গাজীপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ সীমা মারা গেলেন
Published: 28th, April 2025 GMT
গাজীপুর মহানগরীর একটি বাসায় গ্যাস সিলিন্ডারে লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়ে সীমা আক্তার (৩০) নামের এক নারী চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার সকালে মারা গেছেন। এ ঘটনায় দুই পরিবারের নারী-শিশুসহ দগ্ধ চারজন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
এর আগে রোববার রাতে বাসন থানার মোঘরখাল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। প্রথমে দগ্ধ পাঁচজনকে ঢাকায় জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। তাদের মধ্য থেকে আজ সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সীমা আক্তার মারা যান। তিনি মো.
গাজীপুর মহানগরের বাসন থানার এসআই মো. সজীব খান জানান, রোববার রাত ৮টার দিকে মোগরখাল এলাকার একটি বাসায় গ্যাস সিলিন্ডার থেকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয়রা দগ্ধ অবস্থায় পাঁচজনকে উদ্ধার করে রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকায় জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগে নিয়ে ভর্তি করান। সেখানে একজন মারা গেছেন।
নিহত সীমা আক্তারের স্বামী আলহাজ উদ্দিন বলেন, তারা উভয়ে পোশাক কারখানায় কাজ করেন। মোগরখাল এলাকায় আব্দুর রহিমের বাড়িতে বাসাভাড়ায় বসবাস করেন। গতকাল সন্ধ্যা ৭টার দিকে পাশের বাড়িতে রান্নাবান্না চলছিল। এ সময় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়ে আগুনের শিখা এসে তার স্ত্রী ও এক শিশুসহ মোট পাঁচজনের শরীর দগ্ধ হয়। প্রথমে তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে রাতেই সবাইকে জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগে এনে ভর্তি করা হয়। রোগীদের মধ্যে পারভীনের শরীরের ৩২ শতাংশ, তানজিলার ৯০ শতাংশ, তাসলিমার ৯৫ শতাংশ ও আয়ানের ২৮ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে বলে চিকিৎসক তাকে জানিয়েছেন।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে হামলার মামলায় গ্রেপ্তার ৫ জন কারাগারে
রাজধানীর উত্তরায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বহনকারী ‘ক্ষণিকা’ বাসে হামলার ঘটনায় করা মামলায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আজ বুধবার আদালত তাঁদের কারাগারে পাঠান।
বাসে হামলার এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন বিভাগের একজন কর্মকর্তা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে মারধর ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা করেন।
উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাফিজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের আজ ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে হাজির করে উত্তরা পশ্চিম থানা–পুলিশ। পরে তাঁদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
ওসি হাফিজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত একজনের পরিকল্পনায় নাশকতার উদ্দেশ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বহনকারী ক্ষণিকা বাসে হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে মামলা হয়। সেই মামলায় জড়িত থাকার সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পেয়ে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানান উত্তরা পশ্চিম থানার ওসি হাফিজুর রহমান।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তির তথ্য বলছে, গত রোববার (২৭ এপ্রিল) উত্তরার বিএনএস সেন্টারের সামনে বিআরটিসির ট্রাকের চাপায় একজন এসএসসি পরীক্ষার্থী নিহত হয়। এ ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করে শিক্ষার্থীরা। এ সময় কিছু শিক্ষার্থী ও বহিরাগত ব্যক্তিরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বহনকারী ক্ষণিকা বাসে হামলা ও ভাঙচুর চালান। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন।
জনসংযোগ দপ্তর আরও বলেছে, হামলার ঘটনায় অভিযোগ জানাতে মঙ্গলবার রাতে উত্তরা পশ্চিম–থানায় যান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খান ও প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমদ। উপাচার্য শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার বিষয়ে পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন। দ্রুত সময়ের মধ্যে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের আটক করতে অনুরোধ করেন।
আরও পড়ুনঢাবির ‘ক্ষণিকা’ বাসে হামলা, শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ও ছাত্রসংগঠনগুলোর নিন্দা২২ ঘণ্টা আগে