অবিলম্বে নির্বাচন কমিশন (ইসি) পুনর্গঠন ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাকর্মীরা।

আজ বুধবার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশনের কার্যালয়ের সামনে দলটির মহানগর উত্তর শাখা এ কর্মসূচি আয়োজন করে।

বিক্ষোভ-সমাবেশকে কেন্দ্র করে ১১টার পর থেকেই ইসি ভবনের সামনের সড়কে জড়ো হতে থাকেন এনসিপির নেতাকর্মীরা। পরে জনা পঞ্চাশেক কর্মীর উপস্থিতিতে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে কর্মসূচি শুরু হয়।

কর্মসূচি প্রসঙ্গে এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সরোয়ার তুষার আজ সাংবাদিকদের জানান, তারা দুই দাবি নিয়ে বিক্ষোভ করছেন। তিনি বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচন না হওয়ায় সারা দেশে নাগরিক সেবা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। ফলে সরকারি প্রশাসনিক কার্যালয়গুলো একটি দলের দখলে চলে যাচ্ছে।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) অচলাবস্থার উদাহরণ টেনে সরোয়ার তুষার বলেন, এ অবস্থার জন্য নির্বাচন কমিশন দায়ী। তাদের এ রায়ের (দক্ষিণ সিটির মেয়র নির্বাচন) বিরুদ্ধে আপিল করার কথা ছিল। কিন্তু তারা কোনো রহস্যজনক কারণে মামলার বিবাদি হওয়ার পরও আপিল না করে গেজেট প্রকাশ করেছে।

এনসিপির কলাবাগান প্রতিনিধি মাসুম বিল্লাহ বলেন, ‌‘বর্তমানে ইসি প্রশ্নবিদ্ধ কাজ করছে, অবৈধ আইনে গঠিত হয়েছে। আমরা এ ইসি পুনর্গঠনের দাবি জানাই।’ দ্রুত স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দাবি জানান তিনি।

পল্লবী থানা শাখার রেহানা আক্তার রুমা বলেন, ‘আমরা এখানে দাঁড়াতে বাধ্য হয়েছি। এ ইসির পরিবর্তন চাচ্ছি।’

রমনা থানা শাখার নারী প্রতিনিধি ডা.

ইশরাত জাহান বলেন, ‘আমি একজন মা এখানে উপস্থিত হয়েছি। বড় দলগুলোর ব্যর্থতায় আমরা এনসিপিতে যোগ দিয়েছি। এ ইসিকে ধিক্কার জানাই, একটি বড় দলকে সাপোর্ট করছে।’

তিনি বলেন, ‘আপনারা বাধা হয়ে দাঁড়াবেন না। প্রয়োজনে আমরা মায়েরা পদত্যাগের দাবিতে বসে যাবো।’

সমাবেশে এনসিপির বিভিন্ন ইউনিটের নেতা-কর্মীরা বক্তব্য দিচ্ছেন। দাবি না মানা পর্যন্ত বিক্ষোভ কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার কথা বলছেন তারা। ইসি ভবন ঘিরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কড়া নিরাপত্তা রয়েছে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: এনস প এনস প র কর ম র

এছাড়াও পড়ুন:

বেনাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি কমে গেছে

সকল অংশীজনকে অজ্ঞাত রেখে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বিলুপ্ত করে দুটি পৃথক বিভাগ গঠনের উদ্দেশে ১২ মে একটি অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছে। জারিকৃত অধ্যাদেশ বাতিলসহ ৪ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে গত বুধবার (১৪ মে) থেকে আজ বুধবার পর্যন্ত কলম বিরতি কর্মসূচি পালন করছে বেনাপোল কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।

একের পর এক কলম বিরতি চলমান থাকায় আমদানি-রপ্তানি প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। বন্দর থেকে পণ্য খালাস, পণ্য পরীক্ষণ ও শুল্কায়ন হচ্ছে খুবই কম। ফলে সরকার হারাচ্ছে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব।

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ এসোসিয়েশনের দফতর সম্পাদক শাকিরুল ইসলাম শাকিল বলেন, প্রতিদিন কাস্টম অফিসাররা যেভাবে কলম বিরতি পালন করছে তাতে আমরা বন্দর থেকে পণ্য খালাস করতে হিমশিম খাচ্ছি। কাজ করতে ব্যাপক সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। সরকারের উচিত বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া।

এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের দাবিসমূহ
১. জারিকৃত অধ্যাদেশ অবিলম্বে বাতিল করতে হবে
২. অবিলম্বে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যানকে অপসারণ করতে হবে
৩. রাজস্ব সংস্কার বিষয়ক পরামর্শক কমিটির সুপারিশ জনসাধারণের জন্য ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে
৪. জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক প্রস্তাবিত খসড়া এবং পরামর্শক কমিটির সুপারিশ আলোচনা-পর্যালোচনাপূর্বক প্রত্যাশী সংস্থাসমূহ, ব্যবসায়ী সংগঠন, সুশীল সমাজ, রাজনৈতিক নেতৃত্বসহ সংশ্লিষ্ট সকল অংশীজনের মতামত নিয়ে উপযুক্ত ও টেকসই রাজস্ব ব্যবস্থা সংস্কার নিশ্চিত করতে হবে। 

বেনাপোল কাস্টম হাউস সূত্রে জানা গেছে, ৪ দফা দাবি বাস্তবায়ন না হলে আগামীকাল বৃহস্পতিবার বেনাপোল কাস্টম হাউজে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে। আগামী ২৪ মে (শনিবার), ২৫ মে (রোববার) কাস্টমস হাউজের সকল দপ্তরে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত পূর্ণাঙ্গ কর্মবিরতি চলবে। আগামী ২৬ মে (সোমবার) পূর্ণাঙ্গ কর্মবিরতি চলবে। রপ্তানি ও আন্তর্জাতিক যাত্রীসেবা এর আওতামুক্ত থাকবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ