ধর্ষণের শিকার শহীদকন্যার আত্মহত্যা: দাফনের পর হাসপাতালে মা-বোন
Published: 28th, April 2025 GMT
পটুয়াখালীর দুমকী উপজেলায় ধর্ষণের শিকার কলেজছাত্রীর আত্মহত্যার বিষয়টি মানতে পারছেন না স্বজনরা। তার শোকে কাঁদে কাঁদতে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন মা ও ছোট বোন। গত রোববার রাতে পাঙ্গাসিয়া গ্রামে জুলাই আন্দোলনে শহীদ বাবা জসিম হাওলাদারের কবরের পাশে মেয়েটিকে দাফন করা হয়। এরপর অসুস্থ হয়ে পড়ায় সে রাতেই মেয়েটির মা ও তার বোনকে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শহীদকন্যার মামা বলেন, ‘ভাগনির মৃত্যুতে তার মা-বোন মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে। কাঁদতে কাঁদতে অচেতন হয়ে পড়ছে তারা। তাকে দাফনের পর আরও অসুস্থ হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় রোববার রাত ১২টার দিকে তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসক জানিয়েছেন, ওষুধ খেলে ঠিক হয়ে যাবে। আমি তাদের সঙ্গে হাসপাতালে আছি। শহীদকন্যার আরেক ছোট ভাই আছে। তার বয়স মাত্র ১৭ মাস।’
পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সংরক্ষিত ১১৪ নম্বর কেবিনে চিকিৎসাধীন রয়েছে মেয়েটির মা ও তার বোন। সোমবার দুপুরে সেখানে গিয়ে দেখা যায়, বেডে শুয়ে আছেন তারা। দু’জন তখনও কাঁদছেন।
চিকিৎসক মশিউর রহমান বলেন, শহীদকন্যার মা ও বোনের তেমন কোনো অসুখ নেই। তবে শোকে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ায় তারা শারীরিকভাবে একটু দুর্বল হয়ে পড়েছেন। তাদের যথাযথ চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে। আশা করি, দু-একদিনের মধ্যে সুস্থ হয়ে তারা বাড়ি ফিরতে পারবেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ১৯ জুলাই রাজধানীর মোহাম্মদপুরে গুলিবিদ্ধ হন জসিম হাওলাদার। তিনি একটি এনজিওর গাড়িচালক ছিলেন এবং শেখেরটেকে স্ত্রী, দুই মেয়ে ও এক ছেলেকে নিয়ে বাস করতেন। গুলি লাগার ১১ দিন পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জসিম মারা যান। তাঁকে গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হয়। ১৮ মার্চ সন্ধ্যায় বাবার কবর জিয়ারত করে কাছেই নানাবাড়িতে ফিরছিল তার বড়মেয়ে। এ সময় স্থানীয় সোহাগ মুন্সীর ছেলে সিফাত মুন্সী (১৯) ও একই এলাকার এক কিশোর (১৭) তাকে ধর্ষণ করে। গ্রেপ্তারের পর দু’জনেই ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। এর মধ্যে গত শনিবার রাতে শেখেরটেকের ভাড়া বাসায় আত্মহত্যা করে মেয়েটি।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স স থ হয়
এছাড়াও পড়ুন:
নির্বাচনের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
নির্বাচনের জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী প্রস্তুত আছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
রবিবার (১৫ জুন) সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির সভা শেষে উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, “পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন যখনই হোক না কেন, নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা করার জন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত।”
এবারের ঈদে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সন্তোষজনক ছিল বলেও দাবি করেন তিনি।
পুলিশ কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে সক্রিয় হয়েছে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “যদি মনে করেন যে সক্রিয় থাকার অর্থ পুলিশ সবসময় মানুষকে মারধর করবে—যেমনটা গত ১৫ বছরে ঘটতে দেখেছি—তাহলে আমরা সেই পুলিশ বাহিনী চাই না। আমরা একটি জনবান্ধব পুলিশ বাহিনী চাই। এখন হয়তো লোকজন ভাবছে পুলিশ সচল হয়নি। পুলিশ কিন্তু আগের থেকে এখন আরও বেশি সক্রিয়।”
র্যাবের পোশাক পরে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে- এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, “র্যাবের পোশাক পরে যে ঘটনাটা ঘটেছে, এটা নিয়ে আমরাও খুব উদ্বিগ্ন। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি, এটার সঙ্গে যেই জড়িত, আমরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব যাতে আইনের আওতায় তাদের নিয়ে আসতে পারি।”
ভারতের পুশ ইন চলছে- এ বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, “আমরা এ ব্যাপারে আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বেশ কয়েকবার যোগাযোগ করেছি। ভারতে আমাদের যে হাইকমিশনার আছেন তিনিও আমাদের অফিসে এসেছিলেন। আমরা বলেছি, আমাদের দেশের নাগরিক যদি ভারতে থেকে থাকে, প্রোপার চ্যানেলে পাঠাও। আমরা নেবো। জঙ্গলের মধ্যে, নদীর মধ্যে, লেকের মধ্যে ফেলে দেওয়া- এটা কোনো সভ্য দেশে হওয়া উচিত না।”
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/ইভা