রইস হত্যার বিচার দাবিতে কালো পতাকা মিছিল
Published: 6th, May 2025 GMT
সংগঠনের নগর দক্ষিণের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ রইস উদ্দিন হত্যার বিচার এবং চলমান অবরোধে গ্রেপ্তারকৃত নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থানে কালো পতাকা মিছিল ও সমাবেশ করেছে ইসলামী ছাত্রসেনা।
ঢাকা নগরের উদ্যোগে মঙ্গলবার বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ কর্মসুচী অনুষ্ঠিত হয়।
সেনা নেতা মোহাম্মদ হাসানের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন ইসলামী ফ্রন্ট নেতা গোলাম মাহমুদ ভূইয়া মানিক। প্রধান বক্তা ছিলেন যুবসেনার কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আবু নাসের মুসা।
বক্তারা বলেন, ‘রইসের হত্যাকাণ্ড সম্পুর্ণ পরিকল্পিত। এ হত্যাকাণ্ডের পেছনে বড় একটা শক্তি কাজ করছে। পুলিশের অবহেলা ও মব জাস্টিসের কারণে এমন পরিস্থিতির শিকার রইস। রইসের হত্যাকারীকে গ্রেপ্তার না করে বরং বিচারপ্রার্থীকে গ্রেপ্তার করে পূবাইল থানার ওসি একটি খারাপ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।’
তারা বলেন, ‘রইস উদ্দিন হত্যার বিচার নিরপেক্ষ সরকারের যেখানে করা উচিত ছিল, সেখানে পুলিশ মামলা পর্যন্ত নেয়নি। বরং রাজপথে আন্দোলন করে পুলিশকে মামলা নিতে বাধ্য করা হয়েছে। এখনও তার খুনিদের গ্রেপ্তার করা হয়নি।’
“যত বাধাই আসুক, খুনিদের গ্রেপ্তার না করা পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।”
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের পীর ফকির মুসলিম উদ্দীন আহমাদ নুরী আলউলুবী, অ্যাডভোকেট হেলাল উদ্দীন, পীর মুখতার রেজা মাসুমী, মুফতি শাহাদাত আলী হোসাইন, মুহাম্মদ আব্দুল হাকিম, কাজী মুহাম্মদ জসিম উদ্দীন নুরী, ইঞ্জিনিয়ার আলম জালালী, গোলাম মোস্তফা নিরব, ইঞ্জিনিয়ার মাহবুব রাজ, মোহাম্মদ মাসউদ হোসাইন, হাফেজ মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান, মোহাম্মদ রিদওয়ান রেজভী, আবুল হাসান, বুলবুল আহমদ মোমেনশাহী প্রমুখ।
সমাবেশ শেষে প্রেসক্লাবের সামনে থেকে একটি কালো পতাকা মিছিল বের করেন নেতাকর্মীরা। মিছিলটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে দৈনিক বাংলামোড়ে এসে মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হয়।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
আমরা যে চূড়ান্ত পরিবর্তন চেয়েছিলাম, তা সম্ভব হয়নি: আসিফ মাহমুদ
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, ১/১১ প্রতিষ্ঠা করতে না পারলেও নানাভাবে এই সরকারকে বাধা দেওয়া হয়েছে। ফলে আমরা যে চূড়ান্ত পরিবর্তন চেয়েছিলাম, তা সম্ভব হয়নি। তবে সুংসবাদ, আজ থেকে তিনদিন পর, ৫ আগস্ট আমরা জুলাই সনদ ঘোষণার সিদ্ধান্তে আসতে পেরেছি।
শনিবার (২ আগস্ট) বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির চিত্রশালা মিলনায়তনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আয়োজনে ‘রিবিল্ডিং দ্য ন্যাশন: বাংলাদেশ ২.০’ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা বলেন, ‘‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে যে বড় পরিবর্তন জনগণের মধ্যে হয়েছে, তা হলো রাজনৈতিক সচেতনতা। যে প্রেক্ষাপটে গণ-অভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে, জুলাই সনদের ঘোষণাপত্র সেটিকে জাস্টিফাই করে।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সেন্ট্রাল কানেক্টিং পয়েন্ট, পরবর্তীকালে অনেকেই এই ব্যানারটিকে মিস ইউজ করেছে। যে জায়গা থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কমিটি স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তাতে সাধুবাদ। তবে আমি প্রত্যাশা করবো, তারা তাদের কার্যক্রম পরিচালনা রাখবে।’’
গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ মরদেহ সম্পর্কে উপদেষ্টা আসিফ মাহমদু বলেন, ‘‘৬টি মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে আছে। হয়তো বেশিদিন রাখা সম্ভব হবে না। তাদের ডিএনএ স্যাম্পল রাখা হবে। তাদের পরিবার যোগাযোগ করে নিয়ে যেতে পারবেন। আগামী ৪ আগস্ট তাদের দাফন করা হবে।’’
‘‘ডিএনএ টেস্ট করে গণকবরে যারা সমাহিত হয়েছেন, তাদের শনাক্ত করা হবে এবং তাদের পরিবারের কেউ নিয়ে যেতে চাইলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলবো’’, যোগ করেন তিনি।
ঢাকা/রাহাত//