দেশের শীর্ষস্থানীয় আবাসন কোম্পানি বিল্ডিং টেকনোলজি অ্যান্ড আইডিয়াস লিমিটেডের (বিটিআই) উদ্যোগে ‘বিটিআই সামার সেলস কার্নিভ্যাল ২০২৫’ বা ‘গ্রীষ্মকালীন বিক্রয় মেলা ২০২৫’ উদ্বোধন করা হয়েছে।

আজ শনিবার রাজধানীর গুলশানে অবস্থিত বিটিআই ল্যান্ডমার্কে দিনব্যাপী এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ১০টায় শুরু হয়ে এ মেলা চলে রাত ৮টা পর্যন্ত। অনুষ্ঠানে রাজধানীতে আবাসন খাতে বিনিয়োগকারীদের জন্য ছিল নানা চমক।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিটিআই জানায়, মেলায় মূল আকর্ষণ হিসেবে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে বিটিআই নির্মিত ২০টি নতুন আবাসিক প্রকল্পের (রেসিডেনশিয়াল প্রজেক্ট) উদ্বোধন করা হয়। অত্যাধুনিক নকশা ও সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে আসা এই প্রকল্পগুলো ঢাকার আবাসন খাতে নতুন মাত্রা যোগ করবে বলে আশা করছে প্রতিষ্ঠানটি।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপলক্ষে আয়োজিত এক প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন (আশিক চৌধুরী), দ্য ডেইলি স্টার সম্পাদক ও প্রকাশক মাহ্‌ফুজ আনাম, ই কে আর্কিটেকটসের স্থপতি এহসান খান, নকশাবিদের স্থপতি বায়েজিদ মাহবুব খন্দকার, প্র্যাক্সিস আর্কিটেকসের স্থপতি নাজলি হুসাইন প্রমুখ। আলোচনা সঞ্চালনা করেন বিটিআইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এফ আর খান।

অনুষ্ঠানে দেশের খ্যাতনামা বিশেষজ্ঞরা আবাসন খাতে বিনিয়োগের সুযোগ, স্থাপত্যের (আর্কিটেকচারাল) ধারণা, ভূমিকম্প ও অগ্নিনিরাপত্তা বিষয়ে আলোচনা করেন।

এ ছাড়া বিটিআইয়ের আরও কিছু প্রকল্পের ওপর বিশেষ ছাড়, তাৎক্ষণিক ইন্টেরিয়র ডিজাইন পরামর্শ সেবা, সেকেন্ডারি প্রোপার্টি কেনাবেচা কিংবা ভাড়ার জন্য প্ল্যাটফর্ম এবং ‘হোম অ্যান্ড ডেকোর’ পণ্যের ওপর ছাড় নেওয়ার সুযোগ পেয়েছেন মেলায় অংশগ্রহণকারীরা। অনুষ্ঠানে বিটিআইয়ের হোম লোন পার্টনার ছাড়াও রিয়েল এস্টেট সংশ্লিষ্ট অন্যান্য পরিষেবাও উপস্থাপন করা হয়।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব ট আইয় র অন ষ ঠ ন ব ট আই

এছাড়াও পড়ুন:

লিফটের ওপর বাড়তি কর প্রত্যাহারের দাবি বেলিয়ার

আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে লিফটকে মূলধনি যন্ত্রপাতি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা এবং পণ্যটির ওপর আরোপিত বাড়তি শুল্ক-কর প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ এলিভেটর, এসকেলেটর অ্যান্ড লিফট ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বেলিয়া)।

বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানায় সংগঠনটি। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সভাপতি এমদাদ উর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মো. শফিউল আলম উজ্জ্বল। এছাড়াও সংগঠনের অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ২০২১-২২ অর্থবছর পর্যন্ত লিফট মূলধনি যন্ত্রপাতি হিসেবে আমদানি করা হতো। মূলধনি যন্ত্রপাতিতে আমদানি শুল্ক থাকে ন্যূনতম। কিন্তু হঠাৎ করে বিগত সরকার ২০২২-২৩ অর্থবছর থেকে লিফটকে বাণিজ্যিক পণ্য ক্যাটেগরিতে স্থানান্তর করে। এতে এর শুল্ক-কর অনেক বেড়ে যায়। এর প্রতিবাদে রাস্তায় নামে বাংলাদেশ এলিভেটর, এসকেলেটর অ্যান্ড লিফট ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন। কিন্তু সে প্রতিবাদ আমলে নেওয়া হয়নি।

বেলিয়ার নেতারা বলেন, আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরেও লিফটকে বাণিজ্যিক পণ্য ক্যাটাগরিতেই রাখা হয়েছে। সেই সঙ্গে প্রস্তাবিত বাজেটে পণ্যটির ওপর কর হার আরও বাড়ানো হয়েছে। লিফট খাতে ১৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক, ৫ শতাংশ অগ্রিম আয় কর, ৫ শতাংশ অগ্রিম কর এবং নতুন আরোপিত ১৫ শতাংশ ভ্যাটসহ মোট শুল্ক-কর দাঁড়িয়েছে ৪৩ শতাংশ। গত ২০২৪-২৫ অর্থবছরের যা ছিল ২৫ দশমিক ৭৫ শতাংশ।

সংগঠনের সভাপতি এমদাদ উর রহমান বলেন, লিফট বিক্রি ও চুক্তি সম্পাদনের পরে উৎপাদন ও আমদানি করা পর্যন্ত দীর্ঘ সময়ের প্রয়োজন হয়। চলতি জুন মাসের আগে লিফটের ক্রয়াদেশ, ঋণপত্র খোলা, প্রস্তুত পর্যায়ে, জাহাজীকরণ অবস্থায় এবং বন্দরে শুল্কায়ন পর্যায়ে সহস্রাধিক লিফট প্রক্রিয়াধীন। এই লিফটগুলো আগের ২৫ দশমিক ৭৫ শতাংশ শুল্কহারে বিক্রি করা হয়েছে। এখন সেগুলোর জন্য নতুন ধার্য করা বাড়তি হারে অর্থাৎ ৪৩ শতাংশ হারে শুল্ক-কর প্রদান করতে হলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হবে। এতে ক্রেতারা পণ্যটি পাওয়ার নিশ্চয়তা হারাবেন। বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে জুনের আগে লিফটগুলোর জন্য পূর্ববর্তী বাজেট অনুযায়ী শুল্ক-কর ধার্যের জন্য জোর দাবি জানান তিনি।

বেলিয়ার সাধারণ সম্পাদক মো. শফিউল আলম উজ্জ্বল বলেন, দেশের আবাসন খাতের উন্নয়নে লিফট একটি অন্যতম প্রধান উপকরণ। ২০২৫-২৬ বাজেটে অতিরিক্ত শুল্ক-কর আরোপের ফলে পণ্যটির দাম অনেক বেড়ে যাবে এবং ভোক্তারা ব্যাপকভাবে ক্ষতির মুখে পড়বেন। এতে সার্বিকভাবে আবাসন খাতের উন্নয়ন ঝিমিয়ে পড়বে। একইসঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন খাতটির সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যবসায়ী এবং হাজার হাজার কর্মী। তাই প্রস্তাবিত বাজেট অনুমোদনের আগেই লিফটের ওপর বাড়তি এই শুল্ক-কর প্রত্যাহার এবং একে আগের মতো মূলধনি যন্ত্রপাতি হিসেবে গণ্য করার দাবি জানান মো. শফিউল আলম উজ্জ্বল।

সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, আমদানি পর্যায়ে লিফটকে আন্তর্জাতিক বাজার মূল্যের অতিরিক্ত মূল্যায়নের ফলে অধিক পরিমাণ শুল্ক ও কর পরিশোধ করতে হচ্ছে। লিফটের ওজনের দিক দিয়ে বিবেচনা করলে তার ৬৫ শতাংশ যন্ত্রাংশই লোহা ও স্টিলের সংমিশ্রণে তৈরি, ২৫ শতাংশ কংক্রিটের ব্লক এবং অবশিষ্ট ১০ শতাংশ ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক যন্ত্রাংশ দিয়ে তৈরি। লোহা ও স্টিলের মূল্য কেজি প্রতি ১ ডলারের নিচে এবং কংক্রিট ব্লকের মূল্য অতি নগণ্য। তারপরও বিগত সরকারের সময় লিফটের মূল্য নির্ধারণ করা হয় কেজি প্রতি ৩ ডলারে, যা বাস্তবসম্মত হওয়া অতি জরুরি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সাধারণ জ্ঞান-৯: মে-২০২৫: বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিশ্ব
  • একঝলক (১৯ জুন ২০২৫)
  • আজ টিভিতে যা দেখবেন (১৯ জুন ২০২৫)
  • বৃহস্প‌তিবার গণসং‌যোগ, রবিবার থেকে কঠোর কর্মসূচি
  • লিফটের ওপর বাড়তি কর প্রত্যাহারের দাবি বেলিয়ার
  • সচিবালয়ে কর্মচারীদের বিক্ষোভ, কঠোর কর্মসূচির হুমকি
  • আজ টিভিতে যা দেখবেন (১৮ জুন ২০২৫)
  • দা‌বি আদায় না হওয়া পর্যন্ত বি‌ক্ষোভ চা‌লি‌য়ে যা‌বেন কর্মচারী‌রা
  • সচিবালয়ে আজও কর্মচারীদের বিক্ষোভ
  • আজ টিভিতে যা দেখবেন (১৭ জুন ২০২৫)