ঝিনাইদহ সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি আহত
Published: 2nd, May 2025 GMT
ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্তের পিপুলবাড়িয়া এলাকায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে রিয়াদ হোসেন (২২) নামের এক বাংলাদেশি আহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
আহত রিয়াদ পিপুলবাড়িয়া গ্রামের শফি উদ্দিনের ছেলে। তিনি বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বলে তাঁর পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন।
রিয়াদের চাচাতো ভাই সুমন মিয়া দাবি করেছেন, রিয়াদ একজন কৃষক। গতকাল রাতে হালকা বৃষ্টির সময় রিয়াদ মাঠে গেলে ওপার থেকে ভারতীয় কুসুমপুর ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালান। একপর্যায়ে একটি গুলি তাঁর শরীরে বিদ্ধ হয়। স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, পরে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসা দিয়ে তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে রিয়াদ ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
তবে সীমান্তের একটি সূত্র প্রথম আলোকে জানিয়েছে, আহত ব্যক্তি মূলত চোরাচালান চক্রের সঙ্গে যুক্ত। আর গুলির ঘটনাটি ঘটেছে দুই দেশের সীমান্তের মধ্যবর্তী নো ম্যানস ল্যান্ডে।
জানতে চাইলে মহেশপুর ৫৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রফিকুল আলম বলেন, এমন ঘটনার খবর তাঁরা লোকমুখে শুনেছেন। তবে কেউ অবহিত করেননি। তিনি আরও জানান, যাঁর আহত হওয়ার কথা শুনছেন, তাঁর বাড়িতে লোক পাঠিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
জঙ্গি সন্দেহে কলকাতায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশি যুবক
জঙ্গি সন্দেহে কলকাতা পুলিশের বিশেষ টাস্ক ফোর্সের (এসটিএফ) হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে এক বাংলাদেশি নাগরিক। মুফতি আবদুল্লাহ আল মাসুদ নামে ওই বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয় পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার গয়েশপুর পুলিশ ফাঁড়ি এলাকা থেকে। এরপর তাকে ফাঁড়িতে নিয়ে এসে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ চলে। বৃহস্পতিবার এই ঘটনাটি ঘটেছে।
ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও ভারত থেকে নিজের দেশে ফিরে যাননি মাসুদ। তিনি অবৈধভাবে পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার কাটাগঞ্জ এলাকায় বসবাস করতেন। সম্প্রতি তার বেশ কিছু কর্মকান্ডে সন্দেহ প্রকাশ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এর পরই মাসুদকে ইসলামী উগ্রপন্থী বলে দাবি করে পুলিশে অভিযোগ করা হয়। যেহেতু তার ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, তাই পুলিশ তাকে একজন অবৈধ অভিবাসী হিসেবে বিবেচনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভারতীয় আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় তার বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করা হয়েছে।
বিষয়টি সামনে আসার পরই যথেষ্ট উত্তেজনা ছড়িয়েছে। যদিও এ ব্যাপারে কলকাতা পুলিশের পক্ষে কিছুই জানানো হয়নি।
অন্যদিকে, গত ২৪ ঘন্টায় ভারত বাংলাদেশের দিনাজপুর সীমান্ত ও ভোমরা ঘোজাডাঙা সীমান্তে এলাকায় অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন আরো ১১ জন বাংলাদেশি নাগরিক।
পুলিশ ও বিএসএফের যৌথ অভিযানে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় এক বাংলাদেশি নাগরিককে। আটককৃতে ওই ব্যক্তির নাম পঞ্চানন পাল। তিনি বাংলাদেশের ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গা থানার বাসিন্দা। ভারতে তিনি পরিচয় বদল করে রূপায়ণ পাল নামে বসবাস করছিলেন বলে অভিযোগ। তার কাছ থেকে বাংলাদেশি পাসপোর্ট ছাড়াও ভারতের আধার কার্ড, ভোটার কার্ড ও এমনকি ভারতীয় পাসপোর্ট পর্যন্ত উদ্ধার হয়েছে।
একইদিনে ভারত থেকে অবৈধ পথে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের সময়ে ঘোজাডাঙ্গা ভোমরা সীমান্তের কাছে সরুপনগর এলাকার তারালি সীমান্ত থেকে বিএসএফের ১৪৩নম্বর ব্যাটালিয়নের হাতে আটক হয়েছেন আরো বাংলাদেশি নাগরিক।
সীমান্তরক্ষী বাহিনী জানিয়েছে আটকের পর তাদের স্বরূপনগর থানার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। আটককৃতদের মধ্যে রয়েছে তিন শিশু, তিনজন পুরুষ ও চারজন নারী। এর সবাই বাংলাদেশের সাতক্ষীরা এবং খুলনার বাগেরহাটের বাসিন্দা।
সুচরিতা/শাহেদ