ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইআর) শিক্ষার্থী সাম্য হত্যার তদন্ত গোয়েন্দা সংস্থা ডিবির কাছে হস্তান্তরের আশ্বাস দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

রবিবার (১৮ মে) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নিজ দপ্তরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড.

নিয়াজ আহমেদ খানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল সাক্ষাৎ করতে এলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা তাদের এ আশ্বাস দেন।

সাক্ষাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক হোসনে আরা বেগমসহ কয়েকজন ছাত্র প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।

সাক্ষাৎ শেষে অধ্যাপক হোসনে আরা বেগম বলেন, ‘‘আমরা চাই দ্রুততম সময়ের মধ্যে সাম্য হত্যার সুষ্ঠু বিচার হোক। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আমাদের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনেছেন এবং নোট নিয়েছেন।’’

পরে সাম্যর বন্ধু এসএস নাহিন ইসলাম বলেন, ‘‘আমরা শাহবাগ থানাকে ৪৮ ঘণ্টার সময়সীমা দিয়েছিলাম, কিন্তু আশানুরূপ অগ্রগতি পাইনি। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আমাদের আশ্বস্ত করেছেন যে ডিবির কাছে তদন্ত হস্তান্তর করা হবে এবং বিশেষ ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে বিচারের ব্যবস্থা করা হবে।’’

নাহিন বলেন, ‘‘আমরা পুরোপুরি সন্তুষ্ট না হলেও আশাবাদী। আমরা তখনই আশ্বস্ত হব, যখন দেখব আসামিরা বিচারের আওতায় এসেছে। কর্মসূচি প্রত্যাহারের বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। আমরা সবার সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেব।’’

তিনি বলেন, ‘‘ক্যাম্পাসে বিভিন্ন রাজনৈতিক মহল ও দল বিভিন্নভাবে সাম্য হত্যাকাণ্ডের ঘটনা নিয়ে নিজেদের দাবি জানাচ্ছে। আমরা সব সময় বলে আসছি, আমাদের একটাই দাবি-সাম্য হত্যার বিচার। আমরা যা করা উচিত, তাই করব। কর্মসূচির বিষয়ে আমরা সবাই মিলে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব। প্রয়োজন হলে আরো কঠোর আন্দোলনে যাব।’’

‘‘আমাদের দাবি ছিল দৃশ্যমান অগ্রগতি। যেহেতু স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আশ্বাস দিয়েছেন এবং তদন্ত ডিবির কাছে হস্তান্তর করা হচ্ছে, তাই আমরা আশাবাদী যে ইতিবাচক কিছু দেখতে পাব।’’- যোগ করেন নাহিন।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/রাজীব

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ম য হত য র আম দ র তদন ত

এছাড়াও পড়ুন:

গজারিয়ায় পরিবারকে জিম্মি করে অর্ধলক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ার একটি বাড়িতে প্রবেশ করে অস্ত্রের মুখে পরিবারের সদস্যদের জিম্মি করে স্বর্ণালংকারসহ অর্ধলক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে ডাকাতরা।

রবিবার (২ নভেম্বর) মধ্যরাত ৩টার দিকে উপজেলার বালুয়াকান্দি ইউনিয়নের বালুয়াকান্দি দক্ষিণপাড়া এলাকার অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য ফজলুল হকের বাড়িতে ঘটনাটি ঘটে।

আরো পড়ুন:

ভাড়া নেওয়ার কথা বলে বাসায় ঢুকে গৃহবধূকে বেঁধে ডাকাতি

বগুড়ায় বৃদ্ধাকে খুন করে ডাকাতি: গ্রেপ্তার ৪, টাকা উদ্ধার

ভুক্তভোগী সাথী বেগম বলেন, “রাত ১টার দিকে একটি শব্দ পেয়ে আমার ঘুম ভাঙে। সে সময় বিষয়টি সেভাবে আমলে নেইনি। রাত ৩টার দিকে উঠে তাহাজ্জুতের নামাজ পড়তে বসলে জানালার গ্রিল কেটে বাসার ভেতরে প্রবেশ করে দুই যুবক। তারা প্রথমে আমাকে, পরে আমার ছেলে সাবিদকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে। পরে তারা আমাদের বিল্ডিংয়ের চারটি ফ্ল্যাটের প্রত্যেকটিতে একের পর এক লুট করতে থাকে। প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে চলে এই ডাকাতি।” 

তিনি বলেন, “ডাকতরা নগদ ৩ লাখ টাকা, ৩২ ভরি স্বর্ণালংকার ও ৯টি মোবাইল ফোন নিয়ে যায়। যাওয়ার সময় তারা আমাদের সবাইকে একটি রুমে আটকে রেখে বাহির থেকে তালা লাগিয়ে যায়।”

প্রত্যক্ষদর্শী সাবিদ বলেন, “জানালার গ্রিল কেটে রুমের ভেতরে প্রবেশ করে দুইজন। পরে ডাকাত দলের আরো ২২-২৩ জন সদস্য বাসার ভেতরে প্রবেশ করে। বাইরে আরো কয়েকজন পাহারায় ছিল। ডাকাত দলের অধিকাংশ সদস্যের মুখে মাস্ক ও গামছা ছিল। তারা অস্ত্রের মুখে আমাকে জিম্মি করে আমাকে দিয়েই অন্যান্য ফ্ল্যাটের দরজা খোলান। আমার চোখের সামনে একের পর এক রুমে ডাকাতি হয়।”

অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য ফজলুল হক বলেন, “আমার তিন ছেলে দেশের বাহিরে থাকে। তাদের পাঠানো প্রায় ৩২ ভরি স্বর্ণালংকার, কয়েকদিন আগে ব্যাংক থেকে তোলা নগদ ৩ লাখ টাকা ও ৯টি মোবাইল সেট লুট করে নিয়ে গেছে ডাকাতরা। তারা আমাদের পরিবার সম্পর্কে অনেক কিছু জানত। কোন রুমে কী আছে, আমরা কবে ব্যাংক থেকে টাকা তুলেছি এমনকি বাসায় ওয়াইফাই বন্ধ সবই জানত। আমার ধারণা, স্থানীয় লোক এর সঙ্গে জড়িত। আমি থানায় লিখিত অভিযোগ দেব।”

ভুক্তভোগীর প্রতিবেশী লাক মিয়া বলেন, “আমরা ভোর ৫টার দিকে বিষয়টি প্রথমে বুঝতে পারি। পরবর্তীতে বাইরে থেকে লক করা রুম খুলে আমরা আটকে থাকা পরিবারের সদস্যদের উদ্ধার করি। তারপর বিষয়টি জানাজানি হয়।”

রবিবার (৩ নভেম্বর) গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আনোয়ার আলম আজাদ বলেন, “সকাল ৬টার দিকে দিকে আমি ৯৯৯ থেকে একটি কল পেয়ে এ বিষয়ে জানতে পারি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আমরা ঘটনাটি খতিয়ে দেখছি।”

ঢাকা/রতন/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ