সোনারগাঁয়ে চুরি হওয়া বিদ্যুতের ক্যাবলের ভিতরে থাকা তামার তারসহ আন্তঃবিভাগ চোর চক্রের সক্রিয় এক সদস্যকে আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী।

আটককৃত চোর হলো- সোনারগাঁ উপজেলার সনমান্দী ইউনিয়নের পূর্ব সনমান্দী গ্রামের জাকারিয়ার বড় ছেলে ইউছুফ।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মফিজুর রহমান।

এঘটনায় সনমান্দী ইউনিয়নে বাসিন্দা মনির হোসেন নামে এক ব্যক্তি বাদি হয়ে তিন চোরের নামে সোনারগাঁ থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে বুধবার (৩০ এপ্রিল) চোরকে আদালতে প্রেরণ করেন সোনারগাঁ থানা পুলিশ।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ২৯ তারিখ আনুমানিক রাত ৪ ঘটিকার সময় ইউসুফ সহ পাঁচ ছয় জন চোর পঞ্চবটি চকে মনির হোসেনের  মালিকাধীন ইরি ধানের স্কিমে থাকা বৈদ্যুতিক খুঁটি হইতে ৩০০গজ বৈদ্যুতিক ক্যাবল চুরি করে নিয়ে যায়। যাহার অনুমান মূল্য ত্রিশ হাজার টাকা।

পরবর্তীতে বৈদ্যুতিক ক্যাবল হইতে আগুনে পুরানো ৫.

৫০ কেজি তামার তার জব্দ করিয়া পুলিশ হেফাজতে নেন। 

পুলিশ জানায়, চোর চক্রের মূল হোতা ইউছুফ নিজে বৈদ্যুতিক ক্যাবল চুরি কথা স্থানীয় এলাকাবাসীর সামনে এবং পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন।

সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মফিজুর রহমান বলেন, চুরি হওয়া বৈদ্যুতিক ক্যাবলের তামার তারসহ স্থানীয় এলাকাবাসী চোরকে আটক করে গণধোলাই  দিয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে।

এ ঘটনায় মামলা গ্রহণ করা হয়েছে। তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
 

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: স ন রগ ও ন র য়ণগঞ জ ব দ য ত ক ক য বল স ন রগ

এছাড়াও পড়ুন:

কার্টুন, মিমে অভ্যুত্থানের ভিন্ন ধারার দৃশ্যায়ন

টাকার বস্তার ভেতর থেকে মাথা উঁচিয়ে আছেন শুভ্র কেশ, সফেদ দাড়ি, চশমা পরিহিত এক লোক। তাঁর ছবি দেখে তো বটেই, এই বর্ণনা থেকেও তাঁকে চিনবেন দেশবাসী। বর্তমানে কারাগারের বাসিন্দা পতিত স্বৈরশাসকের এই উপদেষ্টা বলছেন, ‘টাকার ওপর আমার বিশ্বাস উঠে গেছে।’ এই ছবির পাশেই এক কাটআউট। সেখানে ‘শেখ হাসিনা পালায় না’ বলতে বলতে দৌড়ে পালাচ্ছেন ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতার মসনদ থেকে উৎপাটিত শেখ হাসিনা।

এমন মজার মজার কার্টুন, মিম, গ্রাফিতি, ভিডিও স্থাপনাকর্মসহ বৈচিত্র্যময় সৃজনসম্ভার নিয়ে শুরু হয়েছে ‘বিদ্রূপে বিদ্রোহ’ নামের ব্যতিক্রমী এক প্রদর্শনী। আয়োজন করেছে অনলাইনভিত্তিক স্যাটায়ার সাময়িকী ‘ইয়ারকি’। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ধানমন্ডির আলিয়ঁস ফ্রঁসেজের লা গ্যালারিতে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে ছয় দিনের এ প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। চলবে ৫ আগস্ট পর্যন্ত। সবার জন্য প্রতিদিন বেলা তিনটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত খোলা।

গত বছর ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে উত্তাল ছিল জুলাই। একটি বৈষম্যহীন, উদার গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য পথে নেমেছিলেন অগণিত মানুষ। শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী সরকারকে উৎখাত করতে জীবন উৎসর্গ করেছেন তাঁদের অনেকে। আহত হয়েছেন বেশুমার। রক্তরঞ্জিত রাজপথ বেয়ে এসেছে জনতার বিজয়।

প্রদর্শনীতে প্রবেশপথটির দুই পাশে লাল রঙের পটভূমিতে বড় বড় ডিজিটাল পোস্টার। সেখানে ২ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত প্রতিদিনের বিভিন্ন ঘটনার আলোকচিত্র, সংবাদপত্র, অনলাইন পোর্টাল, টেলিভিশনের রিপোর্ট, ছবি, ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমের পোস্ট—এসব তুলে আনা হয়েছে এ পোস্টারগুলোতে। প্রবেশপথটিও লাল রঙের। ‘জুলাই করিডর’ নামে এই রক্তিম পথটি বেয়ে দর্শনার্থীরা প্রদর্শনীতে প্রবেশের সময় অভ্যুত্থানের উত্তাল দিনগুলোর উত্তাপ ফিরে পাবেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ