ফিলিপাইনের উত্তরাঞ্চলের অন্যতম একটি ব্যস্ত মহাসড়কের টোল গেটে একটি বাস একাধিক গাড়িকে ধাক্কা দেওয়ার পর অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন অন্তত ৩০ জন। বৃহস্পতিবার সুবিক-ক্লার্ক-টারলাক এক্সপ্রেসওয়েতে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে। খবর বিবিসির 

পুলিশ জানায়, বাস চালানোর সময় চালক ঘুমিয়ে পড়ায় এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। নিহতদের মধ্যে চারজন শিশু রয়েছে। বাসটির কন্ডাক্টরকেও আটক করা হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার শ্রম দিবসে পরিবারগুলো ভ্রমণরত অবস্থায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। প্রায় ১০০ কিলোমিটার দীর্ঘ সুবিক-ক্লার্ক-তার্লাক এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে ম্যানিলা ও পার্শ্ববর্তী প্রদেশগুলোর মধ্যে শ্রমিকরা নিয়মিত চলাচল করেন। দুর্ঘটনায় জড়িত বাসটি পরিচালনাকারী কোম্পানি সলিড নর্থ বাসের অপারেশন স্থগিত করেছে ফিলিপাইনের পরিবহন মন্ত্রণালয়।

রেড ক্রস এক ফেসবুক পোস্টে জানিয়েছে, দুর্ঘটনায় তিনটি এসইউভি ও একটি কনটেইনার ট্রাক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া দুর্ঘটনায় যারা আহত হয়েছেন, তাদের হাসপাতালে খাবার ও অন্যান্য সহায়তা দেওয়া হয়েছে। 

ফিলিপাইনে প্রায়ই বাস দুর্ঘটনার খবর পাওয়া যায়। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে বাস চালকদের মাদক গ্রহণের অনেক তথ্যও সামনে এসেছে। তবে বৃহস্পতিবারের দুর্ঘটনার সঙ্গে এর কোনো যোগ আছে কি না জানা যায়নি।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: সড়ক দ র ঘটন ন হত আহত ফ ল প ইন দ র ঘটন ত হয় ছ

এছাড়াও পড়ুন:

বোমা মারলেও ভয় পাব না, বললেন ট্রাইব্যুনাল-২–এর চেয়ারম্যান বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরী

মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে ভয়হীন ও পক্ষপাতহীনভাবে কাজ করবেন বলে মন্তব্য করেছেন

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২–এর চেয়ারম্যান বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরী। তিনি বলেছেন, কেউ বোমা মারলেও তিনি ভয় পাবেন না।

আজ মঙ্গলবার সকালে পুরাতন হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২–এর বিচারপতিদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার তরান্বিত করতে গত ৮ মে ট্রাইব্যুনাল-২ গঠন করা হয়। আজকে আনুষ্ঠানিক সংবর্ধনার মাধ্যমে ট্রাইব্যুনাল-২–এর কার্যক্রম শুরু হয়ে গেল।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ট্রাইব্যুনাল-২–এর চেয়ারম্যান বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘আমরা আল্লাহর ওপর নির্ভর করে পথ চলি। তার ওপর নির্ভর করে কাজ করি। কেউ বোমা মারলেও ভয় পাব না। কেউ গুলি করে মেরে ফেললে আমার সব গুনাহ নিয়ে যাবে। ফলে আমার ভয়ের কারণ নেই। আমি কবরের পাশে দাঁড়ানো, আমাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন। ভয়ের কিছু নেই। আমরা এই তরি বয়ে নিয়ে যাব।’

বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরী আরও বলেন, কিছু লোক গত ১৫ বছর ক্ষমতা দখল করে রেখেছিল। তারা নিষ্ঠুরভাবে শাসন করেছে। তাদের বিরুদ্ধে কেউ কিছু বলার সাহস করেনি। মানুষ নিজেদের কথা বলতে পারেনি। সেই ফ্যাসিস্টরা এখনো ফিরে আসার চেষ্টা করছে।

বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, শত শত ছাত্র-জনতা জীবন দিয়ে মানুষকে স্বাধীনভাবে কথা বলার সুযোগ করে দিয়েছেন। অনেকে আহত হয়েছেন। তাঁদের অনেকে এখনো যথাযথ চিকিৎসা পাননি। বিচারকেরা চেষ্টা করছেন ছাত্র-জনতার দুর্ভোগ কমাতে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান ও ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। তাঁদের নাম উল্লেখ করে বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ভয়হীন ও পক্ষপাতহীনভাবে তাঁরা কাজ করবেন। তাঁদের কাছ থেকে ন্যায়বিচার আশা করা যায়। তাঁরা আন্তর্জাতিক নিয়ম ও প্রক্রিয়া মেনে চলবেন। আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের বিষয়গুলোও মেনে চলবেন বলেও উল্লেখ করেন নজরুল ইসলাম চৌধুরী।

এ সময় ট্রাইব্যুনাল-২–এর সদস্য বিচারপতি মো. মঞ্জুরুল বাছিদ ও বিচারপতি নূর মোহাম্মদ শাহরিয়ার কবীর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ