যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসনে সহায়তার অভিযোগে ভারতের বিভিন্ন ট্রাভেল এজেন্সির মালিক ও কর্মকর্তাদের ওপর ভিসা বিধি–নিষেধ আরোপ করছে ওয়াশিংটন। আজ সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে বিবৃতিটি প্রকাশ করা হয়েছে। পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ভারতে যুক্তরাষ্ট্রের মিশনগুলোর সংগ্রহ করা তথ্যের ভিত্তিতে বিভিন্ন ট্রাভেল এজেন্সি–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ভিসা বিধিনিষেধ আরোপ করা হচ্ছে।

তবে ভারতীয় ট্রাভেল এজেন্সি–সংশ্লিষ্ট ওই ব্যক্তিদের পরিচয় বা তাঁদের সংখ্যা কত, তা বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়নি। পরিচয় বা নাম প্রকাশ না করার বিষয়টি ব্যতিক্রমী কিছু নয়। ওয়াশিংটন প্রায়ই ভিসা বিধিনিষেধ আরোপ করা ব্যক্তিদের পরিচয় প্রকাশ করে না।

পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস বলেন, ‘বিদেশি পাচার চক্রকে দমনের লক্ষ্যে ট্রাভেল এজেন্সির মালিক, নির্বাহী ও জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আমরা ভিসা বিধিনিষেধ আরোপ করতে থাকব।’ তবে কীভাবে ওই ট্রাভেল এজেন্সিগুলো অবৈধ অভিবাসনে সহায়তা করেছে, তা উল্লেখ করেননি তিনি।

এমন সময় মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে ভিসা বিধিনিষেধ আরোপের এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো, যখন যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসনের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। দেশটি থেকে অবৈধ অভিবাসীদের বিতাড়িত করাও হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছেন অবৈধ ভারতীয় অভিবাসীরাও।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব ধ ন ষ ধ আর প

এছাড়াও পড়ুন:

বিশ্ব ইজতেমা মার্চে 

প্রতিবছর জানুয়ারিতে বিশ্ব ইজতেমার আয়োজন করা হলেও এবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে তা পিছিয়ে মার্চ মাসে করা হবে।

সোমবার (৩ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ এ তথ্য জানিয়েছেন তাবলিগ জামাত বাংলাদেশ বা শুরায়ী নেজামের শীর্ষ নেতা মুফতি কেফায়েতুল্লাহ আজহারি।

আরো পড়ুন:

শেষ হলো দাওয়াতে ইসলামীর ইজতেমা

দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমা শুরু 

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বিগত বছরগুলোতে দুই পর্বে বিশ্ব ইজতেমা হলেও আগামী বছর এক পর্বে হবে। মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারী বা সাদপন্থিদের ইজতেমা আয়োজনের সুযোগ থাকবে না। 

মুফতি কেফায়েতুল্লাহ বলেছেন, “তাবলিগ জামাত বাংলাদেশ তাবলিগি এ মেহনতকে দ্বীনি মেহনত হিসেবে বিশ্বাস করে। দ্বীনি কাজের অংশ হিসেবে বর্তমান সরকারের অনুরোধ শ্রদ্ধার সঙ্গে গ্রহণ করে আমরা আগামী বিশ্ব ইজতেমা মার্চে আয়োজনের বিষয়ে একমত হয়েছি। আমরা বিশ্বাস করি, এ সিদ্ধান্ত রাষ্ট্রীয় কার্যক্রমে সরকারের প্রতি সহযোগিতার শামিল।”

বিশ্ব ইজতেমা সাদপন্থিরা আয়োজন করতে পারবেন কি না, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, “সরকারের কাছে তারা লিখিত দিয়ে গতবার শেষবারের মতো ইজতেমার আয়োজন করেছিল। সেক্ষেত্রে তাদের আর ইজতেমা করার সুযোগ নেই।”

বিশ্ব ইজতেমা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সংবাদ সম্মেলনে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে তিনটি অনুরোধ তুলে ধরা হয়।
১. আগামী ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহের আগেই ইজতেমার দিন-তারিখ ঘোষণা এবং সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম শুরু করার জন্য সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থাগুলোকে অবহিত করা।

২. ইজতেমা যথাযথভাবে সম্পন্ন করতে টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমা ময়দানকে অস্থায়ীভাবে কেপিআই (কি পয়েন্ট ইন্সটলেশন) ঘোষণা।

৩. ইজতেমায় আসা বিদেশি অতিথিদের সময়মতো উপস্থিতি নিশ্চিত করতে নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে ভিসা সহজীকরণ-সংক্রান্ত পরিপত্র জারি করা।

ঢাকা/রায়হান/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ