ফেনীতে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর মৃত্যু
Published: 28th, April 2025 GMT
ফেনীতে বাসের ধাক্কায় মহিউদ্দিন তমাল (২৫) নামে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে। সোমবার (২৮ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ফেনী-পরশুরাম আঞ্চলিক সড়কের ফুলগাজী উপজেলার বন্ধুয়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত তমাল ফুলগাজী উপজেলার মুন্সিরহাট ইউনিয়নের নোয়াপুর গ্রামের বাসিন্দা আবুল কালামের ছেলে। পাঁচ ভাই-বোনের মধ্যে তিনি সকলের ছোট ছিলেন। তমাল ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের ষষ্ঠ পর্বের শিক্ষার্থী ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, তমাল বিকেলে মোটরসাইকেলে করে ফেনী শহর থেকে বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন। পথে বিপরীতদিক থেকে আসা বাস তার মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দিলে তিনি ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা দ্রুত উদ্ধার করে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরো পড়ুন:
গোপালগঞ্জে ৫ মিনিটের ঝড়ে ১ ঘণ্টা সড়ক বন্ধ
যত্রতত্র ময়লা না ফেলার আহ্বান ডিএনসিসি প্রশাসকের
নিহত তমালের বন্ধু মাহমুদুল হাসান জানান, দুপুরে ফেনী শহরের একাডেমী সড়কে বোনের বাসা থেকে বাড়ি ফেরার পথে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
ফেনী জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক নয়ন চন্দ্র দেবনাথ জানান, হাসপাতালে আনার আগেই তমাল মারা যান। পরে তার মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ফুলগাজী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নুরুল করিম জানান, দুর্ঘটনাকবলিত বাস ও মোটরসাইকেল পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। নিহতের মরদেহ ফেনী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। এখনো এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঢাকা/সাহাব/বকুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক পর বহন সড়ক দ র ঘটন মরদ হ ন হত
এছাড়াও পড়ুন:
পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন
চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।
লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।
চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।
লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।
প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।
লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।
লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’
তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?