চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক ৬ লেনে উন্নীত করার দাবিতে মানববন্ধন
Published: 20th, May 2025 GMT
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে যানবাহনের চাপ ও প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার প্রতিবাদে এবং মহাসড়কটি ৬ লেনে উন্নীত করার দাবিতে রামুতে মানববন্ধন হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (২০ মে) দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত রামু বাইপাস ফুটবল চত্বরে সম্মিলিত নাগরিক পরিষদ— রামুর উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
মানববন্ধনে রামু উপজেলার অর্ধশতাধিক সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধি ও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘‘১৫৮ কিলোমিটার দীর্ঘ চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক দেশের অন্যতম ব্যস্ততম রুট হলেও এর অধিকাংশ অংশের প্রস্থ মাত্র ১৮ থেকে ৩৪ ফুট। সড়কে অনেক বাঁক এবং উপসড়ক থেকে হঠাৎ করে যানবাহন উঠে আসায় প্রায়ই ঘটে দুর্ঘটনা। বিশেষ করে খোলা ট্রাকে লবণ পরিবহনের কারণে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ছে।’’
আরো পড়ুন:
ঢাকা-টাঙ্গাইল যমুনা সেতু মহাসড়কে যানজট নিরসনে মতবিনিময়
বৈদ্যুতিক খুঁটি না সরিয়ে সড়ক প্রশস্ত!
তারা বলেন, ‘‘কক্সবাজার শুধু পর্যটন শহর নয়, এখানে রয়েছে মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দর, টেকনাফ স্থলবন্দর, এক্সক্লুসিভ ট্যুরিস্ট জোন ও বিশেষ শিল্পাঞ্চল। ফলে মহাসড়কটির গুরুত্ব অর্থনৈতিকভাবে আরো বেড়েছে। অথচ জাতীয় রাজস্বে কক্সবাজার গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখলেও উন্নয়নের ক্ষেত্রে অবহেলার শিকার হচ্ছে।’’
মানববন্ধন শেষে রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টার বরাবর স্মারকলিপি দেয় স্থানীয়রা।
সম্মিলিত নাগরিক পরিষদের আহ্বায়ক মাস্টার মোহাম্মদ আলমের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা মোজাফ্ফর আহমদ, জেলা বিএনপির সহ-সাধারণ সম্পাদক আকতারুল আলম, শিক্ষক হাফেজ আবদুল হক, ওলামা পরিষদের মোহসেন শরীফ, ‘অগ্রযাত্রা’ সংগঠনের পরিচালক নীলিমা আকতার চৌধুরী প্রমুখ।
ঢাকা/তারেকুর/বকুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক পর বহন সড়ক দ র ঘটন
এছাড়াও পড়ুন:
ভাগাড়ের গন্ধে টেকা দায়
কালিয়াকৈরে একটি আঞ্চলিক সড়কের পাশে দীর্ঘদিন ধরে ময়লা ফেলছেন স্থানীয় লোকজন। জমে থাকা আবর্জনার স্তূপ থেকে ছড়ানো দুর্গন্ধে আশপাশের কয়েকটি কারখানার কর্মীরা অতিষ্ঠ। পথচারীদেরও চলাচল করতে হয় নাক চেপে। এলাকাবাসী জানিয়েছেন, ভাগাড়টি সেখান থেকে সরিয়ে নেওয়ার দাবিতে কয়েক দফা পৌরসভাকে তাগদা দেওয়া হলেও তারা কোনো উদ্যোগ নেয়নি।
শনিবার সরেজমিন দেখা গেছে, চন্দ্রা ত্রিমোড়ের পূর্ব পাশে সিপি গেট থেকে একটি সরু সড়ক জোড়া পাম্প ফুটবল খেলার মাঠ পর্যন্ত গেছে। ওই সড়কের দু’পাশেই ময়লার বিশাল বিশাল স্তূপ। স্থানীয় বাসিন্দা নাজমা সারোয়ার এদিন দুই সন্তানকে নিয়ে স্কুলে যাচ্ছিলেন। নাকে কাপড় চেপে ওই জায়গাটি পার হচ্ছিলেন তারা। নাজমা বলেন, ‘প্রতিদিন এই সড়কের পাশে ময়লা ফেলছে পৌর কর্তৃপক্ষ। আশপাশে যারা আমরা বসবাস করি, তারা দুর্গন্ধের কারণে টিকতে পারছি না। আমাদের সন্তানরাও অসুস্থ হয়ে পড়ছে। এখন পাশের গজারি বাগানেও ময়লা ফেলছে। বাসাবাড়িতে ২৪ ঘণ্টাই দুর্গন্ধ থেকে। অনেকে এলাকা ছেড়ে চলে গেছেন।’
জোড়া পাম্প উত্তরপাড়ার মাহমুদুল আলম বলেন, ‘অনেকবার পৌর কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি, তারা কোনো উদ্যোগ নেয়নি।’
জায়গাটি পড়েছে পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডে। এলাকাবাসী জানাস, কয়েক বছর আগে স্থানীয় কাউন্সিলর মো. খাত্তাব মোল্লার উদ্যোগে ওই জায়গায় ময়লা রাখা শুরু হয়। আশপাশের আবর্জনা ভ্যানে এনে রাখা হতো। পৌরসভার ট্রাক প্রতিদিনই এসব সরিয়ে ফেলত। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর মেয়র ও কাউন্সিলরদের অপসারণ করা হয়। এর পর থেকেই ময়লা আর সরানো হচ্ছে না।
দুই ঝুট ব্যবসায়ী বলেন, তাদের গুদামে ৫০-৬০ নারী-পুরুষ শ্রমিক কাজ করেন। ময়লার দুর্গন্ধের কারণে শ্রমিকরা কাজে আসতে চান না।
একই এলাকায় মুরগি-মাছের খাবার তৈরির প্রতিষ্ঠান সিপির কারখানা। প্রতিষ্ঠানের জেনারেল ম্যানেজার মো. এনামুল করিম বলেন, দুর্গন্ধে কর্মীরা কাজ করতে পারছেন না। পৌরসভাকে ভাগাড়টি সরিয়ে নিতে লিখিত ও মৌখিকভাবে বলা হয়েছে। কিন্তু তারা সরানোর ব্যবস্থা করেনি। কিছুদিন আগে তাই জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত দিয়েছেন।
এলাকাবাসীর মানববন্ধন
ভাগাড়টি সরিয়ে নেওয়ার দাবিতে গতকাল রোববার সকালে মানববন্ধন পালিত হয়। চন্দ্রার পলানপাড়া এলাকায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের উত্তর পাশের এই কর্মসূচিতে কয়েকশ লোক অংশ নেন।
বক্তারা বলেন, দুর্গন্ধের কারণে এলাকাবাসী বাসায় পর্যন্ত টিকতে পারছেন না। আর বারবার দাবি জানানো হলেও পৌর কর্তৃপক্ষ বা জেলা প্রশাসন কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না।
এ বিষয়ে পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের প্রশাসকের দায়িত্বে থাকা উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, পৌরসভার নিজস্ব ডাম্প স্টেশন না থাকায় এ সমস্যা হচ্ছে। ওই এলাকায় ময়লা ফেলতে নিষেধ করা হয়েছে। শিগগিরই সমস্যার সমাধানের আশা করছেন।
পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদ হাসানের ভাষ্য, পৌরসভার নিজস্ব ডাম্প স্টেশন নেই। ৯টি ওয়ার্ডের ময়লা এক জায়গায় রাখার পর ট্রাক দিয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়। জেলা প্রশাসকের কাছে জমি বরাদ্দ চেয়েছেন, পেয়ে গেলে এই সমস্যা থাকবে না।