প্রযুক্তির দুনিয়ায় পা রাখলেন আরেক ‘গেটস’, বাবার মতো কি সফল হতে পারবেন
Published: 29th, April 2025 GMT
বিল গেটস ও মেলিন্ডা গেটসের সবচেয়ে ছোট ও সবচেয়ে ফ্যাশনসচেতন মেয়ে ফোয়েবে গেটস। এখন তিনি নিজে একজন উদ্যোক্তা। তিনি নতুন একটি অনলাইন শপিং টুল চালু করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহর ইউনিয়ন স্কয়ারের কাছে একটি ভবনের ওপরতলায় ছোট্ট সাদা দেয়ালের অফিস। সেখানে কিছু ব্যস্ত তরুণ-তরুণী কাজ করছেন। কেউ সিরিল খাচ্ছেন, কেউ জেলি বিন। দেয়ালে লাল মার্কারে লেখা ক্ষণগণনার ক্যালেন্ডার। পাশে একটা রোমান মূর্তি, যার মুখে ফোলানো গোলাপি বেলুন। আর অফিসের বাইরে ঝোলানো নামফলক ‘ফিয়া (Phia)’।
এই নতুন অনলাইন শপিং প্ল্যাটফর্মের ভাবনা শুরু করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রী ফোয়েবে গেটস ও সোফিয়া কিয়ানি। কলেজের আবাসিক হলের একটি কক্ষ থেকে এ ভাবনার সূচনা।
সব দিক থেকে দেখতে গেলে এটা একটা সাধারণ স্টার্টআপই। তবে একটা বড় পার্থক্য আছে; ফোয়েবের পদবি যে ‘গেটস’!
ফ্যাশনের জগতে Booking.
নতুন এই চিন্তার পেছনে আছেন ফোয়েবে গেটস (২২) যিনি বিল গেটস ও মেলিন্ডা ফ্রেঞ্চ গেটসের ছোট সন্তান এবং তাঁর কলেজের রুমমেট সোফিয়া কিয়ানি (২৩)।
নারী হিসেবে নতুন উদ্যোগ শুরু করাটা বেশ কঠিন। তার ওপর যদি আপনি হন বিশ্বের অন্যতম ধনী প্রযুক্তি–উদ্যোক্তার মেয়ে, তাহলে তা আরও জটিল।
ফোয়েবে বলেন, ‘আমি জানি, মানুষ সব সময় কিছু না কিছু বলবেই। আমাদের উদ্যোগ সফল হলে অনেকে বলবেন, ‘ও তো গেটসের মেয়ে, তাই পারছে। অনেকটা সত্যি। আমি হয়তো স্ট্যানফোর্ডে পড়তে পারতাম না, যদি আমার পরিবার না থাকত। কিন্তু এ নিয়ে আমার নিজের ভেতরেই একটা চাপ কাজ করে।’
২৪ এপ্রিল ফিয়ার ব্রাউজারভিত্তিক অ্যাপ চালু হয়, যা ফ্যাশনের জন্য বুকিং ডটকমের মতো কাজ করবে। নতুন বা পুরোনো যেকোনো পোশাক বা ফ্যাশন আইটেমের দাম হাজারো ওয়েবসাইটে তুলনা করে দেখাবে, যাতে এক ক্লিকেই সবচেয়ে সাশ্রয়ী দামে কেনা যায়।ফোয়েবে বুঝে গেছেন, অনেকে ধরেই নেবেন যে তাঁর নামের জোরেই তাঁরা বিনিয়োগ পেয়েছেন, বড় বড় মেন্টর পেয়েছেন। যেমন ক্রিস জেনার (কার্দাশিয়ানের মা), সারা ব্ল্যাকলি (স্প্যানক্স) বা জোয়ান ব্র্যাডফোর্ড (হানির সাবেক প্রেসিডেন্ট)।
এমনকি জনপ্রিয় পডকাস্ট নির্মাতা অ্যালেক্স কুপার তাঁদের নিজস্ব পডকাস্ট ‘দ্য বার্নআউটস উইথ ফোয়েবে অ্যান্ড সোফিয়া’র জন্য চুক্তিবদ্ধ করেছেন। এসবও অনেকে নামের কারণেই হয়েছে বলে ধরে নেবেন।
বিল গেটসের ছোট মেয়ে বলেন, ‘আমরা দুই রুমমেট আসলে জামাকাপড় নিয়ে ঝগড়া করি, অনলাইন শপিং সাইটে ঘেঁটে ঘেঁটে অফার খুঁজি। আমাদের মতো হাজারো মেয়ে আছেন।’
হ্যাঁ, হয়তো ফোয়েবের জীবনযাপন একটু আলাদা, কিন্তু চিন্তাভাবনায় অনেকেই কাছাকাছি।
ফোয়েবে গেটসউৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: গ টস র ক জ কর সবচ য়
এছাড়াও পড়ুন:
রাজশাহীতে আবার চালু হলো নিউজ পোর্টাল ‘পদ্মাটাইমস’
রাজশাহীভিত্তিক অনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘পদ্মাটাইমস টোয়েন্টিফোর ডটকম’-এর কার্যক্রম আবার চালু হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল থেকে পোর্টালটি সচল করা হয়।
গত ২১ জুলাই পোর্টালটি সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয় মালিকপক্ষ। তখন পদ্মাটাইমসের সম্পাদক এম বদরুল হাসান অভিযোগ করেছিলেন, জেলা বিএনপির কমিটি নিয়ে একটি সংবাদ প্রকাশের পর মালিকপক্ষের ওপর চাপ সৃষ্টি করা হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে নিউজ পোর্টালের কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছে। যদিও বিএনপির পক্ষ থেকে এ অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।
আজ সকালে পোর্টালটির ফেসবুক পেজে সম্পাদক বদরুল হাসানের স্বাক্ষরিত এক বার্তায় জানানো হয়, ‘অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি, অনিবার্য কারণে সাময়িকভাবে বন্ধ থাকা পদ্মাটাইমস টোয়েন্টিফোর ডটকম-এর কার্যক্রম পুনরায় চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দেশ-বিদেশের সম্মানিত পাঠক, শুভানুধ্যায়ী ও প্রশাসনের পরামর্শ ও সহযোগিতার ভিত্তিতে আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সাময়িক বিরতিতে সৃষ্ট অসুবিধার জন্য দুঃখিত এবং সবার ভালোবাসা কামনা করছি।’
এম বদরুল হাসান আজ সকালে বলেন, জেলা বিএনপি-সংক্রান্ত একটি সংবাদের জেরে মালিকপক্ষের ওপর চাপ সৃষ্টি হয়। এমনকি প্রকাশকের বাড়িতে গিয়ে ‘মব’ তৈরি করে হামলার চেষ্টাও করা হয়। বিষয়টি সেনাবাহিনীকেও জানানো হয়েছিল। এরপর মালিকপক্ষ পোর্টালটি বন্ধ করে দেয়। গতকাল বৃহস্পতিবার তাঁরা রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। কমিশনার ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটার আশ্বাস দেন। এতে মালিকপক্ষ আশ্বস্ত হয়ে পোর্টালটি আবার চালু করেছে।
আরও পড়ুনরাজশাহীতে বন্ধ হলো নিউজ পোর্টাল পদ্মাটাইমস, চাপের কথা জানালেন সম্পাদক২১ জুলাই ২০২৫২০১৭ সালের ১ জানুয়ারি যাত্রা শুরু করে পদ্মাটাইমস। ২০২২ সালের ২১ জুলাই এটি সরকার থেকে নিবন্ধন পায়। পোর্টালটির প্রকাশক মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল আলম (বেন্টু)। গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের দিন তাঁর ওপর হামলা হয়। এর পর থেকে তিনি পলাতক। ২০২২ সালে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন আজিজুল আলম। পরে তাঁকে সাংগঠনিক সম্পাদক করা হলেও রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন না।