আগামীকাল ২০০০ তম পর্বের মাইলফলক স্পর্শ করবে মাছরাঙা টেলিভিশনের নিয়মিত আয়োজন ‘বিনোদন সারাদিন’। পর্বটিতে বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকছেন অভিনয়শিল্পী, নৃত্যশিল্পী, স্থপতি অপি করিম। এছাড়া এদিন অপি করিমেরও জন্মদিন।

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জয়ী এই অভিনেত্রী ‘বিনোদন সারাদিন’-এ জানিয়েছেন নতুন আরেকটি চমকপ্রদ তথ্য। নাচের প্রতি অকুণ্ঠ ভালোবাসা থেকে নাচ নিয়ে ভবিষ্যতে ভিন্নধর্মী কাজ করার ইচ্ছে আছে তার।

অপি করিমের সাথে ‘বিনোদন সারাদিন’-এর ২০০০ পর্বে সঞ্চালনা করেছেন ইন্দ্রানী নিশি। তিনি ছাড়াও অর্চি রহমান এই অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করছেন নিয়মিত।

প্রতি সপ্তাহের রবি থেকে বৃহস্পতিবার, রাত ১২টায় প্রচারিত হচ্ছে ‘বিনোদন সারাদিন’। রুম্মান রশীদ খানের গ্রন্থনা ও তত্ত্বাবধানে ‘বিনোদন সারাদিন’ প্রযোজনা করছেন এস এম হুমায়ূন কবীর। ২০১২ সালের ৬ মে থেকে প্রচার শুরু হয়েছিল এই জনপ্রিয় অনুষ্ঠানের। ১ম পর্বে অতিথি হিসেবে এসেছিলেন গুণী অভিনেতা ফজলুর রহমান বাবু।

পরবর্তীতে ‘বিনোদন সারাদিন’-এর অতিথি হয়ে এসেছিলেন সুবর্ণা মুস্তাফা, আলমগীর, রাইসুল ইসলাম আসাদ, প্রয়াত শহীদুল ইসলাম খোকন, প্রয়াত অভিনেত্রী দিতি, জয়া আহসান, সাদিয়া ইসলাম মৌ, রুমানা রশিদ ঈশিতা, মাহফুজ আহমেদ, পূর্ণিমা, মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, অনন্ত জলিল, মোশাররফ করিম, চঞ্চল চৌধুরী, নুসরাত ইমরোজ তিশা, মোনালিসা, মেহজাবীন চৌধুরী, সাবিলা নূর, এফ এস নাঈম, নাদিয়া আহমেদ, পরীমনি, মাহিয়া মাহি, বাঁধন, বাপ্পী চৌধুরী, আরিফিন শুভ, নুসরাত ফারিয়া, পূজা চেরি, কনা, ইমরান সহ বিনোদন জগতে ক্যামেরার সামনে ও নেপথ্যে থাকা প্রায় সব গুণী শিল্পী-কলাকুশলীরা।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ফুসফুসের সুরক্ষায় যা করণীয়

জীবন সুস্থ রাখার জন্য চাই সুস্থ ফুসফুস, সুস্থ নিঃশ্বাস আর বিশুদ্ধ বাতাস। ফুসফুসের যত্নের শুরু মাতৃজঠরে থাকার সময় থেকেই। গর্ভাবস্থায় মায়ের অপুষ্টি, বিভিন্ন সংক্রামক রোগের সংক্রমণ, সময়ের আগে অপরিণত অবস্থায় স্বল্প ওজনে জন্ম নেওয়া শিশুর ফুসফুসের বিভিন্ন রোগের কারণ হতে পারে। আবার জন্মের পর মাতৃদুগ্ধ পান নিউমোনিয়া, অ্যাজমাসহ বিভিন্ন রোগের প্রকোপ কমায়। এ কারণে হবু মা এবং নতুন মায়ের যত্ন শিশুর সুস্থ ফুসফুসের পূর্বশর্ত। অন্যদিকে ধূমপায়ী বাবা শুধু তাঁর পরিবারের সদস্যদের জন্যই নয়, এমনকি যে শিশুটি এখনও ভূমিষ্ঠ হয়নি, তার জন্যও হুমকিস্বরূপ। ধূমপায়ী মায়েদের জন্য এ কথা আরও বেশি সত্য। 

ফুসফুস বিভিন্ন সংক্রামক জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার একটি প্রধান অঙ্গ। করোনা মহামারি আমাদের এ সত্য আরও ভালোভাবে বুঝিয়েছে। পুরো পৃথিবী ছোট্ট করোনাভাইরাসের কাছে অসহায় হয়েছিল। একইভাবে নিউমোনিয়া, যক্ষ্মা, ইনফ্লুয়েঞ্জা এমনকি বিভিন্ন ছত্রাকজনিত রোগেরও আকর এই ফুসফুস। অথচ সামান্য স্বাস্থ্যবিধি, যেমন– নিয়মিত হাত ধোয়া, মাস্ক পরা, হাঁচি-কাশির শিষ্টাচার ইত্যাদির মাধ্যমে এ রোগ অনেকাংশে প্রতিরোধ করা সম্ভব। 

বর্তমান সময়ে পরিবেশদূষণ ও বায়ুদূষণ একটি অন্যতম প্রধান সমস্যা। বায়ুদূষণের সরাসরি আঘাত হয় ফুসফুসে। বায়ুদূষণের জন্য অ্যাজমা, সিওপিডিসহ বিভিন্ন রোগ ফুসফুসের শ্বাসনালির বাধাজনিত কারণে সৃষ্টি। সজীব নির্মল বায়ু নিশ্চিতকরণে আমাদের প্রচেষ্টা ফুসফুসের যত্নের একটি অংশ।

জীবিকার প্রয়োজনে আমরা বিভিন্ন ধরনের পেশা বেছে নিই। তার মধ্যে এমন কিছু পেশা আছে, যা ফুসফুসের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। যেমন– পাথরভাঙা, জাহাজভাঙা, ওয়েলডিং, আঁশ ও তুষজাতীয় উপাদানের সংস্পর্শে থাকা ইত্যাদি। এ পেশার কারণে তৈরি ছোট ছোট ধূলিকণা বা সূক্ষ্মতন্তু আমাদের ফুসফুসে আটকে বিভিন্ন ধরনের রোগ সৃষ্টি করতে পারে। অথচ কাজের সময় ব্যক্তিগত সুরক্ষাসামগ্রী ব্যবহার করলে এ বিপর্যয় থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। সে সম্পর্কে আমরা মোটেও সচেতন নই। তাই ‘অকুপেশনাল হেলথ’ বা জীবিকা-সংক্রান্ত স্বাস্থ্য সুরক্ষায় আমাদের আরও মনোযোগী হতে হবে।

ছোট ছোট কিছু পদক্ষেপে সম্মিলিতভাবে সবাই উপকৃত হতে পারে। বিশেষ করে সুবিধাবঞ্চিত মানুষের ফুসফুসের তথা সঠিক স্বাস্থ্যরক্ষায় আরও মনোযোগী হতে হবে। শুধু চিকিৎসা নয়, রোগ প্রতিরোধে উদ্যোগী হওয়ার এখনই সময়। করোনা মহামারি আমাদের সে শিক্ষাটাই দিয়েছে।

লেখক: চিকিৎসক, রেসপিরেটরি মেডিসিন বিভাগ , বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ