৫৩তম টেস্ট খেলতে নেমেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। দুই হাজার রানের মাইলফলক থেকে ৩৬ রান দূরে ছিলেন। মাইলফলক ছোঁয়ার দিনে ইনিংস টেনে নিলেন সেঞ্চুরিতেই। অবশেষে পেলেন টেস্ট ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। ১২৪.৩ ওভারে মাধেভেরের বলে সিঙ্গেল নিয়ে সেঞ্চুরি পূর্ণ করলেন তিনি। ১৪৩ বলে তার ১০০ রানের ইনিংসটি সাজানো ১১টি চার ও ১টি ছক্কার সৌজন্যে। এই চট্টগ্রামেই প্রথম শতকটি করেছিলেন, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১০৩ রানের ইনিংস খেলেছিলেন ২০২১ সালে। 

১২৫ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৯ উইকেটে ৪৪০ রান। লিড ২১৩ রানের। মিরাজ ১০০ এবং হাসান মাহমুদ ০ রানে ব্যাট করছেন।

মিরাজকে সেঞ্চুরির অপেক্ষায় রেখে ফিরলেন তানজিম

এদিকে মিরাজ আছেন সেঞ্চুরির অপেক্ষায়, আগ্রাসী ব্যাটে সঙ্গ দিচ্ছিলেন তানজিম সাকিব। নিজেও ছিলেন ফিফটির পথে, তবে ব্যক্তিগত এই মাইলফলক ছোঁয়ার আগেই সাজঘরে ফিরতে হলে তাকে। ১২৩তম ওভারে মাধেভেরের বলে ফেরার আগে ৮০ বলে ৪১ রান করে তানজিম। 

রিভিউ নিয়ে বাঁচলেন মিরাজ

মাসেকসার আবেদনে সাড়া দিলেন আম্পায়ার। রিভিউ নিলেন মিরাজ। পরে রিপ্লেতে দেখা গেলে তার ব‍্যাটের কানা ছুঁয়ে গিয়েছিল বল। তাই সিদ্ধান্ত পাল্টাতে হলো আম্পায়ারের। সে সময় ৮০ রানে ছিলেন মিরাজ।

মিরাজের ছক্কায় বাংলাদেশের লিড ২০০

১২১তম ওভারের প্রথম বলে মিরাজের ছক্কায় হাঁকিয়ে বাংলাদেশের লিড  দুইশ ছাড়িয়েছে। ৮ উইকেটে বাংলাদেশের রান ৪২৯। লিড ২০২ রান। মিরাজ ৯৫ রানে ব‌্যাটিংয়ে। তাকে সঙ্গ দেওয়া তানজিম সাকিবের রান ৩৫। দুজনের জুটি ৮৭ রানের।

চারশ’ পেরিয়ে মধ্যাহ্ন বিরতিতে বাংলাদেশ, লিড ১৭৭

 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

হাজার কোটি টাকা নিট মুনাফার মাইলফলকে সিটি ব্যাংক

২০২৪ সালে এক অনন্য মাইলফলক স্থাপন করেছে দেশীয় মালিকানাধীন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সিটি ব্যাংক। গত বছর ব্যাংকটি সমন্বিতভাবে ১,০১৪ কোটি টাকা নিট মুনাফা করেছে যা এখন পর্যন্ত ব্যাংকের ৪২ বছরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। সিটি ব্যাংক এককভাবে ১,০৮৫ কোটি টাকা নিট মুনাফা অর্জন করলেও সহযোগী দুটি প্রতিষ্ঠানের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের বাজারমূল্য হ্রাস পাওয়ায় প্রভিশন ব্যয় হওয়ার কারণে ব্যাংকের সমন্বিত নিট মুনাফা ১,০১৪ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। সিটি ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। 

২০২৩ সালে ব্যাংকটির সমন্বিত নিট মুনাফা ছিল ৬৩৮ কোটি টাকা। সে তুলনায় ২০২৪ সালে সমন্বিত মুনাফা বেড়েছে ৩৭৬ কোটি টাকা বা ৫৯ শতাংশ- যা সিটি ব্যাংকের ইতিহাসে সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি।

মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত পরিচালনা পর্ষদের সভায় ২০২৪ সালের আর্থিক প্রতিবেদন অনুমোদন করে ব্যাংকটি। সেই সঙ্গে ঘোষণা করা হয় ২৫ শতাংশ লভ্যাংশ, যার মধ্যে ১২.৫ শতাংশ নগদ এবং ১২.৫ শতাংশ বোনাস। গত বছরও একই হারে লভ্যাংশ দিয়েছিল সিটি ব্যাংক। শেয়ারধারীদের অনুমোদনের পর এই লভ্যাংশ বার্ষিক সাধারণ সভায় বিতরণ করা হবে। ঘোষিত নগদ লভ্যাংশে ব্যয় হবে প্রায় ১৭০ কোটি টাকারও বেশি। পাশাপাশি বোনাস হিসেবে প্রতি ১০০ শেয়ারের বিপরীতে ১২.৫টি নতুন শেয়ার দেওয়া হবে।

রেকর্ড মুনাফার প্রভাব পড়েছে ব্যাংকের শেয়ারপ্রতি আয়েও। ২০২৩ সালের ৪.৭৪ টাকার তুলনায় ২০২৪ সালে ইপিএস বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭.৫৩ টাকায়, অর্থাৎ প্রবৃদ্ধি ৫৮.৯ শতাংশ। একইভাবে শেয়ারপ্রতি প্রকৃত সম্পদমূল্য বেড়ে হয়েছে ৩৪.৩৯ টাকা, যা আগের বছরের তুলনায় ৫.৩৮ টাকা বা ২০.৪১ শতাংশ বেশি।

রেকর্ড মুনাফার কারণ জানতে চাইলে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসরুর আরেফিন বলেন, ‘মানুষ আমাদের ওপর আস্থা রেখে আমানত রেখেছে। আয়-ব্যয়ের অনুপাত ৬০ শতাংশ থেকে কমে ৪২ শতাংশে নেমে এসেছে। ফলে মুনাফায় বড় উল্লম্ফন ঘটেছে। আমরা কর্মীদের বেতন বাড়িয়ে ৩০০ কোটি টাকা অতিরিক্ত ব্যয় করেছি, যা কর্মীদের উৎসাহিত করেছে। আমাদের পরিচালনা পর্ষদ সৎ ও মেধাবী। ব্যাংকে ঈর্ষণীয় পর্যায়ের সুশাসন বিদ্যমান। এসবই রেকর্ড মুনাফার পেছনের মূল কারণ।’

২০২৪ সালে ব্যাংকের আমানত বেড়েছে ৩১ শতাংশ বা ১২,১৭৭ কোটি টাকা, যেখানে ঋণের প্রবৃদ্ধি ছিল ১২ শতাংশ বা ৪,৮৩১ কোটি টাকা। এই উদ্বৃত্ত তহবিলের বড় একটি অংশ সরকারি সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ করা হয়েছে, যা আগের বিনিয়োগ থেকে ৬,১৫০ কোটি টাকা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২,৪৮৮ কোটি টাকায়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • এবার হাজার কোটি টাকার মুনাফার ক্লাবে সিটি ব্যাংক
  • হাজার কোটি টাকা নিট মুনাফার মাইলফলকে সিটি ব্যাংক