গাজীপুর মহানগরীর একটি বাসায় গ্যাস সিলিন্ডারে লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়ে সীমা আক্তার (৩০) নামের এক নারী চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার সকালে মারা গেছেন। এ ঘটনায় দুই পরিবারের নারী-শিশুসহ দগ্ধ চারজন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

এর আগে রোববার রাতে বাসন থানার মোঘরখাল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। প্রথমে দগ্ধ পাঁচজনকে ঢাকায় জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। তাদের মধ্য থেকে আজ সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সীমা আক্তার মারা যান। তিনি মো.

আলহাজ উদ্দিনের স্ত্রী। চিকিৎসাধীন দগ্ধ ব্যক্তিরা হলেন- পারভীন আক্তার (৩৫) এবং তার দেড় বছরের ছেলে আয়ান, তাসলিমা বেগম (৩০) ও তার মেয়ে তানজিলা আক্তার (১০)।

গাজীপুর মহানগরের বাসন থানার এসআই মো. সজীব খান জানান, রোববার রাত ৮টার দিকে মোগরখাল এলাকার একটি বাসায় গ্যাস সিলিন্ডার থেকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয়রা দগ্ধ অবস্থায় পাঁচজনকে উদ্ধার করে রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকায় জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগে নিয়ে ভর্তি করান। সেখানে একজন মারা গেছেন।

নিহত সীমা আক্তারের স্বামী আলহাজ উদ্দিন বলেন, তারা উভয়ে পোশাক কারখানায় কাজ করেন। মোগরখাল এলাকায় আব্দুর রহিমের বাড়িতে বাসাভাড়ায় বসবাস করেন। গতকাল সন্ধ্যা ৭টার দিকে পাশের বাড়িতে রান্নাবান্না চলছিল। এ সময় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়ে আগুনের শিখা এসে তার স্ত্রী ও এক শিশুসহ মোট পাঁচজনের শরীর দগ্ধ হয়। প্রথমে তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে রাতেই সবাইকে জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগে এনে ভর্তি করা হয়। রোগীদের মধ্যে পারভীনের শরীরের ৩২ শতাংশ, তানজিলার ৯০ শতাংশ, তাসলিমার ৯৫ শতাংশ ও আয়ানের ২৮ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে বলে চিকিৎসক তাকে জানিয়েছেন। 

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

রংপুরে হামলার ঘটনায় পাঁচজন গ্রেপ্তার: পুলিশ

রংপুরের গঙ্গাচড়ার আলদাদপুর বালাপাড়া গ্রামে ধর্ম অবমাননাকে কেন্দ্র করে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বসতবাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করার কথা জানিয়েছে পুলিশ।

আজ বুধবার সকালে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগ থেকে পাঠানো এক বার্তায় এ কথা জানানো হয়।

আরও পড়ুনরংপুরে হামলার দুই দিন পরও মামলা হয়নি, প্রশাসনের উদ্যোগে বসতবাড়ি মেরামত২২ ঘণ্টা আগে

পুলিশ জানায়, এ ঘটনায় গঙ্গাচড়া মডেল থানায় একটি মামলা করেছেন একজন ভুক্তভোগী। মামলায় অজ্ঞাতনামা ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। পরে যৌথ অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আলদাদপুর গ্রামটি হিন্দু অধ্যুষিত। এটি নীলফামারীর কিশোরগঞ্জের সীমানা লাগোয়া। গঙ্গাচড়া থানা সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার গ্রামটির এক কিশোর ফেসবুকে মহানবী হজরত মুহাম্মদকে (সা.) নিয়ে অবমাননাকর লেখা ও ছবি পোস্ট করেছে, এমন অভিযোগ পায় পুলিশ। পরে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে আটক করে শনিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে থানায় আনা হয়। সাইবার সুরক্ষা আইনে মামলা করে পরদিন রোববার দুপুরে ওই কিশোরকে আদালতের মাধ্যমে সম্মিলিত শিশু পুনর্বাসন কেন্দ্রে পাঠানো হয়।

আরও পড়ুনগঙ্গাচড়ায় হিন্দুদের বাড়িঘরে হামলা মানবাধিকারের লঙ্ঘন, বিচার দাবি১৪ ঘণ্টা আগে

পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ওই কিশোরকে থানায় নেওয়ার পর তার বিচারের দাবিতে মিছিলসহ উত্তেজিত লোকজন শনিবার তার বাড়ির সামনে যায়। রাত ১০টার দিকে দ্বিতীয়বার আরেকটি মিছিল এসে কিশোরের এক স্বজনের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর করে। পরে রাতে পুলিশ ও সেনাবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

আরও পড়ুন২২টির মধ্যে ১৯টি পরিবার বর্তমানে নিজেদের বাড়িতে আছে: জেলা প্রশাসক২৯ জুলাই ২০২৫

স্থানীয় বাসিন্দাদের ভাষ্য, রোববার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে উত্তেজিত জনতা আবারও বাড়িঘরে হামলা শুরু করলে পুলিশ তাঁদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় কয়েকটি বাড়িতে ভাঙচুর করা হয়। এতে পুলিশের একজন কনস্টেবল গুরুতর আহত হন। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

গঙ্গাচড়া উপজেলা প্রশাসনের হিসাবে, এ ঘটনায় ১৫টি বসতঘরে ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়েছে।

আরও পড়ুনরংপুরে হামলার শিকার পরিবারগুলো আতঙ্কে, বাড়ির মালামাল সরিয়ে নিচ্ছে২৮ জুলাই ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • রংপুরে হামলার ঘটনায় পাঁচজন গ্রেপ্তার: পুলিশ