রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার ৩৬নং সাজেক ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের শুকনাছড়া এলাকা থেকে অস্ত্রসহ একজনকে আটক করেছে যৌথবাহিনীর সদস্যরা। 

আটককৃত ব্যক্তির নাম সুরেশ ওরফে বিদ্যুৎ চাকমা (৪৪)। তিনি নানিয়ারচর থানার দেওয়ানপাড়া গ্রামের হরিদাস চাকমার ছেলে। 

সোমবার (২৮ এপ্রিল) শুকনাছড়া এলাকায় মেজর মো. আবু নাঈম খন্দকার এর নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। 

আটককৃত বিদ্যুৎ চাকমার কাছ থেকে ১টি এলজি অস্ত্র, ২ রাউন্ড গুলি, ১০টি চাঁদা আদায়ের রশিদ বই, ১টি মোবাইল সেট, নগদ ২ হাজার ৪৮০ টাকা এবং ২টি হিসাবের খাতা জব্দ করা হয়।

বাঘাইহাট জোন কমান্ডার লে.

কর্নেল মো. মাসুদ রানা পিএসসি বলেন, “আমাদের কাছে তথ্য ছিল সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা দীর্ঘদিন ধরে অস্ত্রের মুখে স্থানীয় জনসাধারণকে জিম্মি করে উক্ত এলাকায় ব্যাবসায়ীদের গাড়ি আটক করে চাঁদাবাজি করে আসছে। শুকনাছড়া এলাকায় পাঁচ জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী চাঁদা আদায় করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করলে চারজন পালিয়ে গেলেও একজনকে আটক করতে সক্ষম হয়েছি।”

জব্দকৃত মালামাল ও আসামিকে সাজেক থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

ঢাকা/শংকর/এস

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

মাগুরায় চোর সন্দেহে একজনকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা

মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলায় চুরির অভিযোগে এক ব্যক্তিকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। আজ মঙ্গলবার সকালে উপজেলার জাঙ্গালিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে বেলা পৌনে ১১টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।

নিহত ব্যক্তির নাম মো. ইসরাফিল (৪০)। তাঁর বাড়ি উপজেলা সদরের জাঙ্গালিয়া গ্রামে।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আজ ভোরে জাঙ্গালিয়া গ্রামে তিনটি মুঠোফোন ও নগদ ১ হাজার ৬০০ টাকা চুরি হয়। সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে এলাকাবাসী ইসরাফিলকে নিজ বাড়ি থেকে ধরে এনে মারধর করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।

ইসরাফিলের পরিবারের একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, কয়েক দিন আগে পূর্ব নারায়ণপুর গ্রামের ইমরুল নামের এক ব্যক্তির মুঠোফোন চুরি হয়। সে সময় থেকেই ইসরাফিলকে সন্দেহ করা হচ্ছিল। আজ এলাকায় আরও একটি চুরির ঘটনা ঘটলে স্থানীয় লোকজন জড়ো হয়ে তাঁকে বাড়ি থেকে ধরে এনে পিটিয়ে হত্যা করেন।

মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুর রহমান বলেন, একরামুল নামের এক ব্যক্তির বাড়ি থেকে তিনটি মুঠোফোন ও টাকা চুরি হয়। ওই ঘটনায় ইসরাফিলকে অভিযুক্ত করে স্থানীয় লোকজন পিটুনি দেন। পরে হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর বিরুদ্ধে আগে কয়েকটি চুরির অভিযোগ থাকলেও বর্তমানে কোনো মামলা নেই। এ ঘটনায় তাঁর পরিবার থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ দেয়নি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • লক্ষ্মীপুরে মামলায় জড়ানোর প্রতিবাদ ভুক্তভোগী পরিবারের
  • দুদকের অভিযান: ঘুষসহ সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা ও সহকারী আটক
  • মাগুরায় চোর সন্দেহে একজনকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা