চায়ের কাপেই ‘মেরুদণ্ড অকেজো’ শিপনের এগিয়ে চলা
Published: 7th, May 2025 GMT
হুইলচেয়ারে বসে সারা দিন চা বানান মো. শিপন। আড্ডায় মুখর তাঁর ছোট্ট দোকানটিতে প্রতিদিন ভিড় করেন শত শত মানুষ। চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার দাশের বাজারে থাকা এই দোকান যেন শুধু চা বিক্রির জায়গা নয়—এটি একজন অদম্য মানুষের লড়াইয়ের স্মারক।
এখন থেকে ২০ বছর আগে ঢাকায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গিয়ে শিপনের জীবনে নেমে আসে কালো ছায়া। তাঁর মেরুদণ্ডে ধরা পড়ে টিউমার। অস্ত্রোপচারের পর শারীরিক অবস্থা আরও জটিল হয়। মেরুদণ্ড একেবারেই অকেজো হয়ে যায়। চলাফেরা করতে হয় হুইলচেয়ারে।
তবে এই শারীরিক প্রতিবন্ধকতা থামিয়ে রাখতে পারেনি শিপনকে। ঢাকার মিরপুরে দোকান দিয়ে চা বিক্রি শুরু করেছিলেন, কিন্তু একপর্যায়ে সরকারি অভিযানে দোকানটি ভেঙে ফেলা হয়। এরপর ২০১৩ সালে ফিরে আসেন গ্রামের বাড়ি—চাঁদপুরের লবাইরকান্দি গ্রামে। কয়েক বছর বেকার ছিলেন, আত্মবিশ্বাস হারাননি। এ বছরের শুরুতে ধারকর্জ করে বাড়ির পাশে দাশের বাজারে নতুন করে দোকান দেন। ৮০০ টাকা ভাড়ায় শুরু হওয়া সেই দোকানে এখন প্রতিদিন বিক্রি হয় তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার কাপ চা।
হুইলচেয়ারে বসা চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার চা-বিক্রেতা মো.শিপন
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
স্ত্রীর কাছে ‘ইয়াবা কেনার টাকা না পেয়ে’ বসতঘরে আগুন, স্বামীকে পুলিশে সোপর্দ
স্ত্রীর কাছে ইয়াবা কেনার টাকা না পেয়ে এক ব্যক্তি নিজ বসতঘরে আগুন দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছে পরিবার। এতে মালামালসহ ঘরটি পুড়ে গেলেও দৌড়ে প্রাণে বেঁচেছেন তাঁর স্ত্রী ও দুই মেয়ে। পরে ওই ব্যক্তিকে পিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছেন এলাকাবাসী।
গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার বারোআনি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম সুজন (৫০)।
পুলিশ, পরিবার ও স্থানীয় কয়েক বাসিন্দার সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে ইয়াবা কেনার জন্য স্ত্রী পেয়ারা বেগমের কাছে টাকা চান সুজন। পরে সেই টাকা না পেয়ে স্ত্রীর ওপর ক্ষিপ্ত হন। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে সুজন নিজ বসতঘরে পেট্রল ছিটিয়ে আগুন ধরিয়ে দেন। ওই সময় তাঁর দুই মেয়ে ও স্ত্রী ঘরেই ছিলেন। আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে তাঁরা দৌড়ে বাইরে চলে যান। খবর পেয়ে স্থানীয় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেখানে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। তবে এর আগেই বসতঘরটির অধিকাংশ মালামাল পুড়ে গেছে। পরে উত্তেজিত জনতা সুজনকে পিটুনি দিয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে।
পেয়ারা বেগম অভিযোগ করেন, তাঁর স্বামী মাদকাসক্ত। ইয়াবা কেনার টাকা চেয়ে না পেয়ে তাঁকে ও মেয়েদের পুড়িয়ে মারার জন্য এ কাজ করেছেন সুজন। এ ঘটনার বিচার চান তিনি।
তবে এ ঘটনায় আজ সকাল পর্যন্ত থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ বা মামলা করা হয়নি বলে জানিয়েছেন মতলব উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রবিউল হক। তিনি বলেন, আটক ব্যক্তিকে থানাহাজতে রাখা হয়েছে।