আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে নোয়াখালীতে এনসিপির মিছিল-সমাবেশ
Published: 2nd, May 2025 GMT
আওয়ামী লীগের বিচার এবং দলটির কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবিতে নোয়াখালীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আজ শুক্রবার জুমার নামাজের পর জেলা শহর মাইজদীতে এসব কর্মসূচি পালন করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পূর্বঘোষিত বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন উপলক্ষে জুমার নামাজের আগে থেকে এনসিপির নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা জেলা জামে মসজিদ এলাকায় জড়ো হতে থাকেন। বেলা দুইটার দিকে তাঁরা জেলা জামে মসজিদের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি জিলা স্কুল ও পৌর বাজার এলাকা অতিক্রম করে জামে মসজিদ মোড় এলাকায় সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
সমাবেশে বক্তব্য দেন এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য তুহিন ইমরান, জেলা সংগঠক কাজী মাঈন উদ্দিন ওরফে তানভির। বক্তারা বলেন, জুলাই-আগস্টের গণ-আন্দোলনের সময় সারা দেশে দুই হাজারের বেশি মানুষকে নির্বিচার হত্যা করেছে আওয়ামী লীগ। হাজার হাজার মানুষকে পঙ্গু করেছে। এই আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে। আওয়ামী লীগের কোনো নেতা-কর্মী যাতে কোনো ঝটিকা মিছিল করতে না পারেন, সে বিষয়ে সবাইকে সজাগ রাখতে হবে। যেখানেই আওয়ামী লীগ মিছিল-মিটিং করার চেষ্টা করবে, সেখানেই তাদের এই দেশের ছাত্র-জনতা প্রতিহত করবে।
সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, শান্তিপূর্ণ মিছিল-সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। কোথাও কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
প্রেমিকার বিয়ের দিনে প্রেমিকের লাশ উদ্ধার, হত্যার অভিযোগ পরিবারের
নড়াইলের লোহাগড়ায় প্রেমিকার বিয়ের দিনে প্রেমিক সৈয়দ মাসুম বিল্লাহর (২০) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মাসুমের বাম হাতের একটি আঙুলের নখ উপড়ে ফেলার আলামত থাকায় তার পরিবার অভিযোগ করছে, এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।
শুক্রবার (১ আগস্ট) দুপুরে কালনা মধুমতি সেতুর পশ্চিম পাশে রাস্তার ওপর মাসুমকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে ইজিবাইকের চালক সুজন শেখ তাকে উদ্ধার করে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। বিকেলে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
মাসুম বিল্লাহ লোহাগড়া উপজেলার শালনগর ইউনিয়নের মাকড়াইল গ্রামের মৃত সৈয়দ রকিবুল ইসলামের ছেলে।
আরো পড়ুন:
জুলাই হত্যাকাণ্ডের মামলায় চট্টগ্রামে প্রথম অভিযোগপত্র দাখিল
সিলেটে স্কুলছাত্র সুমেল হত্যা: ৮ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৭ জনের যাবজ্জীবন
মাসুমের স্বজনরা জানিয়েছেন, শালনগর ইউনিয়নের এক কিশোরীর সঙ্গে মাসুমের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মেয়েটির বিয়ের খবর পেয়ে শুক্রবার (১ আগস্ট) সকালে তিনি ঢাকা থেকে লোহাগড়ায় আসেন। সকালে পরিবারের সঙ্গে তার শেষবার কথা হয়, এরপর থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল।
মাসুম বিল্লাহর চাচা শরিফুল ইসলাম বলেছেন, “আমরা শুনেছি, সকালে লোহাগড়া বাজারের একটি পার্লারে মেয়েটির সঙ্গে মাসুমের কথা হয়। এর পর মেয়েটির বাবার কাছ থেকে হুমকি পায় সে। পরে হাসপাতাল থেকে ফোন পেয়ে মাসুমের মৃত্যুর খবর জানি। তার বাম হাতের নখ উপড়ানো ছিল। সব মিলিয়ে মনে হচ্ছে, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।”
মাসুমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া ইজিবাইক চালক সুজন বলেছেন, “ঘটনাস্থলে কোনো দুর্ঘটনার চিহ্ন ছিল না। তবে মনে হয়েছে, কেউ মাসুমকে গাড়ি থেকে ফেলে দিয়েছে।”
লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শরিফুল ইসলাম শনিবার (২ আগস্ট) সকালে সাংবাদিকদের বলেছেন, “আমরা মাসুম বিল্লাহকে মৃত অবস্থায় লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে থানায় নিয়ে আসি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।”
ঢাকা/শরিফুল/রফিক