স্বাধীনতার ৫৪ বছরেও সাংবাদিকদের পেশাগত অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়নি। অধিকার আদায়ে ১৪ দফা দাবিতে কলমবিরতি পালন করেছেন লক্ষ্মীপুরের সাংবাদিকরা। 

আজ মঙ্গলবার (২০ মে) বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত লক্ষ্মীপুর প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের (বিএমএসএফ) জেলা কমিটির ব্যানারে এ আয়োজন করা হয়। 

এ সময় বক্তারা বলেন, সাংবাদিকদের পেশাগত নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং মফস্বল সাংবাদিকদের স্বীকৃতি ও সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে সরকারকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। দাবিগুলো পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন নেতারা। 

আরো পড়ুন:

সাক্ষী হিসেবে সাংবাদিককে তলবের এখতিয়ার পুলিশের নেই: ক্র্যাব

নাশকতা মামলায় সাংবাদিক ও আ.

লীগ নেতা ফারুক গ্রেপ্তার

এ সময় উপস্থিত ছিলেন লক্ষ্মীপুর প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল ইসলাম পাবেল, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও বিএমএসএফের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মীর ফরহাদ হোসেন সুমন, জেলা কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন, সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা, সাংবাদিক সাইফুল মনির বেলাল, ড্যানি চৌধুরী প্রমুখ।

ঢাকা/জাহাঙ্গীর/বকুল 

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

মুরাদনগরে তিনজনকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় বিভিন্ন সংগঠনের উদ্বেগ প্রকাশ

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার কড়ইবাড়ি গ্রামে এক নারী ও তার দুই সন্তানকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় দ্রুত, নিরপেক্ষ ও দৃষ্টান্তমূলক বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ) এবং আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)। 

বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো পৃথক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়।

বিবৃতিতে জানানো হয়, একদল লোক রোকসানা আক্তার রুবি (৫৫), তার ছেলে রাসেল মিয়া (২৮) ও মেয়ে জোনাকি আক্তার (২২)-কে তাদের নিজ বাড়ি থেকে টেনে-হিঁচড়ে বের করে রাস্তায় ফেলে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করে। ঘটনায় পরিবারের আরও একজন নারী গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। প্রাথমিক অভিযোগ বা সন্দেহের ভিত্তিতে, কোনো ধরনের আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে, এইভাবে কাউকে প্রকাশ্যে হত্যা করা শুধুমাত্র আইনের শাসনের পরিপন্থীই নয়, এটি নাগরিক নিরাপত্তা ও মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন।

এমএসএফ এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়, কথিত যে এ পরিবারের সদস্যরা দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। এ নিয়ে এলাকাবাসীর সঙ্গে তাদের বিরোধ ছিল। অথচ এদেরকে আইনের হাতে সোপর্দ না করে গণপিটুনির মতো বর্বরোচিত সহিংসতা ঘটিয়ে তাদেরকে হত্যা করা হয়েছে, যা গুরুতর ফৌজদারি অপরাধ, এবং মানবিক মর্যাদায় আঘাত ও চরমভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন। গণপিটুনি বা মব সহিংসতা বিচারবর্হিভূত কর্মকাণ্ড হিসেবেই গণ্য করা হয়ে থাকে। তাই মব বা গণপিটুনির সঙ্গে জড়িত অপরাধীদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা আইন শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী তথা রাষ্ট্রের দায়িত্ব।

আসক এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে জুলাই মাসের এ পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘটিত গণপিটুনির ঘটনায় কমপক্ষে ৯৪ জন প্রাণ হারিয়েছেন। সংস্থার সিনিয়র সমন্বয়কারী আবু আহমেদ ফয়জুল কবির স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়, এ ঘটনায় জড়িত প্রত্যেক ব্যক্তিকে দ্রুত শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনতে হবে এবং একটি নিরপেক্ষ, প্রমাণনির্ভর ও সঠিক তদন্তের মাধ্যমে মামলা প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করে জড়িতদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি এ ঘটনায় পরিবারটির গুরুতর আহত সদস্যের নিরাপত্তা, প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও আইনি সহায়তা রাষ্ট্রীয়ভাবে নিশ্চিত করতে হবে। 

আসক জানায়, চলমান এই সহিংসতা রুখতে রাষ্ট্রকে এখনই কার্যকর, কঠোর এবং দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ নিতে হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মুরাদনগরে তিনজনকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় বিভিন্ন সংগঠনের উদ্বেগ প্রকাশ
  • ভোলায় গৃহবধূকে ধর্ষণ: দোষীদের শাস্তির দাবি এমএসএফের