্সের (এসটিএফ) হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে এক বাংলাদেশি নাগরিক। মুফতি আবদুল্লাহ আল মাসুদ নামে ওই বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয় পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার গয়েশপুর পুলিশ ফাঁড়ি এলাকা থেকে। এরপর তাকে ফাঁড়িতে নিয়ে এসে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ চলে। বৃহস্পতিবার এই ঘটনাটি ঘটেছে।
ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও ভারত থেকে নিজের দেশে ফিরে যাননি মাসুদ। তিনি অবৈধভাবে পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার কাটাগঞ্জ এলাকায় বসবাস করতেন। সম্প্রতি তার বেশ কিছু কর্মকান্ডে সন্দেহ প্রকাশ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এর পরই মাসুদকে ইসলামী উগ্রপন্থী বলে দাবি করে পুলিশে অভিযোগ করা হয়। যেহেতু তার ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, তাই পুলিশ তাকে একজন অবৈধ অভিবাসী হিসেবে বিবেচনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভারতীয় আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় তার বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করা হয়েছে।
বিষয়টি সামনে আসার পরই যথেষ্ট উত্তেজনা ছড়িয়েছে। যদিও এ ব্যাপারে কলকাতা পুলিশের পক্ষে কিছুই জানানো হয়নি।
অন্যদিকে, গত ২৪ ঘন্টায় ভারত বাংলাদেশের দিনাজপুর সীমান্ত ও ভোমরা ঘোজাডাঙা সীমান্তে এলাকায় অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন আরো ১১ জন বাংলাদেশি নাগরিক।
পুলিশ ও বিএসএফের যৌথ অভিযানে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় এক বাংলাদেশি নাগরিককে। আটককৃতে ওই ব্যক্তির নাম পঞ্চানন পাল। তিনি বাংলাদেশের ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গা থানার বাসিন্দা। ভারতে তিনি পরিচয় বদল করে রূপায়ণ পাল নামে বসবাস করছিলেন বলে অভিযোগ। তার কাছ থেকে বাংলাদেশি পাসপোর্ট ছাড়াও ভারতের আধার কার্ড, ভোটার কার্ড ও এমনকি ভারতীয় পাসপোর্ট পর্যন্ত উদ্ধার হয়েছে।
একইদিনে ভারত থেকে অবৈধ পথে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের সময়ে ঘোজাডাঙ্গা ভোমরা সীমান্তের কাছে সরুপনগর এলাকার তারালি সীমান্ত থেকে বিএসএফের ১৪৩নম্বর ব্যাটালিয়নের হাতে আটক হয়েছেন আরো বাংলাদেশি নাগরিক।
সীমান্তরক্ষী বাহিনী জানিয়েছে আটকের পর তাদের স্বরূপনগর থানার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। আটককৃতদের মধ্যে রয়েছে তিন শিশু, তিনজন পুরুষ ও চারজন নারী। এর সবাই বাংলাদেশের সাতক্ষীরা এবং খুলনার বাগেরহাটের বাসিন্দা।
সুচরিতা/শাহেদ