সৌদি আরবের কাছ থেকে ৬০০ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য নিশ্চিত করলেন ট্রাম্প
Published: 13th, May 2025 GMT
সৌদি আরবের কাছ থেকে ৬০০ বিলিয়ন ডলার বাণিজ্য প্রতিশ্রুতি নিশ্চিত করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মঙ্গলবার রিয়াদ সফররত ট্রাম্প জ্বালানি, প্রতিরক্ষা, খনি এবং অন্যান্য বিষয় নিয়ে সৌদি আরবের সঙ্গে একাধিক চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন।
সৌদি আরবের বিনিয়োগ প্রতিশ্রুতির মধ্যে সবচেয়ে বড়টি হচ্ছে অস্ত্র ক্রয় চুক্তি। যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ১৪২ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র কিনবে সৌদি আরব।
আলোচনার বিষয়ে অবহিত দুটি সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরব রিয়াদের সম্ভাব্য লকহিড এফ-৩৫ জেট কেনার বিষয়ে আলোচনা করেছে। এই সামরিক বিমানটিতে দীর্ঘদিন ধরে সৌদি আরবের আগ্রহ দেখিয়ে আসছে।
এপ্রিলে রয়টার্স জানিয়েছিল, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সৌদি আরবের জন্য ১০০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি মূল্যের অস্ত্র প্যাকেজ প্রস্তাব দিতে প্রস্তুত।
মঙ্গলবার হোয়াইট হাউস প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও যুবরাজ মোহাম্মদের স্বাক্ষরিত কিছু মার্কিন-সৌদি চুক্তির বিবরণ প্রকাশ করেছে। এসব চুক্তিকে ‘ঐতিহাসিক এবং রূপান্তরকারী’ হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে।
আল-জাজিরা জানিয়েছে, এই চুক্তিগুলোতে প্রায় ১৪২ বিলিয়ন ডলারের প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম বিক্রি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। একে হোয়াইট হাউস সর্ববৃহৎ চুক্তি বলে অভিহিত করেছে। এর পাশাপাশি কয়েক বিলিয়ন ডলারের জ্বালানি ও প্রযুক্তি বিনিয়োগ চুক্তি করা হয়েছে। সামগ্রিকভাবে, চুক্তিগুলো হোয়াইট হাউসের মতে মোট ৬০০ বিলিয়ন ডলারের একটি বৃহত্তর প্যাকেজের অংশ।
সৌদি বিনিয়োগমন্ত্রী খালিদ আল-ফালিহ বলেছেন, “যদিও জ্বালানি আমাদের সম্পর্কের ভিত্তিপ্রস্তর হিসেবে রয়ে গেছে, তবুও সৌদিতে বিনিয়োগ এবং ব্যবসায়িক সুযোগ বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।”
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
শুল্ক নিয়ে ট্রাম্পের সিদ্ধান্তে বড় অনিশ্চয়তা থেকে রেহাই পেল বাংলাদেশ
বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান বলেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ১ আগস্ট সময়সীমার আগেই বাংলাদেশের ওপর ধার্য করা পাল্টা শুল্ক কমিয়ে ফেলার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাতে বাংলাদেশ বড় ধরনের একটি অনিশ্চয়তা থেকে রেহাই পেয়েছে।
তৃতীয় দফার আলোচনা শেষে ১৫ শতাংশ কমিয়ে বাংলাদেশ থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপের প্রতিক্রিয়ায় ওয়াশিংটন ডিসি থেকে খলিলুর রহমান প্রথম আলোকে এ কথা বলেন।
ওয়াশিংটন ডিসিতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। এই দলে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমানও ছিলেন। স্থানীয় সময় গতকাল বৃহস্পতিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এক নির্বাহী আদেশে নতুন এই শুল্কহার ঘোষণা করা হয়। সর্বশেষ বাংলাদেশকে চিঠি দিয়ে ৩৫ শতাংশ পাল্টা শুল্কের কথা জানিয়েছিল মার্কিন প্রশাসন। সে হিসেবে শুল্ক ১৫ শতাংশ কমিয়ে নতুন হার ঘোষণায় করা হলো।
আরও পড়ুন১৫ শতাংশ কমিয়ে বাংলাদেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক ২০ শতাংশ ৬ ঘণ্টা আগেখলিলুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘ট্রাম্প প্রশাসন ১ আগস্ট সময়সীমার আগেই বাংলাদেশের ওপর ধার্য করা শুল্ক কমিয়ে ফেলার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাতে আমরা বড় ধরনের একটি অনিশ্চয়তা থেকে রেহাই পেয়েছি। ওই সময়সীমার মধ্যে শুল্কসংক্রান্ত জটিল আলোচনা আমরা চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে যেতে পেরেছিলাম। তা না হলে আমরা এ সিদ্ধান্তটি পেতাম না; এবং গত এপ্রিলে ধার্য করা ৩৫ শতাংশ শুল্কের গুরুভার আমাদের বহন করে যেতে হতো।’
আরও পড়ুনরপ্তানি বাধাগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা নেই, প্রতিযোগিতামূলক অবস্থায় থাকব: বাণিজ্য উপদেষ্টা৪ ঘণ্টা আগেখলিলুর রহমান আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের ওপর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ২০ শতাংশ শুল্ক ধার্য করেছেন, যা আমাদের প্রধান প্রতিযোগী দেশগুলোর সমান অথবা যত্সামান্য বেশি; এবং ভারতের থেকে ৫ শতাংশ কম। সুতরাং আমেরিকার বাজারে আমাদের রপ্তানি পণ্য প্রতিযোগিতামূলক থাকবে। তৈরি পোশাকশিল্প ও এর ওপর নির্ভরশীল লাখ লাখ মানুষের জন্য এটি অত্যন্ত স্বস্তিকর ঘটনা।’
আরও পড়ুনএটা আমাদের পোশাক খাতের ওপর নির্ভরশীল লাখো মানুষের জন্য সুসংবাদ: খলিলুর রহমান২ ঘণ্টা আগে