ঢাকাই সিনেমার গ্ল্যামারাস নায়িকা দিলারা হানিফ পূর্ণিমা। একসময় নিয়মিত রুপালি পর্দায় দর্শকদের মাতিয়েছেন, এখন তাকে সেভাবে আর দেখা যায় না। এবার ভিন্ন ভূমিকায় ফিরছেন পূর্ণিমা। অর্থাৎ একটি কুকিং রিয়েলিটি শোয়ের বিচারকের আসনে দেখা যাবে তাকে। বিচারক হিসেবে তার সঙ্গে আরো থাকবেন— নাঈম আশরাফ ও রাহিমা সুলতানা রীতা।

মাছরাঙা টেলিভিশনে প্রতি শুক্র ও শনিবার সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে প্রচারিত হচ্ছে জনপ্রিয় কুকিং রিয়েলিটি শো ‘সেরা রাঁধুনী’র অষ্টম সিজন। সারা দেশ থেকে অডিশনের মাধ্যমে বাছাইকৃত সেরা ২০ জন প্রতিযোগীকে নিয়ে চলছে স্টুডিও রাউন্ড।

এই রাউন্ডে প্রতিযোগীদের রান্নার দক্ষতা ছাড়াও মূল্যায়ন করা হচ্ছে পরিবেশনা, উপস্থাপনা, বাচনভঙ্গি, ব্যক্তিত্ব, বিক্রয় কৌশল, নেতৃত্ব, খাবারের ব্যবসা পরিচালনার ক্ষমতা এবং বিভিন্ন পরিস্থিতিতে তাৎক্ষণিক বুদ্ধিমত্তা ও দক্ষতা প্রয়োগের সক্ষমতা। এসব গুণের ভিত্তিতেই নির্বাচিত হবেন ‘সেরা রাঁধুনী’র নতুন সিজনের বিজয়ী। 

আরো পড়ুন:

শামীম হাসান সরকারের জনপ্রিয়তা বনাম বিতর্ক

‘মুসলিমদের বাড়ি ভাড়া দিই না’

এ প্রতিযোগিতায় বিজয়ী পাবেন ১৫ লাখ টাকা। প্রথম রানারআপের জন্য রয়েছে ১০ লাখ এবং দ্বিতীয় রানারআপ পাবেন ৫ লাখ টাকা। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করছেন মৌসুমী মৌ এবং প্রযোজনা করেছেন অজয় পোদ্দার।

ঢাকা/রাহাত/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ট ভ ন টক চলচ চ ত র

এছাড়াও পড়ুন:

যশোরে ৪ আইনজীবীকে বহিষ্কার

যশোরে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় চার আইনজীবীকে জেলা আইনজীবী সমিতি থেকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাহী কমিটির সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম.এ. গফুর। 

অভিযুক্ত আইনজীবীরা হলেন- আব্দুর রাজ্জাক, সৈয়দ কবীর হোসেন জনি, রফিকুল ইসলাম এবং তরফদার আব্দুল মুকিত।

জেলা আইনজীবী সমিতি সূত্র জানায়, ওই চার আইনজীবীর মধ্যে আব্দুর রাজ্জাক এক এনজিওর ৪১ লাখ ১২ হাজার ৫০০ টাকা আত্মসাৎ করেন। ওই টাকা ফেরত দিতে তিনি অঙ্গীকার করে ১৫ লাখ টাকার একটি চেক দেন। কিন্তু পরবর্তীতে ওই চেক ডিজ অনার হয় এবং একই সাথে তিনি টাকা দিতে অস্বীকার করেন। এ ঘটনায় মক্কেল আইনজীবী সমিতিতে লিখিত অভিযোগ দেন।

অন্যদিকে, সৈয়দ কবীর হোসেন জনি একটি জমি ক্রয় করেন। কিন্তু ওই জমির মালিককে পূর্ণাঙ্গ টাকা না দিয়ে তালবাহানা করেন। শেষমেষ আট লাখ টাকা না দেওয়ায় জমির মালিক আইনজীবী সমিতিতে লিখিত অভিযোগ দেন।

এছাড়া, রফিকুল ইসলাম নিজে আইনজীবী হয়েও আরেক আইনজীবী নুরুল ইসলামকে নির্বাহী আদালতে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও লাঞ্ছিত করেন। এ ঘটনায় নুরুল ইসলাম অভিযোগ দেন। অন্যদিকে, তরফদার আব্দুল মুকিত এক মক্কেলের কাছ থেকে টাকা নিয়ে কাজ করেননি। এছাড়া তিনি ওই মক্কেলের কাগজপত্র আটকে রেখে জিম্মি করে রাখেন। বাধ্য হয়ে তিনি মুকিতের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন সমিতিতে। 

এসব অভিযোগ জেলা আইনজীবী সমিতি পৃথকভাবে তদন্ত করে। একই সাথে চার আইনজীবীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম.এ. গফুর। 

তিনি বলেন, “বৃহস্পতিবার লিখিতভাবে তাদেরকে নোটিশ দিয়ে অবগত করা হবে।”

ঢাকা/রিটন/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ