সন্ধ্যার মধ্যে ১০ জেলায় ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের শঙ্কা
Published: 28th, April 2025 GMT
দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে জনজীবনে স্বস্তি ফিরলেও সারাদেশের তাপমাত্রায় খুব একটা পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়নি। এখনো ৩৭ ডিগ্রির ঘরেই রয়েছে সর্বোচ্চ তাপমাত্রার পারদ। এই অবস্থার মধ্যে ঢাকাসহ দেশের ১০ জেলায় ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড় হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
সোমবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেশের নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এসব জেলার নদীবন্দরে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক বলেন, সোমবার সন্ধ্যার মধ্যে ঢাকা ছাড়াও রাজশাহী, পাবনা, যশোর, কুষ্টিয়া, ফরিদপুর, ময়মনসিংহ, কুমিল্লা, নোয়াখালী ও সিলেটের উপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, এপ্রিল ও মে মাসে এই ধরনের আবহাওয়া বিরাজ করতে পারে। দমকা হাওয়াসহ এই ধরনের বৃষ্টিপাত আধা ঘণ্টা পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে।
গত ২৪ ঘণ্টায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া ও রংপুরে দেশের সর্বোচ্চ ৪১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। পাশাপাশি এই সময়ে দিনাজপুরে ৪০ মিলিমিটার ছাড়াও নীলফামারীর ডিমলায় ৩১, সৈয়দপুরে ৩০, মাইজদীকোর্টে ২৯, নেত্রকোণায় ১৯, রাজারহাটে ১৮ মিলিমিটারসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি ঝরেছে।
এই অবস্থায় বর্ধিত ৫ দিনে তাপমাত্রা বাড়তে পারে বলেও পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ক্রান্তিকালে বিসিবির প্রস্তুতির অভাব দেখছেন তামিম
জাতীয় দলের দীর্ঘদিনের নির্ভরতার প্রতীক তামিম ইকবাল মনে করছেন, সাকিব-মুশফিক-রিয়াদদের বিদায়ের পর বাংলাদেশের ক্রিকেটে যে সংকট তৈরি হয়েছে, তার জন্য আগেভাগে প্রস্তুত ছিল না বিসিবি। এই পরিস্থিতিতে হাই পারফরম্যান্স (এইচপি), টাইগার্স ও ‘এ’ দলের কাঠামোতে আরও বেশি বিনিয়োগের ওপর জোর দিয়েছেন তিনি।
সমকালকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তামিম বলেন, ‘পাঁচজন অভিজ্ঞ ক্রিকেটার সরে গেছে, যাদের অভিজ্ঞতা ১৫-১৭ বছরের। তারা হাজারের বেশি ম্যাচ খেলেছে। এই মানের ক্রিকেটারদের বিদায়ে শূন্যতা আসবেই। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, বোর্ড কি এই ক্রান্তিকালের জন্য প্রস্তুত ছিল?’
তামিমের মতে, জাতীয় দলের অনেক ক্রিকেটারই এখন ৭-১০ বছর ধরে খেলছেন। এই সময়টাতে তাদের পাশাপাশি ভবিষ্যতের জন্য বিকল্প খেলোয়াড় গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া উচিত ছিল। তিনি বলেন, ‘জাতীয় দলকে যতটা সম্ভব সুযোগ-সুবিধা দিন, কিন্তু ভবিষ্যতের কথা ভেবে এইচপি, টাইগার্স ও “এ” দলে বেশি ফোকাস করুন। এই জায়গাগুলোতে ভালো বিনিয়োগ না হলে জাতীয় দল সবসময় ধুঁকতেই থাকবে।’
তবে সামগ্রিকভাবে দেশের ক্রিকেট নিয়ে আশাবাদী তামিম। তার ভাষায়, ‘আমরা কখনোই তিন সংস্করণে একসঙ্গে ভালো করিনি। এই দলটাকেও যদি সময় দেওয়া হয়, তারা ঘুরে দাঁড়াবে।’
ভবিষ্যৎ তারকা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তামিম বেশ কয়েকজনের নাম তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘পেস বিভাগে তাসকিন আছে, নতুন নাহিদ রানা ভালো করছে। তাইজুল চমৎকার স্পিনার। হৃদয়, জাকের আলীরাও সম্ভাবনাময়। এদের মধ্য থেকেই কেউ কেউ বড় তারকা হয়ে উঠতে পারে।’
সবশেষে তিনি বোর্ডের প্রতি ক্রিকেটারদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘ক্রিকেটারদের আত্মবিশ্বাস দিন, বোঝান– তারা বোর্ডের পূর্ণ সমর্থন পাচ্ছে।’