পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে ইসি ভবনের ফটকে অবস্থান এনসিপির নেতা-কর্মীদের
Published: 21st, May 2025 GMT
নির্বাচন কমিশন (ইসি) পুনর্গঠন ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দাবিতে নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ের মূল ফটকে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতারা।
আজ বুধবার বেলা সোয়া একটার দিকে এনসিপির নেতারা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ের মূল ফটকে অবস্থান নেন। এরপর তাঁরা সেখানে বসে পড়েন।
এনসিপি নেতারা বলছেন, তাঁদের এই কর্মসূচি চলবে।
এ সময় ‘ইসি তুই দলকানা, ইসি তুই চলে যা’; ‘ফ্যাসিবাদের কমিশন, মানি না মানব না’, ‘খুনি হাসিনার কমিশন, মানি না মানব না’ স্লোগান দিতে থাকেন এনসিপি নেতা-কর্মীরা।
নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ের সামনে এই বিক্ষোভ সমাবেশের কর্মসূচির আয়োজন করেছে দলটির ঢাকা মহানগর উত্তর শাখা।
বিক্ষোভ সমাবেশকে কেন্দ্র করে বেলা ১১টার পর থেকে ইসি ভবনের সামনের সড়কে জড়ো হতে থাকেন এনসিপির নেতা-কর্মীরা। পরে বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ কর্মসূচি শুরু হয়।
কর্মসূচি প্রসঙ্গে এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার আজ সাংবাদিকদের জানান, তাঁরা দুই দাবি নিয়ে বিক্ষোভ করছেন। স্থানীয় সরকার নির্বাচন না হওয়ায় সারা দেশে নাগরিক সেবা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। ফলে সরকারি প্রশাসনিক কার্যালয়গুলো একটি দলের দখলে চলে যাচ্ছে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) অচলাবস্থার উদাহরণ টেনে সারোয়ার তুষার বলেন, এ অবস্থার জন্য নির্বাচন কমিশন দায়ী। তাদের এ-সংক্রান্ত রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার কথা ছিল। কিন্তু তারা কোনো রহস্যজনক কারণে মামলার বিবাদি হওয়ার পরও আপিল না করে গেজেট প্রকাশ করেছে।
সারোয়ার তুষার বলেন, ‘এ নির্বাচন কমিশনকে আর সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান বলা যাচ্ছে না। এটি একটি রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে।’
আরও পড়ুননির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দাবিতে এনসিপির বিক্ষোভ চলছে৪৩ মিনিট আগে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: এনস প র ন এনস প অবস থ সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
তারুণ্যের সমাবেশ সফল করতে মহানগর যুবদলের প্রস্তুতিসভা
আগামী ২৭মে তারুণ্যের রাজনৈতিক ভাবনা ও অর্থনৈতিক মুক্তি শীর্ষক সেমিনার ও ২৮ মে ঢাকা বিভাগীয় তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশকে সফল করার লক্ষ্যে নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সিনিয়র সহ- সভাপতি রেজাউল করিম পল।
বুধবার (২১ মে) বিকেল তিনটায় শহরের মিশন পাড়া হোসিয়ারি সমিতি কমিউনিটি সেন্টারে মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজলের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব সাহেদ আহমেদের সঞ্চালনায় এতে মহানগর যুবদলের আওতাধীন বিভিন্ন থানা, ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন যুবদলের নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি রেজাউল করিম পল বলেন, “নারায়ণগঞ্জ বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক ঐতিহাসিক পটভূমি। এখান থেকেই বহু আন্দোলন-সংগ্রামের সূচনা হয়েছে, বহু গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি বাস্তবায়িত হয়েছে। কারণ আমরা সবসময় বিশ্বাস করি—নারায়ণগঞ্জ একটি রাজনৈতিকভাবে উর্বর মাটি। এখানকার নেতাকর্মীরা বরাবরই সজাগ, সচেতন ও সংগঠিত।”
তিনি বলেন, “বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমানের নির্দেশনায় আগামী ২৮ মে ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য ‘তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার বিভাগীয় সমাবেশ’ একটি ঐতিহাসিক কর্মসূচিতে পরিণত হবে। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের নেতাকর্মীরা হাজারো মানুষের বহর নিয়ে এই সমাবেশে অংশগ্রহণ করে সেটিকে সফল করবেন।”
রেজাউল করিম পল আরও বলেন, “আজকের এই প্রস্তুতিমূলক সভাই প্রমাণ করে যে, আমরা প্রস্তুত। নির্ধারিত দিন দুপুর দুইটার মধ্যে নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের নেতাকর্মীরা ঢাকায় উপস্থিত থাকবেন এবং আমাদের প্রিয় নেতা তারেক রহমানের দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য মনোযোগ দিয়ে শুনবেন। সেই বক্তব্য থেকেই আমরা আগামী আন্দোলনের পথনির্দেশনা নিয়ে ফিরে আসব—আরও সংগঠিতভাবে, আরও উদ্দীপনায়।”
নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজলের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব সাহেদ আহমেদের সঞ্চালনায় প্রস্তুতি সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক সাদেকুর রহমান সাদেক, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক সদস্য সাইদুর রহমান সোহেল ।
এসময়ে আরও উপস্থিত ছিলেন, মহানগর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরে এলাহী সোহাগ, যুগ্ম আহ্বায়ক রুহুল আমিন, যুগ্ম আহ্বায়ক সাজ্জাদ হোসেন কমল, যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ মোহাম্মদ অপু, যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুর রহমান, যুগ্ম আহ্বায়ক মোফাজ্জল হোসেন আনোয়ার, যুগ্ম আহ্বায়ক শাকিল মিয়া, যুগ্ম আহ্বায়ক আহসান খলিল শ্যামল, যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল আলম সজিব, যুগ্ম আহ্বায়ক জাকির হোসেন সেন্টু, যুগ্ম আহ্বায়ক আক্তারুজ্জামান মৃধা, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য রাফি উদ্দিন রিয়াদ, শহিদুল ইসলাম,ওয়াদুদ ভূইয়া সাগর, পারভেজ খান, মোঃ আরমান হোসেন, কামরুল ইসলাম রনি, মিনহাজ মিঠু, আশিকুর রহমান অনি, জুয়েল রানা, কামরুল হাসান মাসুদ, এরশাদ আলী, ফয়েজ উল্লাহ সজল,আলী ইমরান শামীম, তরিকুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম আপন, শাহীন শরীফ, মাগফুর ইসলাম পাপন, জুনায়েদ আলম ঝলক, ফয়সাল আহমেদ, সাইদুর হাসান রিপন, আরিফ খান, কায়সার আহমেদ, এড. শাহিন খান, কাজী নাইসুল ইসলাম সাদ্দাম, আলী হোসেন সৌরভ, বাদশা মিয়া, মাসুদ রানা, মাকসুদুর রহমান শাকিল, রুবেল সরদার, রিয়াজুল আলম ইমন, জুনায়েদ মোল্লা জনি, হাবিবুর রহমান মাসুদ, আঃ কাদির, আশরাফুল হক তান্না, জাহিদুল হাসান শুভ, মাহফুজুর রহমান ফয়সাল প্রমুখ ।