অন্দরসজ্জায় বিশেষ সুবিধা দিতে ইস্টার্ন ব্যাংক পিএলসির (ইবিএল) সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হলো বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেড। এর মাধ্যমে ইবিএল কার্ডধারীরা বার্জারের পেইন্টিং ও অন্দরসজ্জা সেবায় বিশেষ ছাড়সহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা পাবেন। ইবিএলের গ্রাহকেরা যাতে সহজে ও কম খরচে ঘর সুন্দর করে সাজাতে পারেন, তা নিশ্চিত করতেই এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। খবর বিজ্ঞপ্তি

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানটি গুলশান অ্যাভিনিউতে অবস্থিত ইবিএলের প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। ইস্টার্ন ব্যাংক পিএলসির (ইবিএল) উপব্যবস্থাপনা পরিচালক এম খোরশেদ আনোয়ার ও বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেডের প্রধান ব্যবসায়িক কর্মকর্তা এ কে এম সাদেক নেওয়াজ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ইবিএলের অ্যাক্টিং হেড অব রিটেইল অ্যালায়েন্স ফারজানা কাদের এবং বার্জারের জেনারেল সেলস ম্যানেজার সাব্বির আহমদ। এ ছাড়া বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্র্যান্ড বিভাগের ক্যাটাগরি হেড সাঈদ শরীফসহ দুই প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে বার্জার পেইন্টসের প্রধান ব্যবসা কর্মকর্তা এ কে এম সাদেক নেওয়াজ বলেন, ‘আমরা ইবিএলের সঙ্গে কাজ করতে পেরে আনন্দিত। তাদের কার্ডধারীদের আমাদের এক্সপেরিয়েন্স জোনগুলোতে স্বাগত জানাই। এখানে তাঁরা ঘরকে সুন্দর করে সাজানোর জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছু এক জায়গাতেই পাবেন।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: অন ষ ঠ

এছাড়াও পড়ুন:

ডিএসইর ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক আসাদুর রহমান

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) দায়িত্ব পেয়েছেন মোহাম্মদ আসাদুর রহমান। ভারপ্রাপ্ত এমডি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের আগে আসাদুর রহমানকে ডিএসই বোর্ড থেকে প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (সিওও) পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়। সোমবার (৩০ জুন) ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদ এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

মঙ্গলবার (১ জুলাই) সকালে ডিএসইর ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক আসাদুর রহমান রাইজিংবিডি ডটকমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, “ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদকে ধন্যবাদ জানাই, আমাকে এ পদে দায়িত্ব পালনে মনোনীত করার জন্য। আমাকে যে দায়িত্ব দিয়েছে, সেটা সঠিকভাবে ও নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করতে চেষ্টা করব।”

জানা গেছে, দেশের শীর্ষ এই শেয়ারবাজারে নেতৃত্ব সংকট কাটিয়ে সাময়িক স্থিতিশীলতা আনতেই এ পদক্ষেপ নিয়েছে ডিএসই।

এর আগে, ডিএসইর প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (সিওও) সাত্তিক আহমেদ শাহ অস্থায়ীভাবে ভারপ্রাপ্ত এমডির দায়িত্ব পালন করছিলেন। তবে তার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের মেয়াদ ২৯ জুন শেষ হওয়ায় পদটি পুনরায় শূন্য হয়ে যায়। পরবর্তীতে সার্বিক দিক বিবেচনা করে আসাদুর রহমানকে ডিএসইর ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব প্রদান করা হয়।

তথ্য মতে, ডিএসইর পূর্ণকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদটি ২০২৪ সালের মে মাস থেকে শূন্য রয়েছে। তখনকার এমডি এ টি এম তারিকুজ্জামান পদত্যাগ করে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার হিসেবে যোগ দেন। তবে সেপ্টেম্বরেই সরকার তাকে কমিশনার পদ থেকে অপসারণ করে। এরপর থেকেই ডিএসইর শীর্ষ নেতৃত্বে অস্থায়ী ভিত্তিতে কর্মকর্তারা দায়িত্ব পালন করে আসছেন।

চলমান নেতৃত্ব সংকট নিরসনে গত বছরের নভেম্বরে ডিএসই তিনটি শীর্ষ নির্বাহী পদ- ব্যবস্থাপনা পরিচালক, প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা এবং প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা- পূরণের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল। তবে এখন পর্যন্ত নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়নি।

ডিমিউচুয়ালাইজেশনের পর থেকে এখন পর্যন্ত কেবল কেএএম মাজেদুর রহমানই ডিএসইর এমডি হিসেবে তার পূর্ণ তিন বছর মেয়াদ শেষ করেছেন। তার পরবর্তী এমডিরা কেউই পূর্ণ মেয়াদে দায়িত্ব পালন করতে পারেননি, যার ফলে ডিএসইর নেতৃত্বে স্থায়িত্ব বিঘ্নিত হয়েছে।

ঢাকা/এনটি/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ