বন্দরে মসজিদের গেইটে বিদ্যুতের খুঁটি, মুসল্লীদের দূর্ভোগ
Published: 29th, April 2025 GMT
বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পশ্চিম আদমপুরস্থ বায়তুল নুর জামে মসজিদের গেটে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর আওতাধীন বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের একটি খুটি মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে।
মসজিদের প্রবেশদ্বারে বিদ্যুতের ওই খুঁটিতে হাটমিটার থাকায় এলোমেলোভাবে থাকা তারে যে কোন সময় বড় ধরনের দূর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।
ঝুকিপূর্ণ খুটিটি সরাতে মসজিদ কমিটির পক্ষ থেকে মৌখিক ও লিখিতভাবে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিকে অবগত করার পরেও মিলছেনা সমাধান। এরফলে মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছে মুসল্লীরা। বিষয়টি দ্রুত সমাধানের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় জনসাধারণ।
সরেজমিনে জানা গেছে, উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নে আদমপুর চৌরাস্তা দিয়ে উত্তরদিকে এই জামে মসজিদটি। এখানে প্রায় ৬শ পরিবার বসবাস করে। প্রতি জজুম্মার ননামাজের সময় এই মসজিদে মুসল্লীর সংখ্যা বেশি থাকে । এই গ্রামটিতে নতুন নতুন বাড়িঘর হওয়াতে মসজিদের মুসল্লী দিন দিন বেড়েই চলছে।
এছাড়াও মসজিদের ব্যপক উন্নয়ন হয়েছে। মসজিদটিতে মাত্র একটি প্রবেশদ্বার। আর সেই প্রবেশদ্বারের মাঝ বরাবর বিদ্যুতের একটি খুটি রয়েছে। সেই খুঁটিতে হাটমিটার লাগানো আছে। মিটারটির ওয়্যারিং ঠিকমতো না থাকায় বিদ্যুৎপৃষ্টের ঝুঁকি রয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, বন্দর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির নিকট ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যুতের খুটি সরাতে কয়েকদফায় মসজিদ কমিটির পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলেও কোন গুরুত্বই দেয়নি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি (পবিস)। একটি ধর্মীয় স্থানে পবিসের উদাসীন কার্যক্রম নিয়ে জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ মসজ দ র
এছাড়াও পড়ুন:
প্রেমিকার বিয়ের দিনে প্রেমিকের লাশ উদ্ধার, হত্যার অভিযোগ পরিবারের
নড়াইলের লোহাগড়ায় প্রেমিকার বিয়ের দিনে প্রেমিক সৈয়দ মাসুম বিল্লাহর (২০) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মাসুমের বাম হাতের একটি আঙুলের নখ উপড়ে ফেলার আলামত থাকায় তার পরিবার অভিযোগ করছে, এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।
শুক্রবার (১ আগস্ট) দুপুরে কালনা মধুমতি সেতুর পশ্চিম পাশে রাস্তার ওপর মাসুমকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে ইজিবাইকের চালক সুজন শেখ তাকে উদ্ধার করে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। বিকেলে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
মাসুম বিল্লাহ লোহাগড়া উপজেলার শালনগর ইউনিয়নের মাকড়াইল গ্রামের মৃত সৈয়দ রকিবুল ইসলামের ছেলে।
আরো পড়ুন:
জুলাই হত্যাকাণ্ডের মামলায় চট্টগ্রামে প্রথম অভিযোগপত্র দাখিল
সিলেটে স্কুলছাত্র সুমেল হত্যা: ৮ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৭ জনের যাবজ্জীবন
মাসুমের স্বজনরা জানিয়েছেন, শালনগর ইউনিয়নের এক কিশোরীর সঙ্গে মাসুমের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মেয়েটির বিয়ের খবর পেয়ে শুক্রবার (১ আগস্ট) সকালে তিনি ঢাকা থেকে লোহাগড়ায় আসেন। সকালে পরিবারের সঙ্গে তার শেষবার কথা হয়, এরপর থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল।
মাসুম বিল্লাহর চাচা শরিফুল ইসলাম বলেছেন, “আমরা শুনেছি, সকালে লোহাগড়া বাজারের একটি পার্লারে মেয়েটির সঙ্গে মাসুমের কথা হয়। এর পর মেয়েটির বাবার কাছ থেকে হুমকি পায় সে। পরে হাসপাতাল থেকে ফোন পেয়ে মাসুমের মৃত্যুর খবর জানি। তার বাম হাতের নখ উপড়ানো ছিল। সব মিলিয়ে মনে হচ্ছে, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।”
মাসুমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া ইজিবাইক চালক সুজন বলেছেন, “ঘটনাস্থলে কোনো দুর্ঘটনার চিহ্ন ছিল না। তবে মনে হয়েছে, কেউ মাসুমকে গাড়ি থেকে ফেলে দিয়েছে।”
লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শরিফুল ইসলাম শনিবার (২ আগস্ট) সকালে সাংবাদিকদের বলেছেন, “আমরা মাসুম বিল্লাহকে মৃত অবস্থায় লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে থানায় নিয়ে আসি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।”
ঢাকা/শরিফুল/রফিক