পিত্তথলিতে পাথর হলে অপারেশনের মাধ্যমে পাথরগুলো থলিসহ ফেলে দিতে হয়। কিন্তু পিত্তথলিতে বালু হলে অপারেশনের দরকার হয় কি? চিকিৎসকেরা জানান, এটি হলো পিত্তথলিতে পাথর হওয়ার আগের অবস্থা। যা কোলেস্টেরোল জমে তৈরি হয়।
ডা. আখতার আহমদ (শুভ), এমবিবিএস, বিসিএস, এফআইবিএস (সার্জারী) বলেন, ‘‘পাথরের ভেতরে যদি ক্যালসিয়াম জমে তবে সেই পাথর কোনো ওষুধে যাবে না। পাথর হওয়ার যে আগের স্টেজ আছে, অর্থাৎ যখন শুধু কোলেস্টেরোল জমে তখন কিছু ওষুধ দিলে কোলেস্টেরোল ভেঙে যায়। সেটাকে আমরা পাথর বলি না, সেটাকে বলি বালু। সুতরাং পিত্তথলিতে বালু হলে ওষুধ সেবনের মাধ্যমে সুস্থ হওয়ার সুযোগ আছে।’’
এই চিকিৎসক আরও বলেন, পিত্তথলিতে জমা বালুগুলো জমে যদি একটি পাথরের সাইজ ধারণ করে তখন অপারেশন ছাড়া দূর করা সম্ভব নয়। অপারেশন দুই রকমে করা সম্ভব। একটা পেট কেটে পিত্তথলি ফেলে দেওয়া। এই পদ্ধতিতে পেট কাটতে হলে আমাদের হাত যতখানি চওড়া মিনিমাম অতখানি জায়গা কাটতে হয়। বা তারচেয়ে একটু বেশি কাটতে হয়। তার কারণ লাইটের আলো ফেলে দেখতে হয়। আরেকটি উপায় হচ্ছে, লেপারোস্কপি করা। পেটের মধ্যে কয়েকটি ছিদ্র করে সেই ছিদ্র দিয়ে লাইট, ক্যামেরা ঢুকিয়ে দিয়ে পিত্তথলি দেখে কাঠি দিয়ে যেভাবে নুডুলস পেঁচানো যায়, ওইভাবে পিত্তথলি বেঁধে-কেটে বের করে আনা হয়। এটি হচ্ছে ল্যাপারেস্কোপিক সার্জেল। এতে ভয়ের কিছু নাই, ল্যাপারেস্কোপি করলে রোগী দুইদিনের মধ্যে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে যেতে পারেন।
আরো পড়ুন:
স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস গড়ে তুলতে চান?
‘ড্রাই আই সিনড্রোম’ কেন হয়, করণীয় কী
সতর্কতা: পিত্তথলিতে পাথর যদি তিন বছরের বেশি সময় ধরে থাকে তাহলে ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি থাকে। অনেক সময় পাথর পিছলে গিয়ে পিত্তথলি থেকে পিত্তনালীতে চলে যায়। তখন রোগীর জন্ডিস হয়, জ্বর, পেটেব্যথাসহ নানা সমস্যা দেখা দেয়।
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বিএনপি সব সময় শ্রমিকদের পাশে আছে : রাজিব
মহান মে দিবস ও আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী গার্মেন্টস শ্রমিক দল নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির উদ্যোগে শ্রমিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (২রা মে) বিকেলে নগরীর চাষাড়ার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এ শ্রমিক সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুকুল ইসলাম রাজিব।
এসময় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাসুকুল ইসলাম রাজিব বলেন, ১লা মে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবসে বিএনপির পক্ষ থেকে দেশকাসীকে জানাই গভীর শ্রদ্ধা। শ্রমিকরা হলো আমাদের দেশের চালিকা শক্তি। আপনাদের শ্রমে, ঘামে এবং ত্যাগে রচিত হচ্ছে বাংলাদেশের কৃষি, শিল্প ও অর্থনীতি। আপনাদের জন্যই এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। তাই আপনাদের সবাইকে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে ও আমার ব্যাক্তিগত পক্ষ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। শ্রমিকদরে ন্যায্য অধিকার রক্ষা করার জন্য বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি সব সময় শ্রমিকদের পাশে ছিলো, আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। আমরা বিশ্বাস করি আজ বাংলাদেশের শ্রমজীবি মানুষ যে পরিশ্রম করে থাকে সেই পরিশ্রমের জন্যই আমরা নতুন ভাবে স্বপ্ন দেখেতে শুরু করেছি। বাংলাদেশকে গোটা পৃথিবীর বুকে একটি আত্ননির্ভরশীল দেশ হিসেবে আমরা দেখতে চাই।
ভিপি রাজিব আরও বলেন, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের পর ২০২৪ এ আমাদের হাজার ছাত্র-জনতা আত্নহতির বিনিমেয়ে আমরা আবারো নতুন করে স্বাধীনতা লাভ করেছি। আমরা শিল্প সমৃদ্ধির একটি জেলা হিসেবে নারায়ণগঞ্জকে গড়ে তুলতে চাই। আপনাদের নিরাপদ কর্মের পরিবেশ যারা নষ্ট করতে চায় আমরা তাদেরকে হুশিয়ার উচ্চারন করে বলতে চাই বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল তথা নারায়ণগঞ্জ যতদিন আছে ততদিন কোন শ্রমিকের প্রতি বিন্দু পরিমান আঘাত কেউ করতে পারবে না। আপনারা জানেন আমাদের নেতা তারেক রহমান আমাদের জন্য ৩১টি দফা দিয়েছেন। তার মধ্যে সমস্ত সেক্টরের কথা রয়েছে। আমরা তা বাস্তবায়ন করবো। আমরা বিশ্বাস করি আগামী দিনে যে বাংলাদেশকে আমরা দেখতে চাই সেই বাংলাদেশ হবে বৈষম্যবিহীন। বাংলাদেশের প্রত্যেকটি মানুষ সমান ভাবে তার অধিকার ভোগ করবে। যে উপরের তলায় আছেন, যে শিল্পপতি আছেন, তার যেমন অধিকার আছে, তেমনি একজন শ্রমিকের অধিকারও সমান হতে হবে।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী গার্মেন্টস শ্রমিক দল নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ ইসমাঈল হোসেন কাউসার এর সভাপতিত্বে এবং ফতুল্লা থানা বিএনপির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মামুনুর রশিদ এর সঞ্চালনায় এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদল কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ, কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ আছাদুজ্জামান বাবুল, সহ-অর্থ সম্পাদক আব্দুল আল মামুন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী গার্মেন্টস শ্রমিক দল কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক লুৎফুন নাহার লতা, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম দল নারায়ণগঞ্জ জেলা আহবায়ক সলিমুল্লাহ করিম সেলিম, শ্রমিক নেতা এজাজ চৌধুরী, মোঃ রাজু আহম্মেদ ভূঁইয়া ও নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি পারভেজ মল্লিক সহ বিভিন্ন শ্রমিক নেতৃবৃন্দ।