দীঘিনালার নারী ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদা বেগম ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার
Published: 21st, May 2025 GMT
দীঘিনালার মেরুং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদা বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে রাজধানী ঢাকার যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে তাঁকে আটক করে পুলিশ। এরপর রাতেই তাঁকে দীঘিনালা থানায় নিয়ে আসা হয়। সেখানে আগের একটি মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
মাহমুদা বেগম তিন পার্বত্য জেলার মধ্যে একমাত্র নারী ইউপি চেয়ারম্যান ছিলেন। ২০২১ সালের ২৮ নভেম্বর মেরুং ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে জয়ী হয়ে তিনি চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্বপালন করছিলেন। এ ছাড়া তিনি দীঘিনালা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী হিসেবেও দায়িত্বপালন করছেন।
আজ বুধবার বিকেলে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান দীঘিনালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জাকারিয়া।
ওসি মোহাম্মদ জাকারিয়া প্রথম আলোকে বলেন, মাহমুদা বেগমের বিরুদ্ধে দীঘিনালা থানায় একটি মামলা রয়েছে। ওই মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। ঢাকার যাত্রাবাড়ী থানা-পুলিশ আওয়ামী লীগের একটি ঝটিকা মিছিল থেকে মাহমুদা বেগমকে আটক করে। বর্তমানে তাঁকে আদালতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সন্দ্বীপে অন্যায়ের প্রতিবাদ করায় স্কুলছাত্রকে হত্যা
চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে মাদক, দখলবাজি ও জনদুর্ভোগের প্রতিবাদ করায় দশম শ্রেণির ছাত্র রিফাতকে (১৭) হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সে উপজেলার মগধরা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা জামসেদুর রহমানের ছেলে। বাবা জামসেদুর সন্দ্বীপ উপজেলা শ্রমিকদলের ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক ও মগধরা ইউনিয়ন বিএনপির স্থানীয় সরকারবিষয়ক সম্পাদক।
সাংবাদিকদের দেওয়া এক লিখিত বিবৃতিতে জামসেদর রহমান অভিযোগ করেন, ‘অন্যায়ের প্রতিবাদ করায় সারিকাইত ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী রাজুর নেতৃত্বে আমার ছেলে দশম শ্রেণির ছাত্র রিফাতের ওপর সন্ত্রাসী হামলা হয়। তারা ৪ ঘণ্টা ছেলেকে অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়। রাজু বাহিনীর হামলায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসিইউতে রিফাত মৃত্যুবরণ করে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সারিকাইত ইউনিয়ন থেকে বহিরাগতরা মগধরা ইউনিয়নে অবৈধ ব্যবসা করতো। আমার ছেলে মাদক, অবৈধ মাটি কাটা, দখলবাজি ও জনদুর্ভোগের প্রতিবাদ করতো। এসব নিয়ে বাগবিতণ্ডা হয়েছে। এ বিষয়ে আমি ১৮ মে ইউএনও’র কাছে একটি অভিযোগ দেওয়ার পরদিন ১৯ মে রাজু বাহিনী আমার ছেলেকে হত্যা করে।,
স্থানীয়রা জানান, ১৯ মে সন্ধ্যা ৮টায় জামসেদুর রহমানের ছেলে রিফাতের সঙ্গে সন্ত্রাসীদের কথা কাটাকাটি হয়। পরে রিফাতের ওপর হামলা হয়। প্রথমে তাকে স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুরে তার মৃত্যু হয়।
সন্দ্বীপ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম সফিকুল আলম চৌধুরী বলেন, আমরা খবর পেয়ে আহত রিফাতকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠাই। এ বিষয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে এখনও কোনো অভিযোগ পাইনি। কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।